১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় সরবরাহে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও সরকারি সড়ক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া, পরকোট, বাইশিন্দুর, রামনারায়নপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে পার্শ্ববর্তী একাধিক মালিকের কৃষি জমি ও ফসল নষ্ট হচ্ছে। আবার এসব মাটি পরিবহন করা হচ্ছে অবৈধ (অনুমোদনহীন) হাইড্রোলিক পিকআপ ভ্যানে করে। ফলে মাটি পরিবহনে রাস্তায় মাটি পড়ে শুকিয়ে বাতাসে উড়ে বায়ু ও পরিবেশ নষ্ট করছে। অসুস্থ হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারন। বেড়েছে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগবালাই। অন্যদিকে অনুমোদনহীন এসব হাইড্রোলিক পিকআপ ভ্যান নষ্ট করছে রাষ্ট্রের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের লোনা হাতরের পূর্ব প্রান্তে পুরান বলিয়ার বাড়ি সংলগ্ন কৃষি জমিতে বেকু মেশিন দিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী বাহার কোম্পানীর ইটের ভাটায় মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। খিলপাড়া বাজারের চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের মালিক মাসুদ ওরফে (সোনা মাসুদ) একই কৌশলে খিলপাড়া-মল্লিকা দিঘীরপাড় সড়ক সংলগ্ন সরদার বাড়ির সাথে ট্রাক্টর (ট্রলি) দিয়ে কৃষি জমি ধ্বংস করছে। এছাড়াও উপজেলার প্রায় সকল এলাকায় কৃষি জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।
একাধিক ইট ভাটা মালিকরা বলছে, ইট ভাটা চালাতে প্রধান উপকরণ মাটি। মাটি ছাড়া ইট তৈরি সম্ভব নয়। অন্যদিকে ইট ভাটার জন্য সরকারকে মোটা অংকের কর দিতে হয়। লোকসান এড়াতে উৎপাদন করা প্রয়োজন। তাই তাদের বাধ্য হয়েই কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তবে অনেকেই স্বীকার করেন কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করায় সড়ক, পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির একাধিক মালিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, কৃষি জমির মাটি ক্রেতারা বেশির ভাগই প্রভাবশালী হওয়াতে ভুক্তভোগী কৃষকরা প্রশাসনের কাছে ভয়ে অভিযোগ করেন না।

এ বিষয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া কে অবগত করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবগত করতে বলেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল রায় কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দ্রুত এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় সরবরাহে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও সরকারি সড়ক

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া, পরকোট, বাইশিন্দুর, রামনারায়নপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে পার্শ্ববর্তী একাধিক মালিকের কৃষি জমি ও ফসল নষ্ট হচ্ছে। আবার এসব মাটি পরিবহন করা হচ্ছে অবৈধ (অনুমোদনহীন) হাইড্রোলিক পিকআপ ভ্যানে করে। ফলে মাটি পরিবহনে রাস্তায় মাটি পড়ে শুকিয়ে বাতাসে উড়ে বায়ু ও পরিবেশ নষ্ট করছে। অসুস্থ হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারন। বেড়েছে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগবালাই। অন্যদিকে অনুমোদনহীন এসব হাইড্রোলিক পিকআপ ভ্যান নষ্ট করছে রাষ্ট্রের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের লোনা হাতরের পূর্ব প্রান্তে পুরান বলিয়ার বাড়ি সংলগ্ন কৃষি জমিতে বেকু মেশিন দিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী বাহার কোম্পানীর ইটের ভাটায় মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। খিলপাড়া বাজারের চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের মালিক মাসুদ ওরফে (সোনা মাসুদ) একই কৌশলে খিলপাড়া-মল্লিকা দিঘীরপাড় সড়ক সংলগ্ন সরদার বাড়ির সাথে ট্রাক্টর (ট্রলি) দিয়ে কৃষি জমি ধ্বংস করছে। এছাড়াও উপজেলার প্রায় সকল এলাকায় কৃষি জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।
একাধিক ইট ভাটা মালিকরা বলছে, ইট ভাটা চালাতে প্রধান উপকরণ মাটি। মাটি ছাড়া ইট তৈরি সম্ভব নয়। অন্যদিকে ইট ভাটার জন্য সরকারকে মোটা অংকের কর দিতে হয়। লোকসান এড়াতে উৎপাদন করা প্রয়োজন। তাই তাদের বাধ্য হয়েই কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তবে অনেকেই স্বীকার করেন কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করায় সড়ক, পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির একাধিক মালিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, কৃষি জমির মাটি ক্রেতারা বেশির ভাগই প্রভাবশালী হওয়াতে ভুক্তভোগী কৃষকরা প্রশাসনের কাছে ভয়ে অভিযোগ করেন না।

এ বিষয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া কে অবগত করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবগত করতে বলেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল রায় কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দ্রুত এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন