মতলবে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার কাজের অগ্রগতি নুরুল আমিন রুহুল এমপি’র পরিদর্শন
- আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
- / ৬৭
মমিনুল ইসলাম:
চাঁদপুরের মতলবে নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার। ইতোমধ্যে হয়ে গেছে ভূমি অধিগ্রহণ ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে স্থাপনা নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিন) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল কাজের অগ্রগতি পরির্দশন করেন। কেন্দ্রটি চালু হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। আর প্রযুক্তিনির্ভর জনশক্তি তৈরিতে কেন্দ্রটি অবদান রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে দৃষ্টিনন্দন আইটি সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। উদ্দেশ্য উদ্যোক্তা তৈরি ও আইটি সেক্টরে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। এরই একটি নির্মাণ করা হচ্ছে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উদ্ধমী এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার। ধনাগোদা নদীর তীরে প্রায় ছয় একর জমির ওপর এটি গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষণ ভবন ছাড়াও নির্মাণ করা হচ্ছে বেশকিছু স্থাপনা। এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা পাস করে শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হতে পারবেন। প্রতিবছর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন ১ হাজার শিক্ষার্থী।
এমন একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। এ উদ্যোগের ফলে আরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এতে যুবসমাজ তাদের ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। কেন্দ্রটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে চাঁদপুরসহ দেশের ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ হবে। আর প্রতিটি কেন্দ্রের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিন) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে আজ বাংলাদেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমাদের সন্তানরা বিদেশে গিয়ে রক্ত ঘাম করা পয়সা দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠায় বলে আমাদের সাংসদ-মন্ত্রীদের বেতন-ভাতা হয়। আমাদের গাড়ি-বাড়ি আর রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হয়। কিন্তু আমরা আর শ্রমিক থাকতে চাই না। এজন্য শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি গড়তে সরকার কাজ করছে।