সোনারগাঁও প্রতিনিধি:
সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেনের সাথে ছোট বদি খ্যাত শীর্ষ মাদক বিক্রেতার সখ্যতার কারনে সোনারগাঁ থানা এলাকায় মাদক নির্মূল নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মাদক বিক্রেতার সাথে হাস্যজল ছবি তোলা এসআই রাকিব বদলী হলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান হোসেন। এতে করে সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে সচেতন মহলে। এসআই ইমরান হোসেন কে সোনারগাঁ থানা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সোনারগাঁয়ের সচেতন মহল। এদিকে কিছু দিন পূর্বে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে গণসচেতনামূলক এক অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা মাদক সম্রাট এসকে সজিব ওরফে নাজমুর রহমান সজিবকে সোনারগাঁয়ের ছোট বদি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সোনারগাঁয়ে একটি ছেলে আছে সে নাকি ছোট বদি এবং মাদক সম্রাট। সে কিভাবে মাদক ব্যবসা করে যদি কারো না কারো শেল্টার থাকে? শেল্টর দাতা কে? তাকে চিহিৃত করতে হবে।
সোনারগাঁও উপজেলার শিল্পনগরী মেঘনা, মোগরাপাড়া, কাঁচপুর, সাদীপুর, বারদী, জামপুর, নোয়াগাঁও, পিরোজপুর ও আমিনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মাদকের হট স্পট রয়েছে। মাদক নির্মূল পুলিশের ভূমিকা নেওয়ার তো দুরের কথা সোনারগাঁ থানার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে শীর্ষ মাদক সম্রাট এসকে সজিব ও হৃদয় প্রধানের ছবি তোলায় সোনারগাঁ থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন নিয়ে নানান প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে সচেতন মহলে।
সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি হাফিজুর রহমান, সাবেক এসআই রাকিব ও বর্তমান সেকেন্ডে অফিসার এসআই ইমরান হোসেনের সাথে মাদক কারবারি এসকে সজিব ওরফে নাজমুর রহমান সজিব ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান এর ভাতিজা হৃদয় প্রধানের একটি হাস্যজল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে পুলিশের সাথে হাস্যজল মাদক কারবারির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলা জুরে চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
সরেজমিন সোনারগাঁ উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে পুরো সোনারগাঁও থানা থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরানসহ অসাধু পুলিশের সাথে রয়েছে মাদক বিক্রেতাদের সাথে গভীর দহরম মহরম। এদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছেন থানার শীর্ষ কর্তারা। ফলে সোনারগাঁও মাদক নির্মূল তো দুরের কথা এখন সোনারগাঁ থানা এলাকা হয়ে উঠেছে মাদকের শীর্ষ স্পট। বর্তমান থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন উল্লেখ করার মতো কোন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে গত ২ বছরে এমন পরিসংখ্যান নাই। অপর দিকে সোনারগাঁয়ের মাটি ও মানুষের নেতা জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার কারনে মাদক নির্মূলে সফল হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
কারন হিসেবে জানা যায়, শীর্ষ মাদক বিক্রেতা এসকে সজিব ও হৃদয় প্রধান ঐ নেতাদের মাদক বিক্রির টাকার ভাগ দিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান হোসেন শীর্ষ মাদক বিক্রেতা এসকে সজিব ও হৃদয় প্রধানকে থানার বিভিন্ন অফিসারদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সচেতন এলাকাবাসীর দাবী মাদক বিক্রেতা যত প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান হোসেন বলেন, একটি অনুষ্ঠানে সিনিয়র অফিসারের সাথে গিয়ে ছিলাম। পরে সভার এক সাথে ছবি তোলা হয়েছে। এসকে সজিব ওরফে নাজমুর রহমান সজিব মাদক ব্যবসায়ী কি না তা আমার জানা নেই।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না