মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০৯:০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৫৯
মতলব উত্তর ব্যুরো:
স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা উপেক্ষা করে মেঘনা নদী থেকে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল বাবুর বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেছে জনতা।
মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার ষাটনল বাবুর বাজার এলাকায় মানববন্ধনেঅবৈধ বালু উউত্তোলন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপকামনা করে বক্তব্য দেন ফুলচাঁন বর্মন, কাউসার, ইমাম হোসেন, জসিম উদ্দিন সরকার, শহীদ প্রধান, মিন্টু সরকার, বোরহান মেম্বার, নজরুল ইসলাম কাজল, আবু নাসের বেপারী, আবুল হোসেন খান, জগদ্বীশ বর্মন, জিসান ও হারুন সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেঘনা নদীর ষাটনল ইউনিয়নের ষাটনল ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা উপেক্ষা দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করা হলেও প্রভাবশালী বালুদস্যু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারেনি। অব্যাহত বালু উত্তোলনে ওই ইউনিয়ন’সহ নদীর তীরের ১০ গ্রামের মানুষ নদীভাঙনের আতঙ্কে দিনযাপন করছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধও হুমকির মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেকের বসতভিটা ও ফসলি জমি। ষাটনল পর্যটনসহ এ অঞ্চলের হাজারো কৃষকের জমি রক্ষায় বালু কাটা বন্ধ করতে হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান এ ব্যাপারে বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা সীমানায় মেঘনা নদীতে কোন বালু মহাল নেই। পাশ্ববতী মুন্সিগঞ্জ জেলায় বালুমহাল রয়েছে।
তারা সুযোগ মতো চাঁদপুর জেলা সীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে বালু কাটার চেষ্টা করে। প্রশাসন বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের অর্থদন্ড ও কারাদন্ডও দিয়েছে। চাঁদপুর জেলা সীমানায় বালু কাটার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।