বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা-পুত্র নিহত, আহত-৫
- আপডেট সময় : ১১:২৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
- / ৬৫
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা-পুত্র নিহত হয়েছেন। এসময় স্ত্রী, ৩ সন্তান ও সিএনজি চালকসহ আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।
রবিবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নেত্রকোণা সদর উপজেলাধীন সাকুয়া বাজার এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল হাসেম (৪২) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাবাজপুর উপজেলার কামাউড়া গ্রামের আমজাদ ফকিরের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহবাজপুর উপজেলার কামারউড়া গ্রামের আমজাদ ফকিরের পুত্র আবুল হাশেম ওরফে আলাউদ্দিন (৪২) তার স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে সিএনজি যোগে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় তার খালু শ্বশুরের বাড়ীতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা সিএনজিটি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের সাকুয়া বাজারের কাছে পৌঁছালে নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী শাহ সুলতান (মোহনগঞ্জ টু ঢাকা গাড়ি নং- ঢাকা মেট্রো-ব ১২-১৩৩৮) পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এবং ঘটনাস্থলেই ছেলে বনি আমিন (১২) নিহত ও অন্যযাত্রীরা মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিতা আবুল হাশেম ওরফে আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়। আহত স্ত্রী রুবিয়া আক্তার (৪০), মেয়ে আয়েশা আক্তার(১৪), ছেলে আদম আলী (৮) ও ছোট মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে (২) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সিএনজি চালক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নাম রেজিষ্ট্রি না করেই পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নেত্রকোণা সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাকুয়া এলাকাটি ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাটাকবলিত রেডজোন হিসেবে পরিচিত। প্রায়শই নেত্রকোণা শহরতলী সাকুয়া নামক এই এলাকায় দূর্ঘটনাটা ঘটে থাকে। এনিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ভীষণভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তাদের দাবি, প্রশাসন যেন দুর্ঘটনা কবলিত এই এলাকাটিতে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ বসিয়ে আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।