প্রতিদিনের নিউজ:
১৯৫২ সাল। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে উত্তাল সারা দেশ। বঙ্গবন্ধু ফরিদপুর জেলে বন্দী। পাকিস্তানি জান্তারা ১৪৪ ধারা জারী করলো। বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করবে সেই শপথ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় জড়ো হলো। আব্দুস সামাদ আজাদ প্রস্তাব করলেন ১০ (দশ) জন করে একেক টা মিছিল বের হবে। সবাই সম্মতি জ্ঞাপন করলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম মিছিল টি নিয়ে বের হলেন আব্দুস সামাদ আজাদ এবং সাথে সাথে আরো কয়েকটি মিছিল বের হলো। পাকিস্তানি জান্তা মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালালো। সালাম,বরকত,রফিক,জব্বার, শফিক সহ অনেকেই নিহত হলেন, আহত হলেন অনেকেই। ছাত্রনেতাদের বন্দী করা হলো। আবু ত্বোয়াহা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজ উদ্দিন আহমদ, আব্দুস সামাদ আজাদ, হাবিবুর রহমান, কে.জি মোস্তাফা, আব্দুল মতিন, গাজীউল হক সহ অনেকেই রাজবন্দী। এতে করে সারা বাংলায় দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো ভাষা আন্দোলন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পরাস্ত হলো,প্রতিষ্ঠিত হলো রাষ্ট্রভাষা "বাংলা"। ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিল।এরপর থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি "শহীদ দিবস" হিসাবেই পালিত হতো।
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষনা করার জন্য বিশ্ব দরবারে চেষ্টা চালাতে থাকেন। অবশেষে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারি কে "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" এর স্বীকৃতি প্রদান করে। আজকের এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমাদের ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিকদের এবং ভাষা শহীদদের।
আমাদের প্রিয় মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ (ছবিতে তৃতীয় সারিতে পঞ্চম) সাহেব কে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। ভাষা শহীদদের স্বপ্ন বুকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়বোই এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না