মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে প্রবাসে আটকা পড়েছে বাংলাদেশি যুবক
- আপডেট সময় : ০৮:৪৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
- / ৬৮
নিউজ ডেস্ক
মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে সৌদি আরবে আটকা পড়েছে মো. সুমন মিয়া (৩৪) নামে বাংলাদেশের এক অন্ধ যুবক। তিনি রাজধানীর ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। তার মা বেঁচে নেই, মায়ের মৃত্যুর পরই বাবা অন্যত্র বিয়ে করেছেন। দারিদ্রতার কবলে পড়া সুমন মিয়া ২০১৭ সালে পারি জমান সৌদি আরবে। ওখানে গত ১৮ জানুয়ারী কর্মরত অবস্থায় শরীরে প্রেশার বেড়ে তার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দৃষ্টি হারান ওই যুবক।
এক সপ্তাহ হাসপাতালের আইসিউতে থাকার পর মস্তিস্ক ও চোখের নার্ভ জনিত সমস্যায় তিনি অন্ধ হয়ে যান বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ। সৌদি আরবে তার ব্যাংক হিাসার নাম্বার, এনসিবি ব্যাংক এম ডি সুমন মিয়া এসএ ৭৩১০০০০০৬৪৬০০০০০৮৫৯২১০। তার মোবাইল নম্বর ০৫০২৪৩২৪১৭। সৌদি আরবে তার ইকামা নাম্বার ২৪৪০১৬০৪৯৩ ও পাসপোর্ট নাম্বার ইকে০৫০২৪৫৪।
এদিকে সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং ফাহাদ নামে একটি হাসপাতালের সুমনের চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। যা পরিশোধ করার সামর্থ নেই সুমনের। এমনকি চিকিৎসায় এত টাকা খরচ হবে তাও জানতেন না সুমন ও তার সহকর্মীরা। এ ঘটনায় বিল পরিশোধ না করতে পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুমনকে বিনা চিকিৎসায় ওই হাসপাতালে রাখে অতিরিক্ত ২৫ দিন। পরবর্তীতে লিটন নামে সহকর্মী হাসপাতালে জামিনদার হয়ে দুই সপ্তাহের সময় নিয়ে ওই যুবককে মুক্ত করে আনেন গত ২৭ ফেব্রুয়ারী। বর্তমানে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরের গুলাইল এলাকায় লিটনের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে অন্ধ সুমন। বাংলাদেশে তার স্ত্রীসহ ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যারা অনাহারে অর্ধাহারে কোনমতে দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়াও চোখের আলো ফিরে পেতে জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশে এসে সুমনের চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
ভুক্তভোগী অন্ধ সুমন মোবাইল ফোনে জানায়, চলতি মার্চ মাসে বাংলাদেশে ফেরত আসতে না পারলে সৌদি আরবে অবৈধ হয়ে যেতে হবে বলে সহজে বাংলাদেশে আর ফেরা হবেনা। চোখের সমস্যা হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ফেরার জন্য এক্সিট ভিসার ব্যবস্থা করে সুমন। যার মেয়াদ শেষ হবে প্রায় ১ মাসের মধ্যে। তাই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ দেশবাসীর কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন দৃষ্টিহারা সুমন মিয়া। এছাড়াও বাংলাদেশে মো. আব্দুর রাজ্জাক নামে তার মামা রয়েছেন, যার মোবাইল নম্বর ০১৯৭২১৯৮০৩।