১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মতলবে কৃষিযান ট্রাক্টর যখন রাস্তার দানব

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:০০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৭১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:-

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আপামর জনসাধারণের জীবনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষির উন্নয়নে এসব ট্রাক্টর আমদানি করা হলেও মালিকরা এগুলো ব্যবহার করছে ভাটার মাটি, ইট, বালু ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের কাজে। বেপরোয়াভাবে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে উপজেলা জুড়ে। সনদবিহীন চালকেরা বিশালাকৃতির চাকাওয়ালা ট্রাক্টরগুলো বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছে রাস্তায়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের
সরেজমিনে পুরো উপজেলা এলাকাজুড়ে দেখা যায়, ট্রাক্টরগুলো রাস্তায় চলছে দানবের মতো। এর বড়-বড় চাকার কারণে কার্পেটিংয়ের রাস্তাগুলো ধূলোয় পরিণত হয়েছে। ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের। ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে কোমলমতি ছোট ছোট শিশু ও এলাকার নারীরা। এখন স্কুল বন্ধ থাকায় কিছুটা চিন্তা মুক্ত শিশুদের নিয়ে। ছেংগারচর পৌরসভার বাসিন্দা টিপু সুলতান খান বলেন, বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টর ও ট্রলি চলাচল করায় রাস্তায় বের হয়ে সবসময় আতঙ্কিত হয়ে থাকি।
ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের গৃহিনী মাজেদা বেগম ট্রাক্টর বন্ধের আকুতি জানিয়ে বলেন, চাকাওয়ালা এই গাড়ি চলাচলের কারণে আমরা ছেলেমেয়েদের একা ছাড়তে পারি না। বাড়ির পাশেই রাস্তা থাকায় আরো বিপদে আছি পাড়ার ভিতরেও গতি কম করেনা চালকগুলো। আমরা পাড়ার রাস্তায় চালাচল করতে পারছিনা নিশ্চিন্তে।
তবে অভিযোগ আছে কিছু অসাধু ট্রাক্টর ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এসব দানব, ট্রাক্টর। ইসলামবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা লাভু মিয়া বলেন, কোনো সময় এসব ট্রাক্টর মোটরসাইকেল সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। একই ইউনিয়নের সাহাদাত হোসেন বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে কোন যানবাহন দেওয়া ঠিক হবে না। আর সেখানে শিশু শ্রমের ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে সেখানে প্রশাসনের আরো বেশি কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
তবে এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে ট্রাক্টর বন্ধের দাবি করে বলেন, আমরা বুঝতে পারি না, ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের কাজটি কেন এতো কঠিন। ট্রাক্টর চলাচলে যাদের স্বার্থরক্ষা হয়, তারা কি অকাল ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ আদালত নিজের বিবেকের রায়ে সেই স্বার্থ জলাঞ্জলির কথা মোটেও ভাবতে পারেন না?
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তা নষ্ট করতে না পারে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি ট্রাক্টর চালকদের। নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলবে কৃষিযান ট্রাক্টর যখন রাস্তার দানব

আপডেট সময় : ০১:০০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:-

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আপামর জনসাধারণের জীবনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষির উন্নয়নে এসব ট্রাক্টর আমদানি করা হলেও মালিকরা এগুলো ব্যবহার করছে ভাটার মাটি, ইট, বালু ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের কাজে। বেপরোয়াভাবে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে উপজেলা জুড়ে। সনদবিহীন চালকেরা বিশালাকৃতির চাকাওয়ালা ট্রাক্টরগুলো বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছে রাস্তায়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের
সরেজমিনে পুরো উপজেলা এলাকাজুড়ে দেখা যায়, ট্রাক্টরগুলো রাস্তায় চলছে দানবের মতো। এর বড়-বড় চাকার কারণে কার্পেটিংয়ের রাস্তাগুলো ধূলোয় পরিণত হয়েছে। ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের। ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে কোমলমতি ছোট ছোট শিশু ও এলাকার নারীরা। এখন স্কুল বন্ধ থাকায় কিছুটা চিন্তা মুক্ত শিশুদের নিয়ে। ছেংগারচর পৌরসভার বাসিন্দা টিপু সুলতান খান বলেন, বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টর ও ট্রলি চলাচল করায় রাস্তায় বের হয়ে সবসময় আতঙ্কিত হয়ে থাকি।
ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের গৃহিনী মাজেদা বেগম ট্রাক্টর বন্ধের আকুতি জানিয়ে বলেন, চাকাওয়ালা এই গাড়ি চলাচলের কারণে আমরা ছেলেমেয়েদের একা ছাড়তে পারি না। বাড়ির পাশেই রাস্তা থাকায় আরো বিপদে আছি পাড়ার ভিতরেও গতি কম করেনা চালকগুলো। আমরা পাড়ার রাস্তায় চালাচল করতে পারছিনা নিশ্চিন্তে।
তবে অভিযোগ আছে কিছু অসাধু ট্রাক্টর ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এসব দানব, ট্রাক্টর। ইসলামবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা লাভু মিয়া বলেন, কোনো সময় এসব ট্রাক্টর মোটরসাইকেল সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। একই ইউনিয়নের সাহাদাত হোসেন বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে কোন যানবাহন দেওয়া ঠিক হবে না। আর সেখানে শিশু শ্রমের ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে সেখানে প্রশাসনের আরো বেশি কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
তবে এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে ট্রাক্টর বন্ধের দাবি করে বলেন, আমরা বুঝতে পারি না, ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের কাজটি কেন এতো কঠিন। ট্রাক্টর চলাচলে যাদের স্বার্থরক্ষা হয়, তারা কি অকাল ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ আদালত নিজের বিবেকের রায়ে সেই স্বার্থ জলাঞ্জলির কথা মোটেও ভাবতে পারেন না?
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তা নষ্ট করতে না পারে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি ট্রাক্টর চালকদের। নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন