১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে শিশুকে গনধর্ষণের পর হত্যা মামলায়,পালাতক আসামী সুজন ১৯ বছর পর আটক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৭০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজঃ-
নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর দশ বছরের শিশু গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ফাঁসির কারাদন্ডে দন্ডিত পলাতক প্রধান আসামী সুজনকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর আটক করেছে র‌্যাব-১১। দিবাগত রাতে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে সুজনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুজন @ মোঃ নিজামুল হক নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক এলাকার নাসিরুল হকের ছেলে।

আজ দুপুরে র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার রিজওয়ান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্ংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানান.
গত ১৩ জানুয়ারি ২০০৩ তারিখ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন আলীরটেক এলাকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রধান আসামী সুজনের বাড়িতে একটি মাহফিল দেখার জন্য যায়।সুজন নিহত ভিকটিমের দুঃসম্পর্কের আত্নীয় বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সুজন ভিকটিমকে তার বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সাথে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে সুজন এবং ওৎ পেতে থাকা তার আরও তিন সহযোগী পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি সরিষা ক্ষেতে নিয়ে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ রেখে সবাই পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের পরবর্তী দিন শিশুটির লাশ সরিষা ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জনগন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও শিশুটির পরিবারকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটিকে উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল তৈরী করে এবং লাশটি সদর উপজেলার আলীরটেক এলাকার আলী আকবরের মেয়ে খাদিজা আক্তার (১০) বলে সনাক্ত হয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় সুজন সহ তিন সহযোগীর নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত বিচার শেষে মামলার পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানীত হওয়ায় গত ১১ জুন ২০১৮ তারিখে চার গণধর্ষককে উক্ত আইনের উক্ত ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত পূর্বক মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন। বিজ্ঞ আদালত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত উক্ত আসামীকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর ভাষ্যমতে ঘটনার পর পরেই সে দীর্ঘদিন বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে অবস্থান করতে থাকে। এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য ৩ আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিদিনের নিউজ/পিএন


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নারায়ণগঞ্জে শিশুকে গনধর্ষণের পর হত্যা মামলায়,পালাতক আসামী সুজন ১৯ বছর পর আটক

আপডেট সময় : ০৮:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজঃ-
নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর দশ বছরের শিশু গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ফাঁসির কারাদন্ডে দন্ডিত পলাতক প্রধান আসামী সুজনকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর আটক করেছে র‌্যাব-১১। দিবাগত রাতে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে সুজনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুজন @ মোঃ নিজামুল হক নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক এলাকার নাসিরুল হকের ছেলে।

আজ দুপুরে র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার রিজওয়ান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্ংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানান.
গত ১৩ জানুয়ারি ২০০৩ তারিখ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন আলীরটেক এলাকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রধান আসামী সুজনের বাড়িতে একটি মাহফিল দেখার জন্য যায়।সুজন নিহত ভিকটিমের দুঃসম্পর্কের আত্নীয় বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সুজন ভিকটিমকে তার বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সাথে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে সুজন এবং ওৎ পেতে থাকা তার আরও তিন সহযোগী পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি সরিষা ক্ষেতে নিয়ে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ রেখে সবাই পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের পরবর্তী দিন শিশুটির লাশ সরিষা ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জনগন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও শিশুটির পরিবারকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটিকে উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল তৈরী করে এবং লাশটি সদর উপজেলার আলীরটেক এলাকার আলী আকবরের মেয়ে খাদিজা আক্তার (১০) বলে সনাক্ত হয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় সুজন সহ তিন সহযোগীর নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত বিচার শেষে মামলার পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানীত হওয়ায় গত ১১ জুন ২০১৮ তারিখে চার গণধর্ষককে উক্ত আইনের উক্ত ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত পূর্বক মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন। বিজ্ঞ আদালত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত উক্ত আসামীকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর ভাষ্যমতে ঘটনার পর পরেই সে দীর্ঘদিন বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে অবস্থান করতে থাকে। এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য ৩ আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিদিনের নিউজ/পিএন


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন