মোজাম্মেল হক লিটন:
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে নজরুল ইসলাম সবুজ (৩০) কে ডিবি পরিচয়ে দিয়ে সাদা পোশাকধারী অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মাইজদী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাতনামা ডিবি পরিচয়কারীরা মাইক্রো চালক সবুজ কে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বেদম মারধর করে সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং সবুজ কে মাইজদী বাজার নাপিতের পোল সংলগ্ন রাস্তার উপর ফেলে যায়। এ ব্যাপারে সবুজের বাবা খোরশেদ আলম র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) বেগমগঞ্জ কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, সবুজ গত বুধবার সকালে নোয়াখালীর আদালতে হাজিরা দিয়ে দুপুরে আদালত থেকে বেরিয়ে আসলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে সবুজ কে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে সবুজ কে বেদম মারধর করে তারা বিকাশের পিন কোড চাইলে সবুজ তাদের পিন কোড না দেওয়ায় তার পায়ে সুই ঢুকিয়ে দেয় এবং সাথে থাকা স্যামসাং জে -৩ মডেলের এন্ড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সবুজকে মারধর করার ভিডিও ধারণ করে ঐ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা। পরে মারধরের ভিডিও সবুজের প্রতিবেশী চান মিয়া নামক একজনের মোবাইলে দেখা যায়। সবুজের বাবা খোরশেদ আলম গত শুক্রবার বিকেলে চাটখিল প্রেসক্লাবে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, খিলপাড়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের আশ্রম আলী হাজী বাড়ির আবু সিদ্দিকের ছেলে চান মিয়ার মোবাইলে তারা সবুজকে মারধর করার ভিডিও তারা দেখতে পেয়েছে। তাদের ধারণা চান মিয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের দিয়ে সবুজকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করেছে। তাই সবুজের বাবা দাবি করেন, চান মিয়া কে আটক করে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করলে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হবে। র্যাব -১১ (সিপিসি ০৩) বেগমগঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মিঠু বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না