বাড়ি ফেরার পথে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
- আপডেট সময় : ১০:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
- / ৮০
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনার বারহাট্টায় কাউছার (১৯) নামক এক তরুণের দায়ের কোপে এসএসসি পরীক্ষার্থী মুক্তি রানী বর্মণ (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রানী বর্মণ উপজেলার প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার প্রেমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুক্তি ওই গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে এবং অভিযুক্ত কাউছার একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে।
মুক্তি বর্মনের ভাই লিটন বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর মুক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত মুক্তির সহপাঠী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা শেষে ফিরছিল মুক্তি ও তার সহপাঠীরা। পথে হঠাৎ করে কাউছার এসে ধারালো দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। তখন তার সহপাঠীদের চিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত কাউছার প্রয়ই মুক্তি রানীকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে দাবি করেছেন মুক্তির বড় বোন রুজিনা রানী বর্মন। তিনি বলেন, ‘কাউছার আমাকেও উত্ত্যক্ত করত। তার হুমকির কারণে পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর আমি নেত্রকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমি কাউছারের বাবা শামছুর কাছে নালিশ করেছিলাম কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় নাই। আমি নেত্রকোনা চলে যাওয়ার পর থেকেই সে আমার বোন মুক্তিকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয় কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কাউছার আমার বোনকে খুন করছে। আমি এ ঘৃণ্য অপরাধের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সে নিহত মুক্তর ব্যবহৃত ছাতা, স্কুল ব্যাগ এবং মাটিতে প্রচুর রক্ত পরে থাকতে দেখ গেছে। সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসীরা এ ঘৃণ্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কাউছার ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহ নেত্রকোনা হাসপাতালে আছে। অভিযুক্ত কাউছারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’