১২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চাটখিলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ৫৭ প্রতিষ্ঠানের ৩৯ টিতেই শহিদ মিনার নেই

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ৩২টি ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২১টি মাদ্রাসা ও ৪টি কলেজ সহ মোট ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য ৩৯টি প্রতিষ্ঠানেই শহিদ মিনার নেই। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার করা হয়নি। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলা ভাষার চেতনা লালনকারী জনসাধারন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় মতবিনিময় করতে এসে উন্নয়নের গল্প শুনায়। কোন উন্নয়ন মূলক কাজ বাকি নেই বলেও জনপ্রতিনিধিরা দাবি করে অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা শহিদ মিনার নেই। এটা আমাদের জন্য দুঃখের পাশাপাশি লজ্জারও। তাই দ্রুত শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সরেজমিনে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, যে সব প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই সে সব প্রতিষ্ঠানে অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে কলা গাছ দিয়ে ভ্রাম্যমান শহিদ মিনার তৈরী করছে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার বালিয়াধর আদর্শ জুনিয়র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম জানান, শহিদ মিনার না থাকায় প্রতিবছরই দিবসটি পালনের জন্য কলা গাছ দিয়ে ভ্রাম্যমান শহিদ মিনার তৈরী করা হয়।
চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তার প্রতিষ্ঠানেও শহিদ মিনার না থাকায় প্রতি বছর কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপজেলা প্রশাসনের শহিদ মিনারে গিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে হয়।
তিনি আরো বলেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদ কর্তৃক চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের নামে একটি শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য অনুমোদন হয়েছে জানতে পেরেছি তবে এখনো শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

চাটখিলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ৫৭ প্রতিষ্ঠানের ৩৯ টিতেই শহিদ মিনার নেই

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ৩২টি ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২১টি মাদ্রাসা ও ৪টি কলেজ সহ মোট ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য ৩৯টি প্রতিষ্ঠানেই শহিদ মিনার নেই। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার করা হয়নি। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলা ভাষার চেতনা লালনকারী জনসাধারন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় মতবিনিময় করতে এসে উন্নয়নের গল্প শুনায়। কোন উন্নয়ন মূলক কাজ বাকি নেই বলেও জনপ্রতিনিধিরা দাবি করে অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা শহিদ মিনার নেই। এটা আমাদের জন্য দুঃখের পাশাপাশি লজ্জারও। তাই দ্রুত শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সরেজমিনে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, যে সব প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই সে সব প্রতিষ্ঠানে অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে কলা গাছ দিয়ে ভ্রাম্যমান শহিদ মিনার তৈরী করছে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার বালিয়াধর আদর্শ জুনিয়র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম জানান, শহিদ মিনার না থাকায় প্রতিবছরই দিবসটি পালনের জন্য কলা গাছ দিয়ে ভ্রাম্যমান শহিদ মিনার তৈরী করা হয়।
চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তার প্রতিষ্ঠানেও শহিদ মিনার না থাকায় প্রতি বছর কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপজেলা প্রশাসনের শহিদ মিনারে গিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে হয়।
তিনি আরো বলেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদ কর্তৃক চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের নামে একটি শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য অনুমোদন হয়েছে জানতে পেরেছি তবে এখনো শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন