০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৫সদস্য গ্রেফতার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৬২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

দীর্ঘদিন ধরেই সুনামগঞ্জের আনাচে কানাচে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় অনেকটা অতিষ্ট হয়ে পরেছিলেন মানুষজন। রাতে চুরির ঘটনা তো আছেই দিনেও মোটরসাইকেল সরিয়ে ফেলার মতো দু:সাহস দেখাতে এই চক্রের অভিজ্ঞ সদস্যরা ছিলো সক্রিয়। অবশেষ সদর মডেল থানা পুলিশের জালে ধরা পরতে হলো চক্রের অন্যতম ৫ সদস্যকে। সডর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ি কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ সদস্যরা চক্রের এসব সদস্যদের ধরতে সক্ষম হন। অভিযানে সদর মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান ও অন্যান্য অফিসারসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের পর্যায় থেকে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেন।
গত ১৪মার্চ মঙ্গলবার গভির রাতে সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকার মকদ্দছ আলীর বাসা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। ঘরের বারান্দা থেকে নীল রংয়ের ১৩৫ সি সি পালসার মোটর সাইকেল টি চুরির পর এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হলে অজ্ঞাতনামা চোরদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
এসময় শহরের হাসননগর এলাকা থেকেই গ্রেফতার করাহয় মান্নারগাও ইউনিয়নের যোগিরগাও এলাকার মৃত আঞ্জব আলীর ছেলে খলিলুর রহমান (২৪) কে। পাশাপাশি গ্রেফতার হয় চক্রের আরেক সদস্য কয়েছ মিয়া (২৩) । সে আমবাড়ি এলাকার রইছ আলীর ছেলে। চক্রের আরেক সদস্য মোঃ আল আমিন (২৮) কেও হাসননগর থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সে যোগিরগাওয়ের মৃত সমশেদ আলীর ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সকলেই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাটি স্বীকার করে এবং আরও চুরির তথ্য দেয়। তাদের বর্ননায় উঠে আসে , সুনামগঞ্জ শহর থেকে মোটরসাইকেল চুরির পর জেলার ছাতক এলাকায় পাঠিয়ে দেয়াহয় সেগুলো।তারপর সেখান থেকে জেলার বাইরে কম দামে বিক্রি করে দেয়াহয় চুরিকৃত মোটরসাইকেলগুলো। গ্রেফতার ৩জনের দেয়া তথ্যে অভিযান পরিচালনা করাহয় জেলার ছাতকে। পুলিশের চৌকশ দলের অভিযান চলতে থাকে এলাকাভিত্তিক। সহযোগিতা করে ছাতক পুলিশও।
এসময় ছাতক থেকে গ্রেফতার করাহয় দোয়ারাবাজার এলাকার যোগিরগাওয়ের মৃত মনফর আলীর ছেলে মোঃ মনির উদ্দিন (৫২) কে। একই এলাকায় গ্রেফতার হয় ছয়ফুল ইসলাম(৩৩)। সে ছাতকের গিলছড়া এলাকার আশুর শাহ এর ছেলে। তাদের কাছথেকে হাসননগরে চুরিকৃত মটোরসাইকেল সহ আরো ১ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ৫জনই আন্ত:জেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানায় সদর মডেল থানা পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশেল অফিসার্স ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন “ জেলা শহর থেকে মোটরসাইকেল চুরির খবর পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই সক্রিয় চোর চক্রের ব্যপারে খবর পাই, বেশ কিছুদিন ধরেই এরা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক খবরে বিশেষ অভিযান শুরু হয়, ছাতকেও আমাদের টিম অভিযান চালিয়ে দুইজনকে ধরতে সক্ষম হয়, গ্রেফতার ৫জনের কাছথেকে আমরা ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও তারা চুরির ব্যপারটি স্বীকার করে, আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদের সপোর্দ করেছি”।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৫সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:০৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

দীর্ঘদিন ধরেই সুনামগঞ্জের আনাচে কানাচে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় অনেকটা অতিষ্ট হয়ে পরেছিলেন মানুষজন। রাতে চুরির ঘটনা তো আছেই দিনেও মোটরসাইকেল সরিয়ে ফেলার মতো দু:সাহস দেখাতে এই চক্রের অভিজ্ঞ সদস্যরা ছিলো সক্রিয়। অবশেষ সদর মডেল থানা পুলিশের জালে ধরা পরতে হলো চক্রের অন্যতম ৫ সদস্যকে। সডর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ি কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ সদস্যরা চক্রের এসব সদস্যদের ধরতে সক্ষম হন। অভিযানে সদর মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান ও অন্যান্য অফিসারসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের পর্যায় থেকে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেন।
গত ১৪মার্চ মঙ্গলবার গভির রাতে সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকার মকদ্দছ আলীর বাসা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। ঘরের বারান্দা থেকে নীল রংয়ের ১৩৫ সি সি পালসার মোটর সাইকেল টি চুরির পর এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হলে অজ্ঞাতনামা চোরদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
এসময় শহরের হাসননগর এলাকা থেকেই গ্রেফতার করাহয় মান্নারগাও ইউনিয়নের যোগিরগাও এলাকার মৃত আঞ্জব আলীর ছেলে খলিলুর রহমান (২৪) কে। পাশাপাশি গ্রেফতার হয় চক্রের আরেক সদস্য কয়েছ মিয়া (২৩) । সে আমবাড়ি এলাকার রইছ আলীর ছেলে। চক্রের আরেক সদস্য মোঃ আল আমিন (২৮) কেও হাসননগর থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সে যোগিরগাওয়ের মৃত সমশেদ আলীর ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সকলেই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাটি স্বীকার করে এবং আরও চুরির তথ্য দেয়। তাদের বর্ননায় উঠে আসে , সুনামগঞ্জ শহর থেকে মোটরসাইকেল চুরির পর জেলার ছাতক এলাকায় পাঠিয়ে দেয়াহয় সেগুলো।তারপর সেখান থেকে জেলার বাইরে কম দামে বিক্রি করে দেয়াহয় চুরিকৃত মোটরসাইকেলগুলো। গ্রেফতার ৩জনের দেয়া তথ্যে অভিযান পরিচালনা করাহয় জেলার ছাতকে। পুলিশের চৌকশ দলের অভিযান চলতে থাকে এলাকাভিত্তিক। সহযোগিতা করে ছাতক পুলিশও।
এসময় ছাতক থেকে গ্রেফতার করাহয় দোয়ারাবাজার এলাকার যোগিরগাওয়ের মৃত মনফর আলীর ছেলে মোঃ মনির উদ্দিন (৫২) কে। একই এলাকায় গ্রেফতার হয় ছয়ফুল ইসলাম(৩৩)। সে ছাতকের গিলছড়া এলাকার আশুর শাহ এর ছেলে। তাদের কাছথেকে হাসননগরে চুরিকৃত মটোরসাইকেল সহ আরো ১ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ৫জনই আন্ত:জেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানায় সদর মডেল থানা পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশেল অফিসার্স ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন “ জেলা শহর থেকে মোটরসাইকেল চুরির খবর পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই সক্রিয় চোর চক্রের ব্যপারে খবর পাই, বেশ কিছুদিন ধরেই এরা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক খবরে বিশেষ অভিযান শুরু হয়, ছাতকেও আমাদের টিম অভিযান চালিয়ে দুইজনকে ধরতে সক্ষম হয়, গ্রেফতার ৫জনের কাছথেকে আমরা ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও তারা চুরির ব্যপারটি স্বীকার করে, আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদের সপোর্দ করেছি”।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন