০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ফাতেমা আক্তার মাহমদুা ইভা:

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া কেন্দ্রয়ী শহদি মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, আইন কলেজের প্রিন্সিপাল সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া, ভাইস-প্রিন্সিপাল রবিউল আমিন রনি, ভিপি এড. হাসান, জিএস আমজাদ, এড. সাহাদাত, জাহিদুল।
এছাড়া আরো ছিলেন, মো.পিয়াস, মো. মিজান, মো. উজ্জল, ২০২১ ব্যাচের ইভা, মো. নুর আলম, ফরহাদ, মোসা. সৃতি মোসা. লিজা, ২০২২ ব্যাচের মোসা. ফারিয়া, মোসা. রোনা, মোসা. দোলা, মোসা. জান্নাত, ২০২৩ ব্যাচের মোসা. আইরিন, মোসা. ইরানি, রিয়া, ফজলে রাব্বি, শামিম, রুপক, এনায়েতুল্লাহ, জহির, মিজান, নিবেদিতা, উর্মি, কবিতা, সোনিয়া, উপমা, সায়মা, আমেনা, ২০২৩ ব্যাচের মাহাবুবুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আইন কলেজে অধ্যাপক প্রিন্সিপাল সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মাতৃ দিবস উপলক্ষে মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে নিজের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিলেন। যা ইতিহাসে এক অবিস্বরনীয় ঘটনা। যাদের জন্য আজকে পুরো পৃথিবীতে ২১ শে ফেব্রুয়ারি “আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে স্বকৃতি পেয়েছি।
১৯৫২ সালের এই দিনে যারা আমাদের মায়ের মুখের ভাষাকে কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরই বাংলার মায়ের সন্তান সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে শত্রু বাহিনীর দাবীকে উপেক্ষা করে নেমে পড়েছিল রাজপথে। মিছিলের ধ্বনিতে কেঁপে উঠেছিল পুরো রাজপথ। শুধু একটাই ধ্বনি, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।
আর তখনি তাদের আন্দোলনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো শত্রু বাহিনীরা। এলোপাথাড়ি ভাবে চালাতে লাগলো শত্রু-পক্ষের বুলেটের আঘাতে রাজপথেই লুটিয়ে পড়লো আমাদেরই বাংলা মায়ের সন্তানরা। শহীদের মর্যাদা লাভ করলো রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকে। আর আমাদেরকে দিয়ে গেল মায়ের ভাষা। দিনটি ছিলও ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, সাল বাংলায় ৮ই ফাল্গুন, ১৩৫৯/১৯৪৭ সালে ফেব্রুয়ারি ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্মের আগ থেকেই বঞ্চিত ও শোষিত বাঙালী জনগোষ্ঠী নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য যে সংগ্রাম শুরু করে তা বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে চূড়ান্তরূপ লাভ করেছিল ১৯৫২ এর এই দিনে।
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে, ১৯৫২ সালের এই দিনে সালাম, রফিক, বরকত ও জব্বার সহ অসংখ্য নাম না জানা বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কালো পিচ-ঢালা রাজপেেথ। ভাষা আন্দোলনের তপ্ত ও বন্ধুর পথ ধরেই অর্জিত হয়েছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেদিন ঢাকার রাস্তা রক্তে লাল ছিল দাবী ছিল রাষ্টধ ভাষা বাংলার জন্য। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাই। অন্য কোন ভাষায় ও ভাষার মর্যাদার জন্য রক্ত দান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
১৯৫২ সালের সে ২১ফেব্রুয়ারি বছর ঘুরে আবার এলো একুশে ফেব্রুয়ারি। এই বিষয়ে আইন কলেজের জিএস আমজাদ ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক দিবস সকল ভাষা শহীদদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। পরিশেষে ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা, ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি যারা বাংলা ভাষার জন ̈ জীবন দিয়েছিলেন সেই সকল ভাষা শহীদদের প্রতি রইলো বিনম্্র শ্রদ্ধা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের বাঙালীদের জন্য একটি গৌরবময় উজ্জল দিন। ইতিহাসের এই দিনেই মাতৃভাষার জন্য রাজপথে জীবন দিতে হয়েছিল সালাম, বরকত ও রফিকসহ নাম না জানা আরও অনেককেই। তাদের জন্যই আজকে আমরা মন খুলে বাংলা ভাষা বলেছি ও লিখেছি। বিশ্বের ইতিহাসের বুকে মাতৃভাষার জন্য বিরল দৃষ্টান্তস্থাপন করেছিলাম আমরা এই বাঙালীরাই। আর তাই এই দিনটি আজ শুধু বাংলাদেশ স্বরণ করেনা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি স্বকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের। সারা বিশ্বই দিনটি স্বরণ করে আর সকলে একি সুরে গেয়ে উঠে,“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।” আমার পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
মাতৃভাষা উপলক্ষ্যে ভিপি হাসান বলেন, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আসলে মাতৃভাষা যেই ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি আমরা বাংলায় লিখতে পারি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধার শেষ নেই, সকল ভাষার শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহপাকের কাছে এই দোয়াই করি যেন আল্লাহ পাক সকল ভাষা শহীদদের কে বেহেস্তর সর্বোচ্চ স্থান দান করেন, সেই সাথে আরো দোয়া করি ওসমান পরিবারের যাহারা ভাষার জন্য আন্দোলন করেছেন এবং বাংলা ভাষার জন্য বিশেষ অবদান একে এম শামসুজোহা এবং নাগিনা জোহা তাদের জন্য তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি আল্লাহ যেন তাদেরকেও বেহেস্তর সর্বোচ্চ স্থান দান করেন সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং চাই যে পরবর্তী প্রজন্মকে ভাষা দিবস সম্পর্কে যাতে ভাষা দিবস সম্পর্কে যাতে তারা জানে যে ভাষা দিবসটা কি, এবং কাদের বিনিময়ে আমরা এই বাংলা ভাষা পেয়েছি আমরা এ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি কাদের অবদান এই জিনিসগুলো যাতে পরবর্তী প্রজন্ম সুন্দরভাবে জানতে পারে এ আশা ব্যক্ত করে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করলাম জয় বাংলা জয় বন্ধু।
২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইভা মাতৃভাষা সম্পর্কে বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাল! প্রত্যেক দিনের মত সকালটা শুরু হলেও দিনটি ছিল বাংলার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ একটি দিন। ভাষা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের করা সকল অত্যাচার, নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে জেগে উঠা আমাদের সূর্য ভাইয়েরা ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও রাজপথে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই স্লোগান মুখরিত হয় রাজপথ। মিছিলের হামলা চালায় পুলিশ, লাঠিচার্জ ও শুরু করে। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো ভাষা শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় প্রাণের ভাষা যুক্ত হয় রাষ্টধভাষা হিসেবে সংবিধানে। এই ভাষা আন্দোলনই পরবর্তী সকল আন্দোলন আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের ভাষা শহীদের আত্মত্যাগকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য ৫ই আগষ্ট ২০১০ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব ব্যাপি ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
“আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস” এর সূচনা হয়েছিল আমাদের বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে। প্রতি বছর এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মাতৃভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদার কথা। প্রত্যেকটা মানুষ যেনো তার মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারে এটাই নিশ্চিত করার মূলমন্ত্র নিয়ে প্রতি বছর পালিত হয় এই দিবসটি। তাইতো প্রতি বছরই মনে পরে যায়, শহীদ আলতাফ মাহমুদের সুরে অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি!!


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ

আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ফাতেমা আক্তার মাহমদুা ইভা:

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া কেন্দ্রয়ী শহদি মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, আইন কলেজের প্রিন্সিপাল সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া, ভাইস-প্রিন্সিপাল রবিউল আমিন রনি, ভিপি এড. হাসান, জিএস আমজাদ, এড. সাহাদাত, জাহিদুল।
এছাড়া আরো ছিলেন, মো.পিয়াস, মো. মিজান, মো. উজ্জল, ২০২১ ব্যাচের ইভা, মো. নুর আলম, ফরহাদ, মোসা. সৃতি মোসা. লিজা, ২০২২ ব্যাচের মোসা. ফারিয়া, মোসা. রোনা, মোসা. দোলা, মোসা. জান্নাত, ২০২৩ ব্যাচের মোসা. আইরিন, মোসা. ইরানি, রিয়া, ফজলে রাব্বি, শামিম, রুপক, এনায়েতুল্লাহ, জহির, মিজান, নিবেদিতা, উর্মি, কবিতা, সোনিয়া, উপমা, সায়মা, আমেনা, ২০২৩ ব্যাচের মাহাবুবুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আইন কলেজে অধ্যাপক প্রিন্সিপাল সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মাতৃ দিবস উপলক্ষে মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে নিজের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিলেন। যা ইতিহাসে এক অবিস্বরনীয় ঘটনা। যাদের জন্য আজকে পুরো পৃথিবীতে ২১ শে ফেব্রুয়ারি “আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে স্বকৃতি পেয়েছি।
১৯৫২ সালের এই দিনে যারা আমাদের মায়ের মুখের ভাষাকে কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরই বাংলার মায়ের সন্তান সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে শত্রু বাহিনীর দাবীকে উপেক্ষা করে নেমে পড়েছিল রাজপথে। মিছিলের ধ্বনিতে কেঁপে উঠেছিল পুরো রাজপথ। শুধু একটাই ধ্বনি, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।
আর তখনি তাদের আন্দোলনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো শত্রু বাহিনীরা। এলোপাথাড়ি ভাবে চালাতে লাগলো শত্রু-পক্ষের বুলেটের আঘাতে রাজপথেই লুটিয়ে পড়লো আমাদেরই বাংলা মায়ের সন্তানরা। শহীদের মর্যাদা লাভ করলো রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকে। আর আমাদেরকে দিয়ে গেল মায়ের ভাষা। দিনটি ছিলও ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, সাল বাংলায় ৮ই ফাল্গুন, ১৩৫৯/১৯৪৭ সালে ফেব্রুয়ারি ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্মের আগ থেকেই বঞ্চিত ও শোষিত বাঙালী জনগোষ্ঠী নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য যে সংগ্রাম শুরু করে তা বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে চূড়ান্তরূপ লাভ করেছিল ১৯৫২ এর এই দিনে।
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে, ১৯৫২ সালের এই দিনে সালাম, রফিক, বরকত ও জব্বার সহ অসংখ্য নাম না জানা বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল কালো পিচ-ঢালা রাজপেেথ। ভাষা আন্দোলনের তপ্ত ও বন্ধুর পথ ধরেই অর্জিত হয়েছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেদিন ঢাকার রাস্তা রক্তে লাল ছিল দাবী ছিল রাষ্টধ ভাষা বাংলার জন্য। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাই। অন্য কোন ভাষায় ও ভাষার মর্যাদার জন্য রক্ত দান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
১৯৫২ সালের সে ২১ফেব্রুয়ারি বছর ঘুরে আবার এলো একুশে ফেব্রুয়ারি। এই বিষয়ে আইন কলেজের জিএস আমজাদ ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক দিবস সকল ভাষা শহীদদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। পরিশেষে ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা, ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি যারা বাংলা ভাষার জন ̈ জীবন দিয়েছিলেন সেই সকল ভাষা শহীদদের প্রতি রইলো বিনম্্র শ্রদ্ধা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের বাঙালীদের জন্য একটি গৌরবময় উজ্জল দিন। ইতিহাসের এই দিনেই মাতৃভাষার জন্য রাজপথে জীবন দিতে হয়েছিল সালাম, বরকত ও রফিকসহ নাম না জানা আরও অনেককেই। তাদের জন্যই আজকে আমরা মন খুলে বাংলা ভাষা বলেছি ও লিখেছি। বিশ্বের ইতিহাসের বুকে মাতৃভাষার জন্য বিরল দৃষ্টান্তস্থাপন করেছিলাম আমরা এই বাঙালীরাই। আর তাই এই দিনটি আজ শুধু বাংলাদেশ স্বরণ করেনা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি স্বকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের। সারা বিশ্বই দিনটি স্বরণ করে আর সকলে একি সুরে গেয়ে উঠে,“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।” আমার পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
মাতৃভাষা উপলক্ষ্যে ভিপি হাসান বলেন, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আসলে মাতৃভাষা যেই ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি আমরা বাংলায় লিখতে পারি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধার শেষ নেই, সকল ভাষার শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহপাকের কাছে এই দোয়াই করি যেন আল্লাহ পাক সকল ভাষা শহীদদের কে বেহেস্তর সর্বোচ্চ স্থান দান করেন, সেই সাথে আরো দোয়া করি ওসমান পরিবারের যাহারা ভাষার জন্য আন্দোলন করেছেন এবং বাংলা ভাষার জন্য বিশেষ অবদান একে এম শামসুজোহা এবং নাগিনা জোহা তাদের জন্য তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি আল্লাহ যেন তাদেরকেও বেহেস্তর সর্বোচ্চ স্থান দান করেন সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং চাই যে পরবর্তী প্রজন্মকে ভাষা দিবস সম্পর্কে যাতে ভাষা দিবস সম্পর্কে যাতে তারা জানে যে ভাষা দিবসটা কি, এবং কাদের বিনিময়ে আমরা এই বাংলা ভাষা পেয়েছি আমরা এ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি কাদের অবদান এই জিনিসগুলো যাতে পরবর্তী প্রজন্ম সুন্দরভাবে জানতে পারে এ আশা ব্যক্ত করে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করলাম জয় বাংলা জয় বন্ধু।
২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইভা মাতৃভাষা সম্পর্কে বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাল! প্রত্যেক দিনের মত সকালটা শুরু হলেও দিনটি ছিল বাংলার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ একটি দিন। ভাষা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের করা সকল অত্যাচার, নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে জেগে উঠা আমাদের সূর্য ভাইয়েরা ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও রাজপথে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই স্লোগান মুখরিত হয় রাজপথ। মিছিলের হামলা চালায় পুলিশ, লাঠিচার্জ ও শুরু করে। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো ভাষা শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় প্রাণের ভাষা যুক্ত হয় রাষ্টধভাষা হিসেবে সংবিধানে। এই ভাষা আন্দোলনই পরবর্তী সকল আন্দোলন আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের ভাষা শহীদের আত্মত্যাগকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য ৫ই আগষ্ট ২০১০ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব ব্যাপি ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
“আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস” এর সূচনা হয়েছিল আমাদের বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে। প্রতি বছর এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মাতৃভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদার কথা। প্রত্যেকটা মানুষ যেনো তার মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারে এটাই নিশ্চিত করার মূলমন্ত্র নিয়ে প্রতি বছর পালিত হয় এই দিবসটি। তাইতো প্রতি বছরই মনে পরে যায়, শহীদ আলতাফ মাহমুদের সুরে অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি!!


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন