ষ্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজাবে রহমত শিক্ষার্থীদের জড়তা কাটাতে উপজেলার সব প্রাইমারি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাংগুয়েজ ক্লাব গঠনের, স্কুলের পতিত জমিতে ফুলের চারা রোপনসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কীভাবে আবার লেখাপড়ায় মনোযোগী করে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হয় এ জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । যা আগে কখনো এ ধরনের উদ্যোগ কেউ গ্রহণ করেনি।
মঙ্গলবার (২২শে আগষ্ট) তিনি উপজেলার পঙ্গুয়াই ও দুগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয়ে এসেম্বলি হয় কিনা? পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় কিনা? শিক্ষার্থী উপস্থিতি যথাযথ আছে কিনা? এসকল বিষয় তদারকি করেন। এছাড়াও পরিত্যক্ত জমিতে সবজি এবং ফুলের বাগান করার উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা দেন ইউএনও মিজাবে রহমত।
শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে তিনি ছুটে চলেছেন উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শনে। স্কুলে প্রতিদিন নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও শরীর চর্চাসহ ক্লাসে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কীভাবে পাঠদান করান তা তদারকি করছেন। এতে করে শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন আরা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে ইউএনও স্যারের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়। তার নিয়মিত পরিদর্শন, পরামর্শ এবং নির্দেশনা প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও গতিশীল করবে।
শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ইউএনও মিজাবে রহমত এর ‘ভিশন ২০৪১’ এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের এসেম্বলি পরিদর্শন করেন এবং শপথ বাক্য পাঠ করান। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রেরণামূলক শুভেচ্ছা উপহার এবং উপদেশ দেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে আছে তার বিভিন্ন পরিকল্পনা।

এ ব্যাপারে তারাকান্দার ইউএনও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুণগত শিক্ষা হবে অন্যতম নিয়ামক। সেজন্য আমরা শিক্ষায় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ছাত্রছাত্রীদের উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন অধিবেশন চালু করেছি। এসব অধিবেশনে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করা হয়। এতে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি ইউএনও’র সঙ্গে তাদের মতামত শেয়ার করতে পারছে। জোর দেওয়া হয়েছে বই পড়ার প্রতি। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা চাইলে প্রত্যেকেই আমাদের ছাদগুলোকে ফুল দিয়ে সাজাতে পারি। তাতে প্রাকৃতিকভাবে যেমন আমরা হবো সবল, তেমন অর্থনৈতিকভাবে তৈরি করতে পারি সফলতা। আমার অনেক শিক্ষার্থী তারাও নিজের বাড়িতে ছোট ছোট করে বাগান তৈরি করলে এর সুফল ভোগ করতে পারবে।