১২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে চরফ্যাসনে এফডিএ-এসইপি’র উদ্যোগে দুগ্ধপণ্য মেলা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রুবেল আশরাফুল, চরফ্যাশন:

১লা জুন প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দুগ্ধ খাতের গুনাগুন তুলে ধরা এবং মানুষের খাদ্য তালিকায় দুধের অপরিসীম গুরুত্ব উপস্থাপন করতে এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। দুগ্ধ খাতে নজর বাড়াতে ২০০১ সাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিশ^ দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলায় “নিরাপদ দুগ্ধ পণ্য মেলা ২০২৩” এর আয়োজন করেছে। চরফ্যাসনের ৬ টি দুগ্ধপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পন্য এই মেলায় প্রদর্শন এবং বিক্রি করবে। এরা হলেন, উৎসব সুইটস এন্ড বেকারী, ভাই ভাই রেষ্টুরেন্ট, নিরালা রেষ্টুরেন্ট, রসমিঠাই, বাংলার রস মিষ্টি এবং সিরাজ ভাইয়ের রহমানিয়া দধি ঘর । মেলাটি আগামী ১ জুন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ ঘটিকা থেকে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত চলমান থাকবে। মানুষের খাদ্য তালিকায় দুধের অপরিসীম গুরুত্ব উপস্থাপন করতে মেলায় মহিষের দই/ভৈষা দইয়ের উপর শতকরা ৩০% পর্যন্ত ছাড় দেয়া হবে এবং দই ব্যাতিত সকল দুগ্ধপণ্যের উপর শতকরা ২৫% ছাড় দেয়া হবে। দুগ্ধ পুষ্টি উপাদান ও গুনাগুন তুলে ধরতে এবং জীবানুমুক্ত দুধ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করতে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর মাধ্যমে ভোলা জেলাকেন্দ্রিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর বাস্তবায়নে এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগীতায় চরফ্যাশনে উৎপাদিত দুগ্ধ পণ্যকে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত ও বাজারজাত করণে কাজ করছে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব খামার তৈরি, নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তিতে দুগ্ধপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং বাজারজাতকরণে প্রান্তিক খামারি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি। পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে আর্থিক ও সব ধরনের কারিগরি সহায়তা। এসইপি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, “ প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ১ গ্লাস বা ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত। বিশেষ করে শিশুদের বেড় ওঠা ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে দুধের বিকল্প নেই। দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য খুবই স্বাস্থ্যকর ও উপকারী। এসইপি প্রকল্প বরাবরের মত জীবানুমুক্ত ও পরিবেশসম্মত ভাবে দুধ ও দুগ্ধপন্য উৎপাদন এবং বিপননে মানুষকে উৎসাহিত করছে। দুগ্ধ দিবসে চরফ্যাসনে নিরাপদ দুগ্ধপণ্য মেলার সফলতা নিয়ে আমরা আশাবাদী।” মেলায় অংশগ্রহনকারী উদ্যোক্তারা জানান, ২০২২ সালের দুগ্ধ মেলায় অংশগ্রহন করায় মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। মেলায় পণ্যের মূল্য ছাড়ের কারনে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায় এবং বেশি মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছানো যায়। তারা আশা করছেন এবারের দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে নিরাপদ দুগ্ধপণ্য মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে চরফ্যাসনে এফডিএ-এসইপি’র উদ্যোগে দুগ্ধপণ্য মেলা

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রুবেল আশরাফুল, চরফ্যাশন:

১লা জুন প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দুগ্ধ খাতের গুনাগুন তুলে ধরা এবং মানুষের খাদ্য তালিকায় দুধের অপরিসীম গুরুত্ব উপস্থাপন করতে এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। দুগ্ধ খাতে নজর বাড়াতে ২০০১ সাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিশ^ দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলায় “নিরাপদ দুগ্ধ পণ্য মেলা ২০২৩” এর আয়োজন করেছে। চরফ্যাসনের ৬ টি দুগ্ধপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পন্য এই মেলায় প্রদর্শন এবং বিক্রি করবে। এরা হলেন, উৎসব সুইটস এন্ড বেকারী, ভাই ভাই রেষ্টুরেন্ট, নিরালা রেষ্টুরেন্ট, রসমিঠাই, বাংলার রস মিষ্টি এবং সিরাজ ভাইয়ের রহমানিয়া দধি ঘর । মেলাটি আগামী ১ জুন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ ঘটিকা থেকে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত চলমান থাকবে। মানুষের খাদ্য তালিকায় দুধের অপরিসীম গুরুত্ব উপস্থাপন করতে মেলায় মহিষের দই/ভৈষা দইয়ের উপর শতকরা ৩০% পর্যন্ত ছাড় দেয়া হবে এবং দই ব্যাতিত সকল দুগ্ধপণ্যের উপর শতকরা ২৫% ছাড় দেয়া হবে। দুগ্ধ পুষ্টি উপাদান ও গুনাগুন তুলে ধরতে এবং জীবানুমুক্ত দুধ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করতে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর মাধ্যমে ভোলা জেলাকেন্দ্রিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর বাস্তবায়নে এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগীতায় চরফ্যাশনে উৎপাদিত দুগ্ধ পণ্যকে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত ও বাজারজাত করণে কাজ করছে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব খামার তৈরি, নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তিতে দুগ্ধপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং বাজারজাতকরণে প্রান্তিক খামারি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি। পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে আর্থিক ও সব ধরনের কারিগরি সহায়তা। এসইপি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, “ প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ১ গ্লাস বা ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত। বিশেষ করে শিশুদের বেড় ওঠা ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে দুধের বিকল্প নেই। দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য খুবই স্বাস্থ্যকর ও উপকারী। এসইপি প্রকল্প বরাবরের মত জীবানুমুক্ত ও পরিবেশসম্মত ভাবে দুধ ও দুগ্ধপন্য উৎপাদন এবং বিপননে মানুষকে উৎসাহিত করছে। দুগ্ধ দিবসে চরফ্যাসনে নিরাপদ দুগ্ধপণ্য মেলার সফলতা নিয়ে আমরা আশাবাদী।” মেলায় অংশগ্রহনকারী উদ্যোক্তারা জানান, ২০২২ সালের দুগ্ধ মেলায় অংশগ্রহন করায় মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। মেলায় পণ্যের মূল্য ছাড়ের কারনে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায় এবং বেশি মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছানো যায়। তারা আশা করছেন এবারের দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে নিরাপদ দুগ্ধপণ্য মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন