রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ জনসভায় প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ মিছিল ও অভিযুক্ত চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ (২২ মে) সোমবার শহরের ছোটবাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও আগুন দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামীলীগের কিছু নেতা-কর্মী দলীয় শ্লোগান দিয়ে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে অফিসের তালা ভেঙে আসবাপত্র বের করে কার্যালয়ের সামনে আগুন দেন। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিভে।
এ সময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী ড. আরিফা জেসমিনের বাসা ভাঙচুর করে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চানের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে সোমবার নেত্রকোনা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান ভিপি লিটন বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাসিস্ট্রেট কামাল হোসাইনের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে শহরের ছোট বাজার দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান লিটন, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক ভজন সরকারসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, আওয়ামী লীগদলীয় স্লোগান দিয়ে কিছু নেতাকর্মী বিএনপি অফিসের তালা ভেঙে ভেতরের আসবাবপত্র বের করে কার্যালয়ের সামনে আগুন দেয়। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. আরিফা জেসমিনের বাসা ভাঙচুর করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান লিটন বলেন, রাজশাহীতে বিএনপির নেতা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। তার এই বক্তব্যে বিএনপির মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছে। আবারও নেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
মামলার বাদী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান ভিপি লিটন আদালত প্রাঙ্গনে ব্রিফিংয়ে বলেন, আসামী রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চান একজন দেশদ্রোহী। তিনি প্রকাশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে দেশকে পাকিস্তানী রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহী বিএনপির নেতা আবু সাঈদ চানের সবোর্চ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মামলা এবং আন্দোলন চালিয়ে যাব।