০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

“খেলা হবে “

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কবি ও সাহিত্যিকঃ রৌনকা আফরুজ সরকার

‘খেলা হবে ‘। বাক্যটি শুনে রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমান, ঝগড়া-ঝাটি করা অথবা রিয়েক্ট করার কি আছে? এটি একটি সাধারণ কথা। ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, গোল্লাছুট সহ হতেই পারে নানা রকম খেলা। বাক্যটি প্রাচীন ও সাধারণ। কথা হলো ” খেলা হবে ” বাক্যটি শুনে তেলে বেগুনে যারা জ্বলে ওঠেছে তারা খেলা বলতে কি বুঝে? প্রবাদে আছে “রতনে রতন চিনে শুয়রে চিনে কচু”। যারা যেভাবে খেলে সে ভাবেই খেলার মানে খুঁজে ও বুঝে। সারা বিশ্বেইতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে খেলা হচ্ছে এবং খেলা হবে। হঠাৎ “খেলা হবে ” নিয়ে এত হৈ চৈ কেন? জানিনা “খেলা হবে “বলতে কে কি বুঝে? শিল্পীরা যখন বাংলা সিনেমায় গান গেয়েছিল ” প্রেমের খেলা অনেক হলো-সাথী এবার ঘরে চলো” তখন কিন্তু খেলা নিয়ে কেউ গলাবাজি করে নি। তখন যখন খেলা নিয়ে গলাবাজি হয়নি তার মানে “প্রেমের খেলা নিয়ে সমস্যা নেই। যারা ক্ষেপেছে তারা “খেলা হবে ” বলতে কি বুঝে আমাদের বোধগম্য নয়।
বর্তমান বিশ্বে আমরা নেতার পরিবর্তন নিয়ে বেশি খেলছি । তাই নেতার পরিবর্তন হয়-হয়না নীতির পরিবর্তন। রাষ্ট্রের জন্য, সমাজের জন্য, নিরাপদ পৃথিবীর জন্য নেতার পরিবর্তনের চেয়ে নীতির পরিবর্তন দরকার।
বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে সরকারি দল ও বিরোধীদল প্রতিযোগিতা করে গাছ লাগানোর খেলা খেলছেনা। গাছ লাগানো নিয়ে যদি খেলা হতো বিশ্বটা সবুজ হয়ে ওঠত। মানুষ খেলছে অস্ত্র নিয়ে, খেলছে গ্রেনেড নিয়ে, খেলছে আগুন নিয়ে আরও খেলছে মানুষের জীবন নিয়ে। বিশ্বনেতাদের খেলায় মানবতা আজ নিহত আর মনুষ্যত্ব আহত। প্রতিনিয়ত আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে খেলছি। পক্ষে -বিপক্ষে যে খেলা হচ্ছে সে সুযোগ নিচ্ছে প্রকৃতি।
কেউ খেলছে আগুন জ্বালানোর খেলা, আবার কেউ খেলছে আগুন নেভানোর খেলা। কেউ খেলছে মাঠে, কেউ খেলছে ঘাটে আবার কেউ খেলছে হাটে। মানুষের খেলার ছন্দে আর মানুষের খেলার দ্বন্দে প্রকৃতি আমাদেরকে চোখ রাঙিয়েই যাচ্ছে।

আমরা সবাই জানি ছিদ্র কলসিতে পানি ঢাললে কি হয়? সকল দলই ছিদ্র কলসিতে পানি ঢালার চেষ্টা করছে। পানি ঢালার খেলাটাই হচ্ছে এবং প্রতিযোগিতা এখন তুঙ্গে। কলসির ছিদ্র বন্ধ করার খেলা কেউ খেলছে না। ছিদ্র নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই কারো। সকল দলই ছিদ্র কলসিতে পানি ঢালতে বিভিন্ন কর্মসূচী দিচ্ছে।
ছিদ্র কলসি নিয়ে এত খেলা খেললে কলসি ভেঙে যাবে।নতুন কলসি যোগাড় করলেও ছিদ্র হতে সময় লাগবেনা। বর্তমানে বৃটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে সহজেই বুঝতে পারবে সবাই নেতার পরিবর্তনে চেয়ে নীতির পরিবর্তন দরকার।
বর্তমান পৃথিবীতে সন্ত্রাসী সংস্কৃতি খুব বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। কিছু নির্বোধ জনতা আবার সন্ত্রাসী সংগঠনকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর খেলায় মেতে ওঠেছে। আত্মঘাতী খেলা বন্ধ করে সবুজায়নের খেলা খেলতে না পারলে খেলা দেখাবে প্রকৃতি। বিরূপ আবহাওয়া ও জলবায়ুর খেলায় মনে হচ্ছে মানব জাতির খেলা সাঙ্গ হবে। মানুষের অস্তিত্বই যদি বিলীন হয়ে যায় কে খেলবে? সরকারি দল খেলবে নাকি বিরোধী দল খেলবে? এভাবে চলতে থাকলে খেলবে প্রকৃতি।দিবে ফাকা মাঠে গোল। না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশরি। খেলা সরকারি দল খেলবে নাকি বিরোধী দল খেলবে নাাকি প্রকৃতি খেলবে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সবুজ পৃথিবী গড়তে না পারলে খেইল খেলবে প্রকৃতি এতে কোন সন্দেহ নেই । আসল খেলোয়াড় যে বা যারাই হোকনা কেন এটা সত্য খেলা হবে।
আসলে সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় জীবনদাতা। যিনি জীবন দিয়েছেন তিনিই আবার নানা রঙে, নানা ঢংয়ে জীবন নিচ্ছেন।যারা ক্ষেপেছে “খেলা হবে ” বাক্যটি নিয়ে তারা আবার সৃষ্টিকর্তাকে এ্যাটাক করে বক্তৃতা দিবে নাকি? সবাই একটু খেয়াল রাখবেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

“খেলা হবে “

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কবি ও সাহিত্যিকঃ রৌনকা আফরুজ সরকার

‘খেলা হবে ‘। বাক্যটি শুনে রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমান, ঝগড়া-ঝাটি করা অথবা রিয়েক্ট করার কি আছে? এটি একটি সাধারণ কথা। ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, গোল্লাছুট সহ হতেই পারে নানা রকম খেলা। বাক্যটি প্রাচীন ও সাধারণ। কথা হলো ” খেলা হবে ” বাক্যটি শুনে তেলে বেগুনে যারা জ্বলে ওঠেছে তারা খেলা বলতে কি বুঝে? প্রবাদে আছে “রতনে রতন চিনে শুয়রে চিনে কচু”। যারা যেভাবে খেলে সে ভাবেই খেলার মানে খুঁজে ও বুঝে। সারা বিশ্বেইতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে খেলা হচ্ছে এবং খেলা হবে। হঠাৎ “খেলা হবে ” নিয়ে এত হৈ চৈ কেন? জানিনা “খেলা হবে “বলতে কে কি বুঝে? শিল্পীরা যখন বাংলা সিনেমায় গান গেয়েছিল ” প্রেমের খেলা অনেক হলো-সাথী এবার ঘরে চলো” তখন কিন্তু খেলা নিয়ে কেউ গলাবাজি করে নি। তখন যখন খেলা নিয়ে গলাবাজি হয়নি তার মানে “প্রেমের খেলা নিয়ে সমস্যা নেই। যারা ক্ষেপেছে তারা “খেলা হবে ” বলতে কি বুঝে আমাদের বোধগম্য নয়।
বর্তমান বিশ্বে আমরা নেতার পরিবর্তন নিয়ে বেশি খেলছি । তাই নেতার পরিবর্তন হয়-হয়না নীতির পরিবর্তন। রাষ্ট্রের জন্য, সমাজের জন্য, নিরাপদ পৃথিবীর জন্য নেতার পরিবর্তনের চেয়ে নীতির পরিবর্তন দরকার।
বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে সরকারি দল ও বিরোধীদল প্রতিযোগিতা করে গাছ লাগানোর খেলা খেলছেনা। গাছ লাগানো নিয়ে যদি খেলা হতো বিশ্বটা সবুজ হয়ে ওঠত। মানুষ খেলছে অস্ত্র নিয়ে, খেলছে গ্রেনেড নিয়ে, খেলছে আগুন নিয়ে আরও খেলছে মানুষের জীবন নিয়ে। বিশ্বনেতাদের খেলায় মানবতা আজ নিহত আর মনুষ্যত্ব আহত। প্রতিনিয়ত আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে খেলছি। পক্ষে -বিপক্ষে যে খেলা হচ্ছে সে সুযোগ নিচ্ছে প্রকৃতি।
কেউ খেলছে আগুন জ্বালানোর খেলা, আবার কেউ খেলছে আগুন নেভানোর খেলা। কেউ খেলছে মাঠে, কেউ খেলছে ঘাটে আবার কেউ খেলছে হাটে। মানুষের খেলার ছন্দে আর মানুষের খেলার দ্বন্দে প্রকৃতি আমাদেরকে চোখ রাঙিয়েই যাচ্ছে।

আমরা সবাই জানি ছিদ্র কলসিতে পানি ঢাললে কি হয়? সকল দলই ছিদ্র কলসিতে পানি ঢালার চেষ্টা করছে। পানি ঢালার খেলাটাই হচ্ছে এবং প্রতিযোগিতা এখন তুঙ্গে। কলসির ছিদ্র বন্ধ করার খেলা কেউ খেলছে না। ছিদ্র নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই কারো। সকল দলই ছিদ্র কলসিতে পানি ঢালতে বিভিন্ন কর্মসূচী দিচ্ছে।
ছিদ্র কলসি নিয়ে এত খেলা খেললে কলসি ভেঙে যাবে।নতুন কলসি যোগাড় করলেও ছিদ্র হতে সময় লাগবেনা। বর্তমানে বৃটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে সহজেই বুঝতে পারবে সবাই নেতার পরিবর্তনে চেয়ে নীতির পরিবর্তন দরকার।
বর্তমান পৃথিবীতে সন্ত্রাসী সংস্কৃতি খুব বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। কিছু নির্বোধ জনতা আবার সন্ত্রাসী সংগঠনকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর খেলায় মেতে ওঠেছে। আত্মঘাতী খেলা বন্ধ করে সবুজায়নের খেলা খেলতে না পারলে খেলা দেখাবে প্রকৃতি। বিরূপ আবহাওয়া ও জলবায়ুর খেলায় মনে হচ্ছে মানব জাতির খেলা সাঙ্গ হবে। মানুষের অস্তিত্বই যদি বিলীন হয়ে যায় কে খেলবে? সরকারি দল খেলবে নাকি বিরোধী দল খেলবে? এভাবে চলতে থাকলে খেলবে প্রকৃতি।দিবে ফাকা মাঠে গোল। না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশরি। খেলা সরকারি দল খেলবে নাকি বিরোধী দল খেলবে নাাকি প্রকৃতি খেলবে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সবুজ পৃথিবী গড়তে না পারলে খেইল খেলবে প্রকৃতি এতে কোন সন্দেহ নেই । আসল খেলোয়াড় যে বা যারাই হোকনা কেন এটা সত্য খেলা হবে।
আসলে সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় জীবনদাতা। যিনি জীবন দিয়েছেন তিনিই আবার নানা রঙে, নানা ঢংয়ে জীবন নিচ্ছেন।যারা ক্ষেপেছে “খেলা হবে ” বাক্যটি নিয়ে তারা আবার সৃষ্টিকর্তাকে এ্যাটাক করে বক্তৃতা দিবে নাকি? সবাই একটু খেয়াল রাখবেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন