সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার কুখ্যাত দুর্ধর্ষ ডাকাত, ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী সাহেব আলী (৩৫) কে অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে থানা পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ চেষ্টার ফলে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮/১০ টি নিয়মিত মামলা ও একাধিক গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
ধৃত কুখ্যাত দুর্ধর্ষ ডাকাত, ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী সাহেব আলী নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
এসময় অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন, ইয়াউর রহমান, আ: রাজ্জাক, আলমগীর হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান মিয়া, জহিরুল ইসলাম-১, জহিরুল ইসলাম-২, শওকত হোসেন।
এদিকে, সাহেব আলী গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। বাদ এশা আটি ওয়াপদা কলোনী ক্যানেলপাড় মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদে নামাজ আদায় শেষে এলাকার মুসল্লি ও স্থানীয় জনতা আটি গ্রাম থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি আটি গ্রাম থেকে শুরু করে আটি ওয়াপদা কলোনী বৌবাজার প্রদক্ষিণ করে আবারো আটি গ্রামে এসে শেষ হয়। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী সাহেব আলীকে গ্রেফতার করায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো: নুর উদ্দিন মিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান। পাশাপাশি সাহেব আলীর অন্যান্য সদস্য এবং তার ও তার বাহিনীর কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার জন্য আহ্বান জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটি ওয়াপদা কলোনীর মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী একজন দুর্ধর্ষ কুখ্যাত ডাকাত, ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী। সাহেব আলীর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরী করে এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চুরিসহ নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সে তার বাহিনী নিয়ে আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার সোহরাব ওয়েল মিলটি লুটপাট শুরু করে। ওই মিলের কোটি কোটি টাকার মালামাল লুট করে শেষ করার পর আটি গ্রামে অবস্থিত বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারী মনোয়ারা জুট মিলে লুটপাট শুরু করে। ইতিমধ্যে ওই মিলের কোটি কোটি টাকার মেশিনারিজসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে খেয়ে ফেলেছে। তার এই কর্মকান্ডে কেউ বাঁধা দিলেই বাহিনী নিয়ে প্রতিবাদকারীর উপর অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। তার হামলায় অনেকে আহতও হয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে প্রকাশ্যে বীরদর্পে সে তার অপকর্ম চালিয়ে গেছে দীর্ষদিন ধরে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ৮ থেকে ১০ টি মামলা এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও র্যাব-পুলিশ বার বার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো সাহেব আলী বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে তাদেরকে ফিরে যেতে হয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে ওপেন হাউজ ডে করে সাহেব আলীকে গ্রেফতারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে যান। শনিবার সন্ধ্যায় সাহেব আলী গ্রেফতার হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না