০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সজুকে প্রধান আসামি করে দশ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৭০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধর করে লুটপাটের ঘটনায় সন্ত্রাসী সজু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ)রাতে ভুক্তভোগী আবদুল মমিন সানা হেলাল নিজে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং হল-১৪।
মামলার আসামিরা হলেন, কদমতলী এলাকার মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে তানজিম কবির সজু (৩৫) একই এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রনি (৪৫), মনির হোসেনের ছেলে আল-আমীন (৩২), জাহাঙ্গীরের ছেলে জাকারিয়া (২২), জাকির মোল্লার ছেলে হজরত আলী (২০), আমান (৩৫) জাকির মোল্লার ছেলে জুবায়ের (২০), রাজন (১৯), মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার মৃত সুন্দর আলীর ছেলে শরীফ (৩৮), একই এলাকার আন ইসলামের ছেলে লিমন (৩০)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, গত বুধবার (১ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার সন্ত্রাসী তানজিম কবির সজুর সন্ত্রাসী বাহিনী ভুক্তভোগী হেলালকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপুর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা তার ব্যবহ্নত ল্যাপটপ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় তাঁরা। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী কর্তৃক কদমতলী পুকুর পাড় এলাকায় নিয়ে সজুর নির্দেশে চোখমুখ বেধে লোহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে এলোপাথারী মারধর করা হয়। একপর্যায়ে মারধর অবস্থায় মামলার বাদী হেলালকে তার কর্মস্থল আমিনুল হকের ম্যানেজারের চাকরি ছেড়ে না দিলে কদমতলী এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না বলা হয়। এবং তাদের কথা অনুযায়ী চাকরি না ছাড়লে মেরে লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। পরে তাকে তুলে নেওয়া উক্ত ভবনের ছাদে নিয়ে ফেলে দিতে চাইলে ভুক্তভোগী তাদের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাওয়ায় তাকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তুলে নেয়ার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে হেলালের স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন ।

এ বিষয়ে মামলা বাদী আবদুল মমিন সানা হেলাল মুঠোফোনে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কদমতলী এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি ভবনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। অত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার তানজিম কবির সজু প্রায় সময়ই তার কাছে চাঁদার দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে নগদ অর্থ,ল্যাপটপ সহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায় তাঁরা। পাশাপাশি আমিনুল হক টুটুল নামক ব্যবসায়ীর ম্যানেজারি ছেড়ে না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় তাঁরা।
(ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, তানজিম কবির সজু দীর্ঘদিন যাবত অত্র কদমতলী এলাকার ত্রাস হিসেবে নিজেকে রুপান্তরিত করেছে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ইতিপূর্বে কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নানান অপকর্মের দায়ে সজুসহ তার একাধিক সদস্য গ্রেফতার হয়ে জেল হাজত খেটেছেন। কদমতলী এলাকার জব্বার গার্ডেন নামক একটি বিল্ডিংয়ে রয়েছে তাদের টর্চার সেল। সেখানে বিভিন্ন মানুষজনকে আটক করে অত্যাচার করা হয় হয় বলেও জানা যায়। শুধু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সীমাবদ্ধ নয় এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত সজু। অন্যের জমিতে দখলদারি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সজুকে প্রধান আসামি করে দশ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৭:০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধর করে লুটপাটের ঘটনায় সন্ত্রাসী সজু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ)রাতে ভুক্তভোগী আবদুল মমিন সানা হেলাল নিজে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং হল-১৪।
মামলার আসামিরা হলেন, কদমতলী এলাকার মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে তানজিম কবির সজু (৩৫) একই এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রনি (৪৫), মনির হোসেনের ছেলে আল-আমীন (৩২), জাহাঙ্গীরের ছেলে জাকারিয়া (২২), জাকির মোল্লার ছেলে হজরত আলী (২০), আমান (৩৫) জাকির মোল্লার ছেলে জুবায়ের (২০), রাজন (১৯), মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার মৃত সুন্দর আলীর ছেলে শরীফ (৩৮), একই এলাকার আন ইসলামের ছেলে লিমন (৩০)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, গত বুধবার (১ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার সন্ত্রাসী তানজিম কবির সজুর সন্ত্রাসী বাহিনী ভুক্তভোগী হেলালকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপুর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা তার ব্যবহ্নত ল্যাপটপ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় তাঁরা। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী কর্তৃক কদমতলী পুকুর পাড় এলাকায় নিয়ে সজুর নির্দেশে চোখমুখ বেধে লোহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে এলোপাথারী মারধর করা হয়। একপর্যায়ে মারধর অবস্থায় মামলার বাদী হেলালকে তার কর্মস্থল আমিনুল হকের ম্যানেজারের চাকরি ছেড়ে না দিলে কদমতলী এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না বলা হয়। এবং তাদের কথা অনুযায়ী চাকরি না ছাড়লে মেরে লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। পরে তাকে তুলে নেওয়া উক্ত ভবনের ছাদে নিয়ে ফেলে দিতে চাইলে ভুক্তভোগী তাদের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাওয়ায় তাকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তুলে নেয়ার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে হেলালের স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন ।

এ বিষয়ে মামলা বাদী আবদুল মমিন সানা হেলাল মুঠোফোনে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কদমতলী এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি ভবনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। অত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার তানজিম কবির সজু প্রায় সময়ই তার কাছে চাঁদার দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে নগদ অর্থ,ল্যাপটপ সহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায় তাঁরা। পাশাপাশি আমিনুল হক টুটুল নামক ব্যবসায়ীর ম্যানেজারি ছেড়ে না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় তাঁরা।
(ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, তানজিম কবির সজু দীর্ঘদিন যাবত অত্র কদমতলী এলাকার ত্রাস হিসেবে নিজেকে রুপান্তরিত করেছে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ইতিপূর্বে কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নানান অপকর্মের দায়ে সজুসহ তার একাধিক সদস্য গ্রেফতার হয়ে জেল হাজত খেটেছেন। কদমতলী এলাকার জব্বার গার্ডেন নামক একটি বিল্ডিংয়ে রয়েছে তাদের টর্চার সেল। সেখানে বিভিন্ন মানুষজনকে আটক করে অত্যাচার করা হয় হয় বলেও জানা যায়। শুধু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সীমাবদ্ধ নয় এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত সজু। অন্যের জমিতে দখলদারি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন