১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে একই ব্যক্তি, ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে একাধিক প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতা পান উপ-পরিচালক জাকির

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার:

সারাদেশের ৮ হাজারের বেশি মাদরাসার অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ, সুপার, সহ-সুপার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেট, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, আয়া, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ও মোহাদ্দেস, মোফাসসের, ফকিহ, আদিব পদে নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে সংখ্যা গরিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসাবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জারীকৃত বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দেখা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়- যেসব প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে নিয়োগ হয়,সেখানেই ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে সদস্য হয় উপপরিচালক জাকির হোসাইন।
এই নিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মহলের মাঝে চরম আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অধিদপ্তরে এত-এত কর্মকর্তা থাকার পরও কিভাবে কোন ক্ষমতাবলে একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান এনিয়েও কানাঘুষার শেষ নেই।অভিযোগ উঠেছে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সহসুপার,ফকিসহ বিভিন্ন পদে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের কন্টাক্টের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অভিযুক্ত এই উপপরিচালক। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে একের অধিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় সেখানেই নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। ফলে মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়,দেশের দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীসহ সকল পদের নিয়োগের জন্য মহাপরিচালনের প্রতিনিধি হবেন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তারা।তারা নিয়োগে সচ্ছতা রেখে মেধাবীদের নিয়োগ দিবেন। অথচ উপপরিচালক জাকির হোসাইন নিয়োগে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিতে কৌশলে নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে উপপরিচালক জাকির হোসাইন তাদের বদলীসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ধামিয়ে রাখেন এমনও অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এর ফলে সারাদেশে আট হাজারে বেশি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ. তদারকি, এমপিওসহ শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
উপ পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি সেন্টিগ্রেড একাধিক পদে নিয়োগ প্রদানকারী বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে চলছেন বলেও অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে যার প্রমাণ ডিজি প্রতিনিধি চিঠি যা মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে রয়েছে। সুত্রটি জানিয়েছে- তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে নিজেরাই বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক নিয়োগের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হন।তিনি
অধিক সংখক মাদরাসা থেকে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে চাকরির সুপারিশ করে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জানা যায়।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরে তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে মাদ্রাসাগুলোর তদারকির জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তরে মহাপরিচালকসহ মাত্র ২০ জন কর্মকর্তা প্রেষণে কাজ করছেন। তিনটি বড় প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম তৈরি এবং অন্যান্য কাজকর্ম বেড়ে গেছে অধিদপ্তরের। নিজস্ব প্রশাসনিক কাজকর্ম ছাড়াও নিয়মিত মাদ্রাসা পরিদর্শন এবং প্রতিবেদন তৈরি, এমপিও দেওয়াসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকার পরও শিক্ষক নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় বলয় তৈরি করা এই কর্মকর্তার। এর মধ্যে সারাদেশে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সহকারী সুপার পদ শূন্য হওয়া পদগুলোর নিয়োগের জন্য প্রতিদিন গড়ে একশ’র বেশি আবেদন আসে অধিদপ্তরে। আর ২০১৪ সালের জনবল অনুযায়ী প্রতিটি মাদ্রাসায় আরও অতিরিক্ত তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রতিনিধি মনোনয়ন নিয়ে অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের মাঝে বেশি ব্যস্ত থাকেন উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন তার যোগদানের পর থেকে । প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই তাকে মাঠে থাকতে হয়। এতে অধিদপ্তরে প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ- শুধু নিয়োগেই নয় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে উপপরিচালক প্রশাসন জাকির হোসাইন এর সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি তাদের সাথে অসদাচরণ করেন,টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না জাকির হোসাইন এর দপ্তর থেকে। উপপরিচালক -জাকির হোসাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে বেশীরভাগ সময় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধচারণ আর বদনাম করেন আর বিএনপি জামাতের প্রশংসা করে বিএনপি জামাতকে ক্ষমতায় বসাতে শিক্ষকদের সেই মোতাবেক কাজ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং মাঠপর্যায়ে জামাত বিএনপিপন্থি শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেন। আগে দেশের মাদ্রাসাগুলোতে ভাষা আন্দোলন ২১ফেব্রুয়ারী সহ বিভিন্ন দিবস পালন করতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হতো,এখন নোটিশ দেওয়া হয়না বিধায় উল্লেখ যোগ্য প্রতিষ্ঠানে কোন দিবস পালিত হয় না। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধু কর্ণারসহ বঙ্গবন্ধু ও দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না এখন।
জানা গেছে-মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রশাসন জাকির হোসাইন এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড এর দায়িত্বে ছিলেন। যেখানে
একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যপুস্তকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও উন্নতিতে পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পাঠ্যপুস্তক তার মনের চিন্তাধারাকে সুগঠিত করে এবং সেইসাথে তার মনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে ধারণ করে পাঠ্যপুস্তক। সমগ্র পৃথিবীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের সর্বাধিক পরিচিত মাধ্যম পাঠ্যপুস্তক। অথচ সেখানে তিনি সরকারের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে এবং বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পাঠ্যপুস্তকে কিছুপাঠদানের বিষয় নিয়ে আসেন যা নিয়ে দেশের জাতীয় সংসদেও আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে একই ব্যক্তি, ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে একাধিক প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতা পান উপ-পরিচালক জাকির

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার:

সারাদেশের ৮ হাজারের বেশি মাদরাসার অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ, সুপার, সহ-সুপার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেট, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, আয়া, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ও মোহাদ্দেস, মোফাসসের, ফকিহ, আদিব পদে নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে সংখ্যা গরিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসাবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জারীকৃত বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দেখা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়- যেসব প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে নিয়োগ হয়,সেখানেই ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে সদস্য হয় উপপরিচালক জাকির হোসাইন।
এই নিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মহলের মাঝে চরম আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অধিদপ্তরে এত-এত কর্মকর্তা থাকার পরও কিভাবে কোন ক্ষমতাবলে একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান এনিয়েও কানাঘুষার শেষ নেই।অভিযোগ উঠেছে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সহসুপার,ফকিসহ বিভিন্ন পদে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের কন্টাক্টের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অভিযুক্ত এই উপপরিচালক। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে একের অধিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় সেখানেই নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। ফলে মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়,দেশের দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীসহ সকল পদের নিয়োগের জন্য মহাপরিচালনের প্রতিনিধি হবেন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তারা।তারা নিয়োগে সচ্ছতা রেখে মেধাবীদের নিয়োগ দিবেন। অথচ উপপরিচালক জাকির হোসাইন নিয়োগে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিতে কৌশলে নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে উপপরিচালক জাকির হোসাইন তাদের বদলীসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ধামিয়ে রাখেন এমনও অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এর ফলে সারাদেশে আট হাজারে বেশি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ. তদারকি, এমপিওসহ শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
উপ পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি সেন্টিগ্রেড একাধিক পদে নিয়োগ প্রদানকারী বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে চলছেন বলেও অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে যার প্রমাণ ডিজি প্রতিনিধি চিঠি যা মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে রয়েছে। সুত্রটি জানিয়েছে- তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে নিজেরাই বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক নিয়োগের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হন।তিনি
অধিক সংখক মাদরাসা থেকে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে চাকরির সুপারিশ করে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জানা যায়।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরে তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে মাদ্রাসাগুলোর তদারকির জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তরে মহাপরিচালকসহ মাত্র ২০ জন কর্মকর্তা প্রেষণে কাজ করছেন। তিনটি বড় প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম তৈরি এবং অন্যান্য কাজকর্ম বেড়ে গেছে অধিদপ্তরের। নিজস্ব প্রশাসনিক কাজকর্ম ছাড়াও নিয়মিত মাদ্রাসা পরিদর্শন এবং প্রতিবেদন তৈরি, এমপিও দেওয়াসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকার পরও শিক্ষক নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় বলয় তৈরি করা এই কর্মকর্তার। এর মধ্যে সারাদেশে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সহকারী সুপার পদ শূন্য হওয়া পদগুলোর নিয়োগের জন্য প্রতিদিন গড়ে একশ’র বেশি আবেদন আসে অধিদপ্তরে। আর ২০১৪ সালের জনবল অনুযায়ী প্রতিটি মাদ্রাসায় আরও অতিরিক্ত তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রতিনিধি মনোনয়ন নিয়ে অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের মাঝে বেশি ব্যস্ত থাকেন উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন তার যোগদানের পর থেকে । প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই তাকে মাঠে থাকতে হয়। এতে অধিদপ্তরে প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ- শুধু নিয়োগেই নয় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে উপপরিচালক প্রশাসন জাকির হোসাইন এর সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি তাদের সাথে অসদাচরণ করেন,টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না জাকির হোসাইন এর দপ্তর থেকে। উপপরিচালক -জাকির হোসাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে বেশীরভাগ সময় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধচারণ আর বদনাম করেন আর বিএনপি জামাতের প্রশংসা করে বিএনপি জামাতকে ক্ষমতায় বসাতে শিক্ষকদের সেই মোতাবেক কাজ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং মাঠপর্যায়ে জামাত বিএনপিপন্থি শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেন। আগে দেশের মাদ্রাসাগুলোতে ভাষা আন্দোলন ২১ফেব্রুয়ারী সহ বিভিন্ন দিবস পালন করতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হতো,এখন নোটিশ দেওয়া হয়না বিধায় উল্লেখ যোগ্য প্রতিষ্ঠানে কোন দিবস পালিত হয় না। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধু কর্ণারসহ বঙ্গবন্ধু ও দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না এখন।
জানা গেছে-মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রশাসন জাকির হোসাইন এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড এর দায়িত্বে ছিলেন। যেখানে
একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যপুস্তকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও উন্নতিতে পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পাঠ্যপুস্তক তার মনের চিন্তাধারাকে সুগঠিত করে এবং সেইসাথে তার মনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে ধারণ করে পাঠ্যপুস্তক। সমগ্র পৃথিবীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের সর্বাধিক পরিচিত মাধ্যম পাঠ্যপুস্তক। অথচ সেখানে তিনি সরকারের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে এবং বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পাঠ্যপুস্তকে কিছুপাঠদানের বিষয় নিয়ে আসেন যা নিয়ে দেশের জাতীয় সংসদেও আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন