০৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালালেন স্বামী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ৫৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাজিম উদ্দিন রানা:

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্ত্রী শারমিন আক্তারের (২৬) লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রবাস ফেরত স্বামী মো. সুমনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন ও শাশুড়ী মনি বেগম পলাতক রয়েছে।
সোমবার (৮মে) দুপুরে হাসপাতালের ৪র্থ তলায় স্ত্রীর মৃতদেহ রেখে মুহূর্তে স্বামী সুমন সটকে পড়েন হাসপাতাল থেকে।
এর-আগে, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের (৮নং ওয়ার্ড) পূর্ব চরমনসা গ্রামের জাব্বুলা মাঝিতে গৃহবধূ শারমিন নির্যাতনের শিকার হন।
শারমিন ওই বাড়ীর মৃত মিলন হোসেনের ছেলে সুমনের স্ত্রী ও একই উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) শরীফপুর গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ীর তোফায়েলের মেয়ে।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো.নরুল আমিন জানান, আমের আচার দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৌ-শ্বাশুড়ির মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা এ তথ্য পেয়েছি।
হাসাপাতালে গৃহবধূর লাশ দেখতে এসে স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সুমন ও শাশুড়ী মনি বেগম গৃহবধূ শারমিনকে মারধর। একপর্যায়ে শারমিন অসচেতন হয়ে পড়লে, তার স্বামী তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন মারা যায়। তার মৃত্যুর পর থেকে স্বামী সুমন পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করছি। শারমিন ও সুমনের সংসারে ৭ বছর বয়সী উম্মে তাইয়েবা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মজিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। বাড়ীতে গিয়ে অভিযুক্ত মা-ছেলেকে পাওয়া যায়নি। তাদের বসতঘর বন্ধ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালালেন স্বামী

আপডেট সময় : ০৭:০০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাজিম উদ্দিন রানা:

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্ত্রী শারমিন আক্তারের (২৬) লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রবাস ফেরত স্বামী মো. সুমনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন ও শাশুড়ী মনি বেগম পলাতক রয়েছে।
সোমবার (৮মে) দুপুরে হাসপাতালের ৪র্থ তলায় স্ত্রীর মৃতদেহ রেখে মুহূর্তে স্বামী সুমন সটকে পড়েন হাসপাতাল থেকে।
এর-আগে, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের (৮নং ওয়ার্ড) পূর্ব চরমনসা গ্রামের জাব্বুলা মাঝিতে গৃহবধূ শারমিন নির্যাতনের শিকার হন।
শারমিন ওই বাড়ীর মৃত মিলন হোসেনের ছেলে সুমনের স্ত্রী ও একই উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) শরীফপুর গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ীর তোফায়েলের মেয়ে।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো.নরুল আমিন জানান, আমের আচার দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৌ-শ্বাশুড়ির মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা এ তথ্য পেয়েছি।
হাসাপাতালে গৃহবধূর লাশ দেখতে এসে স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সুমন ও শাশুড়ী মনি বেগম গৃহবধূ শারমিনকে মারধর। একপর্যায়ে শারমিন অসচেতন হয়ে পড়লে, তার স্বামী তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারমিন মারা যায়। তার মৃত্যুর পর থেকে স্বামী সুমন পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করছি। শারমিন ও সুমনের সংসারে ৭ বছর বয়সী উম্মে তাইয়েবা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মজিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। বাড়ীতে গিয়ে অভিযুক্ত মা-ছেলেকে পাওয়া যায়নি। তাদের বসতঘর বন্ধ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন