দুইদিনেও উদ্ধার হয়নি মতলবে নিখোঁজ হওয়া এক ছাত্রের
- আপডেট সময় : ০৮:১০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৬২
মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ে মোহনপুর পর্যটন লিঃ এর বীচ মেঘনা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে শাহরিয়ার ইশতিয়াক শামস (১৬) নামে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে সুসমিত সাহা (১৬) নিখোঁজ হয়। দুইদিনেও তার সন্ধান মেলেনি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী বেলা সাড়ে ১২ টায় এ ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালান। কিন্তু এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসছি। নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুইদিন ব্যাপী রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ স্কুলছাত্র সুসমিত সাহার সন্ধ্যান পাই নি। সেজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় অভিযোগ স্থাগিত করা হয়েছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু নিখোঁজ ব্যক্তির কোন সন্ধ্যান পাইনি। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এদিক ওদিকও খোঁজ করা হয়েছে।
নিহত ও নিখোঁজ দুই ছাত্র ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ নারায়াণগঞ্জ শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী নৌ ভ্রমনে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটনে আসেন। প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী এসেছিলেন এই সফরে। কিন্তু ফিরতে পারলেন না দুই ছাত্র।
মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বাবুল পাল বলেন, ওইদিন দুপুরে অনেক লোকজন ঘুরতে আসে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে। পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই মেঘনা নদীতে সাঁতার দেয়ার জন্য একটি জোন তৈরী করেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে অনেক শিশু-কিশোর পানিতে নেমেছে। এর মধ্যে ২ জন পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ১ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও সুসমিত সাহাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
মোহনপুর পর্যটন লিঃ এর বীচ সিকিউরিটি ম্যানেজার সাদেকুর রহমান বলেন, আমরা সবসময়ই সতর্ক করে থাকি। সাঁতার না জানলে নদীতে নামতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজকেও তাদেরকে হ্যান্ডমাইক দিয়ে নদীতে নামার জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারা সিকিউরিটি গার্ডদের সাথে দুব্যর্বহার করে নদীতে নেমেছে। তবে সামনে দিয়ে যাতে এধরণের দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে জোড় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ক্যাব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের সমন্বয়কারী আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, আমরা ছাত্রদেরকে পানিতে নামতে নিষেধ করেছি। চারদিন আগে থেকেই তাদেরকে বলা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঘটনাটি ঘটে গেল। আমরা খুবই দুঃখিত।
এদিকে নিহত ও নিখোঁজ ছাত্রের অভিভাবক ও স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা দ্রুত নিখোঁজ সুসমিত সাহাকে উদ্ধারের দাবী জানান।