১১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বেঁচে গেলেন গৃহবধূ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতা:-

জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বেঁচে গেলেন গৃহবধূ। অপহরনের মামলায় অভিযুক্ত যুবক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় অপহরনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ একা রানী ওরফে রেখা রানী(২২)। এর আগে শনিবার(৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অপহৃত গৃহবধূকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার যুবক আমিনুল ইসলাম আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবধা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিন গোবধা গ্রামের শ্যামল চন্দ্রের জমি ক্রয় সাম্প্রতিক সময় করেন প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম। জমি ক্রয় সংক্রান্ত কাজে ওই বাড়িতে যাতায়ত করার এক পর্যয়ে আমিনুলের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে শ্যামলের স্ত্রী একা রানী ওরফে রেখা রানীর।
শুক্রবার(৪ নভেম্বর) রাতে পারিবারিক কাজে বাড়ির বাহিরে বের হলে মাইক্রোবাস নিয়ে দাড়িয়ে থাকা আমিনুল ইসলাম একা রানীকে জোরপুর্বক গাড়িতে উঠিয়ে মুখ বেঁধে ঢাকা মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায়। রাতে বাড়ির লোকজন একা রানীর কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন আদিতমারী থানায় জিডি করেন। যার জিডি নং ২৩১। পরদিন একা রানীকে বাসায় রেখে বাহিরে গেলে ওই বাসার অন্য এক নারীর সহায়তায় ঠিকানা সংগ্রহ করে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশী সহায়তা দাবি করেন গৃহবধূ একা রানী। এরপর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে একা রানীকে উদ্ধার করে এবং অপহরনকারী যুবক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। অপহৃতার নিখোঁজ জিডিমুলে আদিতমারী থানা পুলিশ ঢাকা মোহাম্মদপুর থানা থেকে অপহৃতা একা রানীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবক আমিনুলকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সোমবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে অপহৃতা একা রানী বাদি হয়ে আমিনুলকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন।

তবে অভিযুক্ত যুবক আমিনুল ইসলামের পরিবারের দাবি একা রানীর সাথে পরকীয়া প্রেম ছিল আমিনুলের। প্রেম পরিনয় বিয়ে করতেই তারা স্বেচ্ছায় রাজধানী ঢাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে ছিলেন। মেয়েটি তার পুর্বের স্বামীর চাপে প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরন মামলা দায়ের করেছে।
আদিতমারী থানা বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, রাজধানী ঢাকা থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার দেয়া অভিযোগে থানায় অপহরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় আমিনুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লালমনিরহাটে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বেঁচে গেলেন গৃহবধূ

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতা:-

জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বেঁচে গেলেন গৃহবধূ। অপহরনের মামলায় অভিযুক্ত যুবক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় অপহরনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ একা রানী ওরফে রেখা রানী(২২)। এর আগে শনিবার(৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অপহৃত গৃহবধূকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার যুবক আমিনুল ইসলাম আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবধা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিন গোবধা গ্রামের শ্যামল চন্দ্রের জমি ক্রয় সাম্প্রতিক সময় করেন প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম। জমি ক্রয় সংক্রান্ত কাজে ওই বাড়িতে যাতায়ত করার এক পর্যয়ে আমিনুলের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে শ্যামলের স্ত্রী একা রানী ওরফে রেখা রানীর।
শুক্রবার(৪ নভেম্বর) রাতে পারিবারিক কাজে বাড়ির বাহিরে বের হলে মাইক্রোবাস নিয়ে দাড়িয়ে থাকা আমিনুল ইসলাম একা রানীকে জোরপুর্বক গাড়িতে উঠিয়ে মুখ বেঁধে ঢাকা মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায়। রাতে বাড়ির লোকজন একা রানীর কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন আদিতমারী থানায় জিডি করেন। যার জিডি নং ২৩১। পরদিন একা রানীকে বাসায় রেখে বাহিরে গেলে ওই বাসার অন্য এক নারীর সহায়তায় ঠিকানা সংগ্রহ করে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশী সহায়তা দাবি করেন গৃহবধূ একা রানী। এরপর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে একা রানীকে উদ্ধার করে এবং অপহরনকারী যুবক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। অপহৃতার নিখোঁজ জিডিমুলে আদিতমারী থানা পুলিশ ঢাকা মোহাম্মদপুর থানা থেকে অপহৃতা একা রানীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবক আমিনুলকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সোমবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে অপহৃতা একা রানী বাদি হয়ে আমিনুলকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন।

তবে অভিযুক্ত যুবক আমিনুল ইসলামের পরিবারের দাবি একা রানীর সাথে পরকীয়া প্রেম ছিল আমিনুলের। প্রেম পরিনয় বিয়ে করতেই তারা স্বেচ্ছায় রাজধানী ঢাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে ছিলেন। মেয়েটি তার পুর্বের স্বামীর চাপে প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরন মামলা দায়ের করেছে।
আদিতমারী থানা বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, রাজধানী ঢাকা থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার দেয়া অভিযোগে থানায় অপহরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় আমিনুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন