১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

হরিপুরে শ্রমিকের নাম দিয়ে টাকা তুলে আত্মসাৎ এর অভিযোগ পিআইওর বিরুদ্ধে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আঃ আলিম ঠাকুরগাঁও:

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের ভূয়া শ্রমিকের নামে দিয়ে টাকা তুলে আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম এ করিমের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এই প্রকল্পের কাজ। ১৫ এপ্রিল শনিবার থেকে বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) আওতায় ৪০ দিনের কর্মসূচিতে রাস্তায় মাটি কাটার কাজ চলমান আছে।
বকুয়া ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডের মাস্টাররোল খাতায় ৪৭ নারী-পুরুষের নাম আছে। প্রতিদিনের পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা । সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
বকুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ধুকুরিয়া গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে বেতনা বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ মিলে বিজিবি ক্যাম্পের রাস্তা নির্মাণের কাজ করছেন।
সেখানে উপস্থিত একটি খসড়া খাতায় ১,২, ৩নং ওয়ার্ডে মোট ৪৭ জন নারী-পুরুষের নাম আছে। হাজিরা খাতা থেকে দেখা যায়, উপস্থিত আছেন ৪৫ জন। অনুপস্থিত ছিল ২জন শ্রমিক।
অনুপস্থিত থাকা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন(৫০) জানান, ৪০দিনের কর্মসূচির তালিকায় আমার নাম রয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি কৃষক মানুষ আমার ২/৪ বিঘা জায়গা জমি রয়েছে তাতেই চাষাবাদ করি।
অনুপস্থিত থাকা আরেক শ্রমিক জাহানারা বেগম (৪২)কে পাওয়া গেল তার বাড়িতে। তাকে ৪০দিনের কর্মসূচিতে মাটি কাটার কাজ করছেন কি না জিজ্ঞাসা করা হল সে জানায় যে আমি একজন গৃহিণী, আমি কোনো দিনই মাটি কাটার কাজ করিনি।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ৪০দিনের কর্মসূচি প্রকল্পে অনুপস্থিত থাকা ঐ দুই শ্রমিকের নামে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
ধুকুরিয়া ৩নং ওয়ার্ডের ৪০দিনের কর্মসূচির সাবেক সর্দার আবুল হোসেন জানান, ধুকুরিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম এবং আবুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হক কোনো দিনই মাটি কাটার কাজ করেনি।
৩নং ওয়ার্ডের বতর্মান কর্মসূচির সর্দার মোশাররফ হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরের নির্দেশে আমি তাদের উপস্থিতি দেখিয়েছি।
মেম্বার মেহবুব আলম বলেন, আমি যতদিন মেম্বার রয়েছি, ইসমাইল এবং জাহানারাকে কোনোদিন কাজ করতে দেখিনি।এই কথাটা প্রতিটি শ্রমিক জানে। তাদেরকেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
ট্যাগ অফিসার, হরিপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। অভিযোগ শুনলাম, ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
বকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি আবু তাহের বলেন, আপনারা যে দুটি নাম বললেন ঐ নামগুলো পিআইও দিয়েছে যদি অনিয়ম থেকেই থাকে তাহলে এটি পিআইওর বিষয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম এ করিম। হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এস এম এ করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ কে এম শরীফুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

হরিপুরে শ্রমিকের নাম দিয়ে টাকা তুলে আত্মসাৎ এর অভিযোগ পিআইওর বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আঃ আলিম ঠাকুরগাঁও:

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের ভূয়া শ্রমিকের নামে দিয়ে টাকা তুলে আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম এ করিমের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এই প্রকল্পের কাজ। ১৫ এপ্রিল শনিবার থেকে বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) আওতায় ৪০ দিনের কর্মসূচিতে রাস্তায় মাটি কাটার কাজ চলমান আছে।
বকুয়া ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডের মাস্টাররোল খাতায় ৪৭ নারী-পুরুষের নাম আছে। প্রতিদিনের পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা । সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
বকুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ধুকুরিয়া গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে বেতনা বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ মিলে বিজিবি ক্যাম্পের রাস্তা নির্মাণের কাজ করছেন।
সেখানে উপস্থিত একটি খসড়া খাতায় ১,২, ৩নং ওয়ার্ডে মোট ৪৭ জন নারী-পুরুষের নাম আছে। হাজিরা খাতা থেকে দেখা যায়, উপস্থিত আছেন ৪৫ জন। অনুপস্থিত ছিল ২জন শ্রমিক।
অনুপস্থিত থাকা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন(৫০) জানান, ৪০দিনের কর্মসূচির তালিকায় আমার নাম রয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি কৃষক মানুষ আমার ২/৪ বিঘা জায়গা জমি রয়েছে তাতেই চাষাবাদ করি।
অনুপস্থিত থাকা আরেক শ্রমিক জাহানারা বেগম (৪২)কে পাওয়া গেল তার বাড়িতে। তাকে ৪০দিনের কর্মসূচিতে মাটি কাটার কাজ করছেন কি না জিজ্ঞাসা করা হল সে জানায় যে আমি একজন গৃহিণী, আমি কোনো দিনই মাটি কাটার কাজ করিনি।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ৪০দিনের কর্মসূচি প্রকল্পে অনুপস্থিত থাকা ঐ দুই শ্রমিকের নামে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
ধুকুরিয়া ৩নং ওয়ার্ডের ৪০দিনের কর্মসূচির সাবেক সর্দার আবুল হোসেন জানান, ধুকুরিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম এবং আবুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হক কোনো দিনই মাটি কাটার কাজ করেনি।
৩নং ওয়ার্ডের বতর্মান কর্মসূচির সর্দার মোশাররফ হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরের নির্দেশে আমি তাদের উপস্থিতি দেখিয়েছি।
মেম্বার মেহবুব আলম বলেন, আমি যতদিন মেম্বার রয়েছি, ইসমাইল এবং জাহানারাকে কোনোদিন কাজ করতে দেখিনি।এই কথাটা প্রতিটি শ্রমিক জানে। তাদেরকেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
ট্যাগ অফিসার, হরিপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। অভিযোগ শুনলাম, ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
বকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি আবু তাহের বলেন, আপনারা যে দুটি নাম বললেন ঐ নামগুলো পিআইও দিয়েছে যদি অনিয়ম থেকেই থাকে তাহলে এটি পিআইওর বিষয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম এ করিম। হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এস এম এ করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ কে এম শরীফুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন