বাকেরগঞ্জে জমিসহ আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছেন ২৭৭টি গৃহহীন পরিবার
- আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
- / ৬১
বরিশাল সংবাদদাতা:
গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা। হাসি ফুটেছে ২৭৭টি পরিবারের মুখে। ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তালিকা অনুযায়ী বরিশালের বাকেরগঞ্জে ‘ক শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৪৩টি পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ে ১২০টি, ২য় পর্যায়ে ৫০টি ও ৩য় পর্যায়ে ৯৬টি গৃহহীন পরিবারকে ২ (দুই) শতাংশ জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে আরও ২৭৭টি ঘর আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। সেদিনই ‘ক’শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে বাকেরগঞ্জ উপজেলা।
সোমবার (২০মার্চ) উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আবুজর মোঃ ইজাজুল হকসহ উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না—প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে উপজেলায় ২(দুই) শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক প্রান্তিক গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমবায়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চলছে রেজিস্ট্রেশনের কাজ। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশনা ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে একক গৃহ নির্মাণ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলার প্রতিটি মানুষ খুঁজে পাবে নিরাপদ আশ্রয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প যেন সেই নিরাপদ আশ্রয়ের চূড়ান্ত রূপ। সারাদেশের মত বাকেরগঞ্জে আশ্রয়ণের ঘর পাবে ২৭৭টি পরিবার। তাদেরকে ২(দুই) শতাংশ জমির মালিকানা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ওইদিন বুঝিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
মমতামাখা এ প্রকল্প আজ হাসি ফোটাচ্ছে লাখো মানুষের মুখে। ইতিপূর্বে পুনর্বাসিত ২৬৬টি পরিবারের সাথে কথোপকথনে জানা যায়, ঘর পাওয়ার আগে তারা অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্যে নতুন ঘরের ব্যবস্থা করেছেন, শিখিয়েছেন নতুন করে বাঁচতে। অনেকেই ঘরের আঙিনায় শাকসবজির চাষাবাদ করছেন। আবার কেউ কেউ হাঁস-মুরগি প্রতিপালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব মানুষের মুখে হাসিই জানান দেয় তারা ভালো আছেন। তারা কষ্টের দিনগুলো পার করে এসেছেন।