মতলব দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধে আহত-৪
- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
- / ৬৯
মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের চরউমেদ গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় চরউমেদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চার জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার ওই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে মোঃ শামীম হোসেন বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বিবাদীরা হলেন, চরউমেদ গ্রামের মোঃ ইউসুফ বেপারী (৩৮), বশির উল্লাহ বেপারীর ছেলে মোঃ বাহাদুর বেপারী (২৪), আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ জিয়া সরকার (৩৭), আল ইসলাম বেপারীর ছেলে মোঃ ইসমাইল বেপারী (২৬), খোকন বেপারীর ছেলে মোঃ রফিক বেপারী (২৮), কলিম উল্লাহ বেপারীর ছেলে মোঃ আলমঙ্গীর বেপারী (২৫), আঃ ছাত্তার বেপারীর ছেলে মোঃ মামুন বেপারী (৩০), দেলোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মোঃ দ্বীন ইসলাম (২৮), আমির হোসেন বকাউলের ছেলে আবুল কালাম প্রকাশ কালা (২৪)। শনিবার দুপুরে মতলব উত্তর থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই রমিজ উদ্দিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রতার জেড় ধরে বোরহান উদ্দিন বেপারীর মোঃ মুকুল বেপারী (৫০), মোঃ হযরত ছৈয়ালের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (১৮), মৃত হাসেম প্রধানের ছেলে মোঃ নাছির উদ্দিন প্রধান (৩৮), মোঃ লাভলু বেপারীর ছেলে মোঃ জামান (১২), সুরুজ ঢালীর ছেলে মোঃ জহির পন্ডিত (৩৭), সরাফত আলী পেদার ছেলে মোঃ দুলাল পেদা (৩৮), ও হাসেম প্রধানের ছেলে মোঃ হানিফ প্রধান (৪০) এর উপর বিবাদীরা অতর্কিত হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্র ও পাইপগ্যান নিয়ে উথাল পাথাল গুলি চালায়। এতে করে তারা বেশ আহত হন। এছাড়াও মুকুল বেপারী (৫০), মোঃ সাইফুল ইসলাম (১৮), মোঃ নাছির উদ্দিন প্রধান (৩৮), মোঃ জামান (১২) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সকল বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা হাতে লাঠি-সোটা, দা, ছেনা, পিস্তল, ককটেল বোম ইত্যাদি অস্ত্র সঙ্গে সজ্জিত হয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধে আমার ভাই ১নং সাক্ষাীর পথরোধ করে সৃষ্টি করে ঘটনাস্থলে আক্রমন করে। ১নং বিবাদী ১নং সাক্ষীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে এলোপাথারী গুলি করিলে, আমার ভাইয়ের ডান চোখের ভিতর এবং মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে, ২,৩,৪, ৫নং বিবাদীরা লাঠি সোটা, লোহার রডদ্বারা এলোপাথারী পিটিয়ে হাতে, পায়ে, পিঠে কোমড়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ছেনা ও নিলাফুলা জখম করে। ২নং সাক্ষী ১নং সাক্ষীকে রক্ষা করিতে আগাইয়া গেলে, ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপদ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে ২নং সাক্ষীর মাথা করে বারি মারিলে, উক্ত বারি ২নং সাক্ষী তাহার হাতদ্বারা প্রতিহত করিতে গেলে, উক্ত বারি ২নং সাক্ষীর বাম হাতে পড়ে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম প্রাপ্ত হন। ৩নং, ৪ নং এবং ৫নং বিবাদীরা ৩নং এবং ৪নং স্বাক্ষীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী গুলি করিলে, ৩নং সাক্ষীর মাথায়, হাতে গুলিবিদ্ধ হইয়া গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয় এবং ৪নং সাক্ষীর মাথার ডান পার্শ্বে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ৫,৬,৭,৮ এবং ৯নং বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা ৩নং সাক্ষীকে এলোপাথারী পিটিয়ে ও লাথি ঘুসি মেরে ৩নং সাক্ষীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। ৭নং বিবাদী ১নং সাক্ষীর সাথে থাকা নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গোলাগুলির শব্দে ও জমীদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে আসতে থাকলে, আমাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ক্ষতি সাধন সহ সময় সুযোগে আমাদেরকে স্বপরিবারে খুন করে লাশ শুম করিবে বলে প্রকাশ্য হমিক প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে সকল বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা দ্রুত চলে যায়।
বাদী শামীম হোসেন বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে, স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় সকল জখমীদেরকে উদ্ধার করে, আশংকাজনক অবস্থায় দ্রুত স্পিটবোটদ্বারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে ভর্তি করি। জখমীগন উক্ত হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে। আমি আইনের কাছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে শনিবার বিবাদীদের সাথে কথা বলার জন্য তাদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করলে তাদের পাওয়া যায়নি।