০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

বেশি বাড়াবাড়ি করছেন, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন : মোজাম্মেল হোসেন আলাল

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন আলাল পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে সহযোগীতা করতে গিয়ে অশান্তির সৃষ্টি যেনো কেউ না করে সেদিকে চোখ রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সে অনুরোধ রইল। আপনাদের ইউনিফর্মে, ব্যাজে আপনাদেও মনোগ্রামে আওয়ামী পুলিশ লীগ লিখা নাই। আছে বাংলাদেশ পুলিশ লিখা, বাংলাদেশ র‌্যাব, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী লিখা। তাই বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বেশি বাড়াবাড়ি কখনোই কারো জন্য ভালো হয়নি। রাজপথ, কারাগার, গুমখুন আমাদেরকে এমন ভাবে শিখিয়েছেন এখন এগুলোকে আমরা তোয়াক্কা করি না।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজারে অস্থিতিশীলতা ও বর্তমান মতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসুচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তামনে প্রতিটি ঘরের মা তাদের ছেলেদেরকে বলে, যাও যা হবার হবে, যেভাবে বেঁচে আছি এর চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। এর থেকে করবে থাকাও নিরাপদ। আর সে কাজে আপনারা যদি সহযোগিতা করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ইউনিফর্ম পড়ে। তাহলে সেটা কষ্ট দেয় মানুষকে। মানুষ কিন্তু আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকলকে আমরা দোষারোপ করি না। যাঁরা বেশি করছেন তাঁরা ভবিষ্যতে সর্তক হন। না হলে যেটা হবে আপনাদের নামও তালিকাভুক্ত করছেন ওয়াল্ডের্।ে পাশাপাশি ইউনিয়নে, থানায়সহ দেশের বিএনপির নেতাকর্মীদের কাকে কখন গ্রেফতার করলেন। কাকে কখন খুন করলেন সেটাও তালিকা হচ্ছে।
মোজাম্মেল হোসেন আলাল বলেন, শান্তির নামে গতকালকেও আওয়ামী লীগ নওগাঁয় বিএনপির পোগ্রামে মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির ইফতারের আয়োজন পুড়িয়ে দিয়ে, জ্বালিয়ে দিয়ে তারপরও সেখানে শান্তির কথা বলে। এজন্য ১৯৭১ এর শান্তি কমিটির কথা আমাদের মনে পড়ে।

তিনি বলেন, অবস্থান কর্মসুচী আমরা রমজানের মধ্যে করছি। কিন্তু যারা রমজানের মধ্যে ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছিল, রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, চট্টগ্রাম পোর্ট বন্ধ করেছিল, মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে তাদের লাশের উপর দিয়ে নাচানাচি করেছিল তাঁরা এখন শান্তির কথা বলে। আওয়ামী লীগ আমাদের শান্তির কথা বলে এটা আবার কোন শান্তি? ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কি সে শান্তি কমিটির ভুমিকায় নেমেছে? সেখানে কি পুলিশের একাংশ সহায়তা করছে? আজকে সেটা মানুষের কাছে বড় একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ৪৫ বছর পর যদি জাতীয় নেতা শেখ মুজিবের হত্যার বিচার হতে পারে। তাহলে আজকে যাঁরা অপকর্মকারী তাদের অপকর্মের বিচার হবে না এ কথা কিভাবে বিশ্বাস করেন? যারা খেলা হবে খেলা হবে বলে হুমকি দেন, ধমক দেন, তাঁরা শুনে রাখুন সে খেলার খেলোয়াড় আপনারা হবেন না। যারা খেলবে তাদেও সঙ্গে সাধারণ মানুষ বুঝবে।
বাজারে গেলে মানুষের ব্লাড প্রেশার হয়ে যায়।অসুস্থ হয়ে যার মানুষজন। এবারের রোজায় কয়টি পরিবার ভালো মন্দ খেতে পেরেছেন? গতবছরের মতো কয়টি পরিবার ইফতার করতে পারছে, সেহরিতে শান্তিমত খেতে পাড়ছে? বাজার গেলে বাসায় ফিরে মানুষ স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যায়।
আজকের কর্মসুচীতে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছে খালেদা জিয়াকে জয়ী করার জন্যে? না এখানে যারা জড়ো হয়েছে তাঁরা সাধারণ জনগণেরর মুক্তির জন্য হয়েছে। সারাদিন ভিা করেও যে মানুষ জীবনযাপন করে তারও প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করার মতা আছে। কারণ সংবিধানে উল্লেখ আছেন এটি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বেশি বাড়াবাড়ি করছেন, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন : মোজাম্মেল হোসেন আলাল

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন আলাল পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে সহযোগীতা করতে গিয়ে অশান্তির সৃষ্টি যেনো কেউ না করে সেদিকে চোখ রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সে অনুরোধ রইল। আপনাদের ইউনিফর্মে, ব্যাজে আপনাদেও মনোগ্রামে আওয়ামী পুলিশ লীগ লিখা নাই। আছে বাংলাদেশ পুলিশ লিখা, বাংলাদেশ র‌্যাব, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী লিখা। তাই বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বেশি বাড়াবাড়ি কখনোই কারো জন্য ভালো হয়নি। রাজপথ, কারাগার, গুমখুন আমাদেরকে এমন ভাবে শিখিয়েছেন এখন এগুলোকে আমরা তোয়াক্কা করি না।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজারে অস্থিতিশীলতা ও বর্তমান মতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসুচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তামনে প্রতিটি ঘরের মা তাদের ছেলেদেরকে বলে, যাও যা হবার হবে, যেভাবে বেঁচে আছি এর চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। এর থেকে করবে থাকাও নিরাপদ। আর সে কাজে আপনারা যদি সহযোগিতা করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ইউনিফর্ম পড়ে। তাহলে সেটা কষ্ট দেয় মানুষকে। মানুষ কিন্তু আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকলকে আমরা দোষারোপ করি না। যাঁরা বেশি করছেন তাঁরা ভবিষ্যতে সর্তক হন। না হলে যেটা হবে আপনাদের নামও তালিকাভুক্ত করছেন ওয়াল্ডের্।ে পাশাপাশি ইউনিয়নে, থানায়সহ দেশের বিএনপির নেতাকর্মীদের কাকে কখন গ্রেফতার করলেন। কাকে কখন খুন করলেন সেটাও তালিকা হচ্ছে।
মোজাম্মেল হোসেন আলাল বলেন, শান্তির নামে গতকালকেও আওয়ামী লীগ নওগাঁয় বিএনপির পোগ্রামে মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির ইফতারের আয়োজন পুড়িয়ে দিয়ে, জ্বালিয়ে দিয়ে তারপরও সেখানে শান্তির কথা বলে। এজন্য ১৯৭১ এর শান্তি কমিটির কথা আমাদের মনে পড়ে।

তিনি বলেন, অবস্থান কর্মসুচী আমরা রমজানের মধ্যে করছি। কিন্তু যারা রমজানের মধ্যে ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছিল, রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, চট্টগ্রাম পোর্ট বন্ধ করেছিল, মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে তাদের লাশের উপর দিয়ে নাচানাচি করেছিল তাঁরা এখন শান্তির কথা বলে। আওয়ামী লীগ আমাদের শান্তির কথা বলে এটা আবার কোন শান্তি? ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কি সে শান্তি কমিটির ভুমিকায় নেমেছে? সেখানে কি পুলিশের একাংশ সহায়তা করছে? আজকে সেটা মানুষের কাছে বড় একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ৪৫ বছর পর যদি জাতীয় নেতা শেখ মুজিবের হত্যার বিচার হতে পারে। তাহলে আজকে যাঁরা অপকর্মকারী তাদের অপকর্মের বিচার হবে না এ কথা কিভাবে বিশ্বাস করেন? যারা খেলা হবে খেলা হবে বলে হুমকি দেন, ধমক দেন, তাঁরা শুনে রাখুন সে খেলার খেলোয়াড় আপনারা হবেন না। যারা খেলবে তাদেও সঙ্গে সাধারণ মানুষ বুঝবে।
বাজারে গেলে মানুষের ব্লাড প্রেশার হয়ে যায়।অসুস্থ হয়ে যার মানুষজন। এবারের রোজায় কয়টি পরিবার ভালো মন্দ খেতে পেরেছেন? গতবছরের মতো কয়টি পরিবার ইফতার করতে পারছে, সেহরিতে শান্তিমত খেতে পাড়ছে? বাজার গেলে বাসায় ফিরে মানুষ স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যায়।
আজকের কর্মসুচীতে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছে খালেদা জিয়াকে জয়ী করার জন্যে? না এখানে যারা জড়ো হয়েছে তাঁরা সাধারণ জনগণেরর মুক্তির জন্য হয়েছে। সারাদিন ভিা করেও যে মানুষ জীবনযাপন করে তারও প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করার মতা আছে। কারণ সংবিধানে উল্লেখ আছেন এটি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন