০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

গজারিয়ায় মাদ্রাসার মুহতামিম ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুমন খান,গজারিয়ায়

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মাদ্রাসার মুহতামিম এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন/ বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত-রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বড় ভাটেরচর মারকাযুল উলূম মাদ্রসার নাজেরানা বিভাগের ৪জন শিশু শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ দিন যাবৎ বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো.শফি উদ্দিন(৪৭) এবং পরিচালক আবু তাহের এর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকদের চাপের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষকরা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।
গত শনিবার সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার প্রকাশ করিলে মাদ্রাসার মুহতামিম মো.শফি উদ্দিন ও শিক্ষক আবু তাহের ভুক্তভোগীদের বাসায় এসে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান,মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার অজুহাতে তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসার আবাসিক ৮-১০ জন ছাত্রকে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার পরিচালক মো.শফি উদ্দিন ও শিক্ষক আবু তাহের রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তার অফিস ও ব্যক্তিগত কক্ষে বলৎকার করে। ওই শিশুরা পরে বাড়ি গিয়ে মাদ্রাসায় ফিরতে অস্বীকার করলে বলাৎকারের কথা জানাজানি হয়ে যায়। পরে মাদ্রাসায় থাকা আবাসিক ছাত্রদের অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করান বেশ কয়েকজন অভিভাবক।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ,মাদ্রাসা মুহতামিম শফিউদ্দিনসহ আবু তাহের প্রতিনিয়ত শিশু শিক্ষার্থীদের এই অনৈতিক কাজ করে থাকতো। তবে মাদ্রাসার পরিচালক মো.শফি উদ্দিন ও শিক্ষক আবু তাহেরকে মাদ্রাসায় গিয়ে খুজে পাওয়া যায়নি।
এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়েছেন। মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগ শিগগির বন্ধ করে দেওয়া হউক তা না হলে এরকম অনৈতিক কাজ প্রতিনিয়ত ঘটতেই থাকবে।
এক শিক্ষার্থীর বাবা সুমন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ওই লম্পট মাওলানা তার ১০ বছরের ছেলেসহ কমপক্ষে ১৫ জন শিশুকে ধর্ষণ করেছেন। আমি তার শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম মো.শফিউদ্দিন ও আবু তাহেরকে মাদ্রাসায় এবং বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এমনকি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোয়েব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনটি গত কয়েক দিন আগের। তবে বলৎকারের ঘটনার এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

গজারিয়ায় মাদ্রাসার মুহতামিম ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুমন খান,গজারিয়ায়

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মাদ্রাসার মুহতামিম এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন/ বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত-রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বড় ভাটেরচর মারকাযুল উলূম মাদ্রসার নাজেরানা বিভাগের ৪জন শিশু শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ দিন যাবৎ বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো.শফি উদ্দিন(৪৭) এবং পরিচালক আবু তাহের এর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকদের চাপের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষকরা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।
গত শনিবার সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার প্রকাশ করিলে মাদ্রাসার মুহতামিম মো.শফি উদ্দিন ও শিক্ষক আবু তাহের ভুক্তভোগীদের বাসায় এসে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান,মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার অজুহাতে তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসার আবাসিক ৮-১০ জন ছাত্রকে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার পরিচালক মো.শফি উদ্দিন ও শিক্ষক আবু তাহের রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তার অফিস ও ব্যক্তিগত কক্ষে বলৎকার করে। ওই শিশুরা পরে বাড়ি গিয়ে মাদ্রাসায় ফিরতে অস্বীকার করলে বলাৎকারের কথা জানাজানি হয়ে যায়। পরে মাদ্রাসায় থাকা আবাসিক ছাত্রদের অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করান বেশ কয়েকজন অভিভাবক।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ,মাদ্রাসা মুহতামিম শফিউদ্দিনসহ আবু তাহের প্রতিনিয়ত শিশু শিক্ষার্থীদের এই অনৈতিক কাজ করে থাকতো। তবে মাদ্রাসার পরিচালক মো.শফি উদ্দিন ও শিক্ষক আবু তাহেরকে মাদ্রাসায় গিয়ে খুজে পাওয়া যায়নি।
এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়েছেন। মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগ শিগগির বন্ধ করে দেওয়া হউক তা না হলে এরকম অনৈতিক কাজ প্রতিনিয়ত ঘটতেই থাকবে।
এক শিক্ষার্থীর বাবা সুমন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ওই লম্পট মাওলানা তার ১০ বছরের ছেলেসহ কমপক্ষে ১৫ জন শিশুকে ধর্ষণ করেছেন। আমি তার শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম মো.শফিউদ্দিন ও আবু তাহেরকে মাদ্রাসায় এবং বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এমনকি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোয়েব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনটি গত কয়েক দিন আগের। তবে বলৎকারের ঘটনার এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন