ঘুসের টাকাসহ গ্রেফতার উপ-কর কমিশনার মহিবুলের জামিন নামঞ্জুর
- আপডেট সময় : ০৭:৩৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ৫৯
সোহেল রানা রাজশাহী:
এক চিকিৎসকের কাছ থেকে নেওয়া ঘুসের ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়ার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার সকালে মহিবুলকে রাজশাহী মুখ্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আল আসাদ আশিকুজ্জামান জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার কর কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়ার বাড়ি বাগেরহাটে। তিনি ২৫তম বিসিএসের কর ক্যাডারের কর্মকর্তা।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল দুপুরে রাজশাহী কর ভবনে অভিযান চালিয়ে ঘুসের ১০ লাখ টাকাসহ উপ-কর কমিশনার (বৈতনিক সার্কেল-১৩) মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে আটক করে দুদকের একটি দল। পরে দুদকের উপ-পরিচালক (ডিডি) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করলে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মহিবুলের জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী শহিদুল হক খোকন বলেন,গ্রেফতার উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে বুধবার সকালে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মহিবুল ইসলামের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবীরা মহিবুলের জামিনের বিরোধিতা করেন। দুইপক্ষের শুনানি শেষে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ আশিকুজ্জামান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে,আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন,আমরা মহিবুল ইসলামের জামিনের আবেদন করেছিলাম। তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। বিচারক দুইপক্ষের শুনানি শেষে মহিবুলের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আমরা নথিপত্র পেয়ে উচ্চ আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করবো।
জানা গেছে, রাজশাহীর মাদারল্যান্ড ফার্টিলিটি হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা.ফাতেমা সিদ্দিকার নিষ্পত্তি হওয়া বেশকিছু কর রিটার্ন প্রতিবেদনে ২৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও কর ফাঁকির অভিযোগে ফাইল পুনরায় চালু করেন গ্রেফতার উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়া।
ডা.ফাতেমার অতীতের আয়কর রিটার্ন ফাইলে গুরুতর অসঙ্গতির কারণে তার ওপর নতুন করে সাড়ে তিন কোটি টাকা কর নিরূপণের প্রক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যে ফাইলগুলো জরিমানা ছাড়া নিষ্পত্তির জন্য উপ-কর কমিশনার মহিবুল ৬০ লাখ টাকা ঘুস চেয়েছিলেন ওই চিকিৎসকের কাছে। ডা.ফাতেমা সিদ্দিকা ৫০ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়ে গোপনে দুদকে মহিবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার সকালে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা ও তার স্বামী ইউসুফ ইসলাম উপ-কর কমিশনার মহিবুলের কক্ষে গিয়ে ১০ লাখ নগদ টাকা দেন। তারা মহিবুলের কক্ষ থেকে বের হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই দুদকের বিভাগীয় পরিচালক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়।