১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

গজারিয়ায় রাতের আঁধারে নদী ভরাট দুর্ভোগের শিকার কয়েক হাজার মানুষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৫৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নিবিড়চর ও পয়স্ত হোসেন্দী ও টেংগারচর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা ফুলদি নদীর একটি শাখা। রাত আঁধারে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বালু ভরাট করে নদীর একটি বড় অংশে ভরাট করে ফেলে। এতে নৌ চলাচল বন্ধ সহ দুর্ভোগে পড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ। গত রোববার, ২৬ মার্চ মধ্য রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ও টেংগারচর ইউনিয়নের নিবিড়চর ও পয়স্ত হোসেন্দী গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে জাওয়া এ-ই মেঘনা নদীর শাখা নদীটি ভরাটের অভিযোগ উঠে।
স্থানীয়রা জানান, বাজার হোসেন্দী গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন হঠাৎ করেই নদীতে বালু ভরাট শুরু করে দিয়েছেন। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
স্থানীয় ট্রলারচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হঠাৎ করেই এই নদী পথে বালু ভরাট করার কারণে তাদের ট্রলারগুলো বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ আর আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মারাত্মক অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়লেন তারা।
স্থানীয় একটা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পয়স্ত শরিফ হোসেন বলেন, নৌকায় করে এই নদী পার হয়ে হোসেন্দী হাই স্কুলে যায় এই গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী, তবে হঠাৎ করে নদী ভরাট করে ফেলায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ করেছে তাদের কপালে।
বিষয়টি সম্পর্কে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, নদীর যে জায়গায় বালুঘাট করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে সরকারি জায়গায়। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
তবে বালু ভরাটকারী দেলোয়ার হোসেন জানান, এটি ব্যক্তিমালিকানার জায়গা আর সাম্প্রতি তিনি তা কিনে নিয়েছেন। তার ক্রয়কৃত জায়গায় বালু ভরাট করছেন। তিনি আরো বলেন, যারা সরকারি জায়গা বলছেন তাদের দাবি সত্য নয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর পর সার্ভেয়ার সরেজমিনে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে। আমাদের যাওয়ার আগেই চক্রটি ড্রেজার সরিয়ে নিয়েছে। তবে এখনো তাদের পাইপ রয়ে গেছে। বালু ভরাট কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আজ সকালে গজারিয়ার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ঘটনা স্থলে যান। সংশিষ্ট জায়গায় তহসিল টানানো সহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

গজারিয়ায় রাতের আঁধারে নদী ভরাট দুর্ভোগের শিকার কয়েক হাজার মানুষ

আপডেট সময় : ১০:৪৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নিবিড়চর ও পয়স্ত হোসেন্দী ও টেংগারচর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা ফুলদি নদীর একটি শাখা। রাত আঁধারে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বালু ভরাট করে নদীর একটি বড় অংশে ভরাট করে ফেলে। এতে নৌ চলাচল বন্ধ সহ দুর্ভোগে পড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ। গত রোববার, ২৬ মার্চ মধ্য রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ও টেংগারচর ইউনিয়নের নিবিড়চর ও পয়স্ত হোসেন্দী গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে জাওয়া এ-ই মেঘনা নদীর শাখা নদীটি ভরাটের অভিযোগ উঠে।
স্থানীয়রা জানান, বাজার হোসেন্দী গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন হঠাৎ করেই নদীতে বালু ভরাট শুরু করে দিয়েছেন। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
স্থানীয় ট্রলারচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হঠাৎ করেই এই নদী পথে বালু ভরাট করার কারণে তাদের ট্রলারগুলো বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ আর আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মারাত্মক অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়লেন তারা।
স্থানীয় একটা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পয়স্ত শরিফ হোসেন বলেন, নৌকায় করে এই নদী পার হয়ে হোসেন্দী হাই স্কুলে যায় এই গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী, তবে হঠাৎ করে নদী ভরাট করে ফেলায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ করেছে তাদের কপালে।
বিষয়টি সম্পর্কে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, নদীর যে জায়গায় বালুঘাট করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে সরকারি জায়গায়। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
তবে বালু ভরাটকারী দেলোয়ার হোসেন জানান, এটি ব্যক্তিমালিকানার জায়গা আর সাম্প্রতি তিনি তা কিনে নিয়েছেন। তার ক্রয়কৃত জায়গায় বালু ভরাট করছেন। তিনি আরো বলেন, যারা সরকারি জায়গা বলছেন তাদের দাবি সত্য নয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর পর সার্ভেয়ার সরেজমিনে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে। আমাদের যাওয়ার আগেই চক্রটি ড্রেজার সরিয়ে নিয়েছে। তবে এখনো তাদের পাইপ রয়ে গেছে। বালু ভরাট কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আজ সকালে গজারিয়ার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ঘটনা স্থলে যান। সংশিষ্ট জায়গায় তহসিল টানানো সহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন