১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে অলিগলিতে রমরমা ক্যারাম বোর্ড জুয়া, প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিগঞ্জে প্রায় সর্বত্রই চলছে ক্যারাম বোর্ড খেলার নামে জুয়ার আসর। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় এই জুয়া, খেলা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। রাত যত গভীর হয় টাকার অংকও বাড়তে থাকে। বাহির থেকে দেখলে মনে হয় নিছক ক্যারাম বোর্ড খেলা কিš‘ এই খেলার আড়ালে চলছে রমরমা জুয়া।
যদি ক্যারাম বোর্ড খেলা হয় তা হলে গভীর রাত পর্যন্ত কেন? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খা”েছ সাধারণ জনগনের মনে। শুধু তাই নয়, এই খেলার বিরতির মধ্যে চলে নেশার আসর। কেউ কেরাম খেলে আর তাদের সহযোগীরা চা-বিড়ি-সিগারেট নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকে না। গাঁজাসহ সব ধরণের মাদকদ্রব্য এইসব জুয়ার স্পটের পাশে হাতের নাগালে থাকে। একদিকে জুয়া অন্যদিকে নেশা, এই দুইয়ে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আর এই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণীর মায়ে তাড়ানো বাপে খেদানো বখাটে যুবক সম্প্রদায়।
সরজমিনে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনী, আটিগ্রাম এলাকা, হাউজিং এলাকা, আজিবপুর বাগান বাড়ী, শিমরাইল টেকপাড়া, তাজ জুট মিল এলাকা, আদর্শ নগর, কানা পট্টি, বাঘমারা, নিমাই কাশারী, মাদানীনগর চৌরাস্তা, মিজমিজিপাগলা বাড়ী, মজিব বাগ, আলামিন নগর ,কদমতলী এলাকা, আদমজীনগর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকা, আইল পাড়া, সুমিল পাড়া, গোদলাইন, ২নং ঢাকেরশ্বরী, চৌধূরী বাড়ী, পাঠানতলী, জালকুড়ি বাস ষ্টান্ড, জালকুড়ির দশ পাইপ এলাকা জুড়ে, মৌচাক বাস স্টান্ড, সানারপাড় স্টান্ড, মিজমিজি পশ্চিাম পাড়া, আমজাদ মার্কেট এলাকা, মিজমিজি ক্যানেল পাড়, বাশঁ বাড়ী রেস্টুরেন্ট এলাকা, মিজমিজি তালতলা, সাহেবপাড়া, মিতালী মার্কেট এলাকা, মাহামুদ নগর, কান্দপাড়া বাজার এলাকা, বসুমিয়া মার্কেট এলাকা, চৌধূরি পাড়া এলাকা, মিজমিজি ধনুহাজী এলাকা, পাইনাদী নতুন মহল্লাহ এলাকা, সিআই খোলা এলাকায়সহ সিদ্ধিরগঞ্জের অলি গলিতে ক্যারাম বোর্ড খেলা হয়। কিš‘ আসলে কি তাই? একটু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮-১০ জন মিলে ৫০০-১০০০ টাকা করে জমা দিয়ে জুয়ার আসর তৈরি করে। চলতে থাকে খেলা। চ্যাম্পিয়ান ও রানার্স আপ ঐ সব টাকা ভাগ করে নেয়। এই রকম খেলার বিজয়ীদের যখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, তখন পরাজিতরা পূণরায় খেলার জন্য টাকা যোগাড় করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এবং জড়িয়ে পড়ে অপরাধের সাথে। কেউ তার পরিবারের সদস্যদের অসু¯’্যতার কথা বলে টাকা ধার করে আনে আবার কেউ চুরি, ছিনতাই। সন্ধ্যার পর হতে শুরু হয় ক্যারাম বোর্ড নামক জুয়ার আসর। আর এই আসরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হ”েছ সাধারণ দিন মুজুর, খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ সহ স্কুল পড়য়া ছেলেরা। এরা সারা দিন যে টাকা রোজগার করছে তা সব সন্ধ্যার পরে কেরাম বোর্ড নামক জুয়ার আসরে এসে খরচ করে চলে যা”েছ। এছাড়া এই ক্যারাম বোর্ড জুয়ার কারণে সিদ্ধিরগঞ্জে চুরি, ডাকাতি বেড়ে গেছে। প্রতি রাতে বোর্ড মালিকের আয় হ”েছ হাজার হাজার টাকা। জুয়াড়ীদের যা”েছ হাজার হাজার টাকা। জুয়ার টাকা যোগাড় করতে এলাকায় চুরি, ছিনতাই চলমান রয়েছে। প্রত্যেক স্পটে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর বসছে জনসম্মুখে। রাজনৈতিক গডফাদারদের ছত্রছায়ায় চলছে এসব রমরসা জুয়ার আসর।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তাফা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। আমি আমার প্রত্যেক অফিসারকে বলে দিয়েছি যেখানে এসব ক্যারাম বোর্ড খেলা হয় তাদেরকে যেন ধরে নিয়ে আসে। এটি প্রতিরোধ করতে হলে সমাজের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানা”িছ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সিদ্ধিরগঞ্জে অলিগলিতে রমরমা ক্যারাম বোর্ড জুয়া, প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা

আপডেট সময় : ১১:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিগঞ্জে প্রায় সর্বত্রই চলছে ক্যারাম বোর্ড খেলার নামে জুয়ার আসর। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় এই জুয়া, খেলা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। রাত যত গভীর হয় টাকার অংকও বাড়তে থাকে। বাহির থেকে দেখলে মনে হয় নিছক ক্যারাম বোর্ড খেলা কিš‘ এই খেলার আড়ালে চলছে রমরমা জুয়া।
যদি ক্যারাম বোর্ড খেলা হয় তা হলে গভীর রাত পর্যন্ত কেন? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খা”েছ সাধারণ জনগনের মনে। শুধু তাই নয়, এই খেলার বিরতির মধ্যে চলে নেশার আসর। কেউ কেরাম খেলে আর তাদের সহযোগীরা চা-বিড়ি-সিগারেট নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকে না। গাঁজাসহ সব ধরণের মাদকদ্রব্য এইসব জুয়ার স্পটের পাশে হাতের নাগালে থাকে। একদিকে জুয়া অন্যদিকে নেশা, এই দুইয়ে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আর এই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণীর মায়ে তাড়ানো বাপে খেদানো বখাটে যুবক সম্প্রদায়।
সরজমিনে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনী, আটিগ্রাম এলাকা, হাউজিং এলাকা, আজিবপুর বাগান বাড়ী, শিমরাইল টেকপাড়া, তাজ জুট মিল এলাকা, আদর্শ নগর, কানা পট্টি, বাঘমারা, নিমাই কাশারী, মাদানীনগর চৌরাস্তা, মিজমিজিপাগলা বাড়ী, মজিব বাগ, আলামিন নগর ,কদমতলী এলাকা, আদমজীনগর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকা, আইল পাড়া, সুমিল পাড়া, গোদলাইন, ২নং ঢাকেরশ্বরী, চৌধূরী বাড়ী, পাঠানতলী, জালকুড়ি বাস ষ্টান্ড, জালকুড়ির দশ পাইপ এলাকা জুড়ে, মৌচাক বাস স্টান্ড, সানারপাড় স্টান্ড, মিজমিজি পশ্চিাম পাড়া, আমজাদ মার্কেট এলাকা, মিজমিজি ক্যানেল পাড়, বাশঁ বাড়ী রেস্টুরেন্ট এলাকা, মিজমিজি তালতলা, সাহেবপাড়া, মিতালী মার্কেট এলাকা, মাহামুদ নগর, কান্দপাড়া বাজার এলাকা, বসুমিয়া মার্কেট এলাকা, চৌধূরি পাড়া এলাকা, মিজমিজি ধনুহাজী এলাকা, পাইনাদী নতুন মহল্লাহ এলাকা, সিআই খোলা এলাকায়সহ সিদ্ধিরগঞ্জের অলি গলিতে ক্যারাম বোর্ড খেলা হয়। কিš‘ আসলে কি তাই? একটু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮-১০ জন মিলে ৫০০-১০০০ টাকা করে জমা দিয়ে জুয়ার আসর তৈরি করে। চলতে থাকে খেলা। চ্যাম্পিয়ান ও রানার্স আপ ঐ সব টাকা ভাগ করে নেয়। এই রকম খেলার বিজয়ীদের যখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, তখন পরাজিতরা পূণরায় খেলার জন্য টাকা যোগাড় করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এবং জড়িয়ে পড়ে অপরাধের সাথে। কেউ তার পরিবারের সদস্যদের অসু¯’্যতার কথা বলে টাকা ধার করে আনে আবার কেউ চুরি, ছিনতাই। সন্ধ্যার পর হতে শুরু হয় ক্যারাম বোর্ড নামক জুয়ার আসর। আর এই আসরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হ”েছ সাধারণ দিন মুজুর, খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ সহ স্কুল পড়য়া ছেলেরা। এরা সারা দিন যে টাকা রোজগার করছে তা সব সন্ধ্যার পরে কেরাম বোর্ড নামক জুয়ার আসরে এসে খরচ করে চলে যা”েছ। এছাড়া এই ক্যারাম বোর্ড জুয়ার কারণে সিদ্ধিরগঞ্জে চুরি, ডাকাতি বেড়ে গেছে। প্রতি রাতে বোর্ড মালিকের আয় হ”েছ হাজার হাজার টাকা। জুয়াড়ীদের যা”েছ হাজার হাজার টাকা। জুয়ার টাকা যোগাড় করতে এলাকায় চুরি, ছিনতাই চলমান রয়েছে। প্রত্যেক স্পটে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর বসছে জনসম্মুখে। রাজনৈতিক গডফাদারদের ছত্রছায়ায় চলছে এসব রমরসা জুয়ার আসর।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তাফা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। আমি আমার প্রত্যেক অফিসারকে বলে দিয়েছি যেখানে এসব ক্যারাম বোর্ড খেলা হয় তাদেরকে যেন ধরে নিয়ে আসে। এটি প্রতিরোধ করতে হলে সমাজের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানা”িছ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন