মঙ্গলবার সম্মেলন, শান্তিগঞ্জে সরব আওয়ামী লীগ
- আপডেট সময় : ১০:০০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
- / ৯৫
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চারদিকে উৎসবের আমেজ চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্মেলনে কর্মি জড়ো করতেও ছুটে যাচ্ছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।
সুনামগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকা জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জে মূলত দু’টি বলয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়। নির্বাচন বা সম্মেলন বলয়ভিত্তিক রাজনীতি তীব্র হয়। তবে, স্থানীয় সাংসদ মন্ত্রী এমএ মান্নান বলয় একক আধিপত্য বিস্তার করলেও এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। জগন্নাথপুর এবং শান্তিগঞ্জে পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন আজিজুস সামাদ ডন অনুসারীরা। ইতোমধ্যে তারা প্রার্থীতাও ঘোষণা করেছেন।
এ উপজেলায় বর্তমান সভাপতি আব্দুল হেকিম আবারও সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন। তবে তিনি বলেন, এখানে বলয়ের কিছু নেই। আমরা সবাই মিলে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্র বা জেলার নেতৃবৃন্দ চাইলে দলের জন্য কাজ করবো। সভাপতি পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পূর্বপাগলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রাসিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সামান্য ভোটে আমি হেরে যাই। আমাকে একটি মহল হারিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মনে করলে বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।
সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন শিমুলবাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন দোলন, শিমুলবাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম হায়দর। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন, জয়কলস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, শিমুলবাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু, পূর্বপাগলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিদুর রহমান মধু। সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আলম নিক্কু।
অন্যদিক মন্ত্রী এমএ মান্নান বলয় থেকে উল্লেখযোগ্য কেউ সভাপতি প্রার্থী না হলেও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন। এ কারণে আর কেউ প্রার্থী হন নি। তাঁর কর্মী সমর্থকরা বলছেন, আমাদের একটাই দাবি- হাসনাত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক দেখতে চাই।