যাত্রী নিয়ে ভারতের উদ্যাশে আন্তর্জাতিক স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে ট্রেন
- আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৫৮৪
মাহমুদ হাসান রনি,চুয়াডাঙ্গা:
ভারতের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২২তম ওরশ শরীফ উপলক্ষে দুই হাজার ১৬৩ জন ওরশযাত্রী নিয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে স্পেশাল ট্রেন। বুধবার ১৫ ফের্রুয়ারী সকাল ৯ টার দিকে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৪টি বগি সংবলিত রাজবাড়ি থেকে মেদিনীপুরের উদ্দ্যেশে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেন ছাড়ার আগে স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতৃবুন্দরা ওরস যাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি ওরশ শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারী একই পথ দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন হয়ে রাজবাড়ীতে ফিরে যাবে। জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ৩২তম ও বড় পীর গাউস-উল-আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) এর ১৯তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর ১২২তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ আগামী শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
ওই ওরস শরীফ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার উদ্যোগে রাজবাড়ী থেকে ২৪টি বগিতে ১ হাজার ২৭৬ জন পুরুষ, ৮২৭ জন নারী, ৬০ জন শিশুসহ মোট ২ হাজার ১৬৩ জন ওরশ যাত্রী স্পেশাল ট্রেনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দ্যেশে যাত্রা করে। এ ট্রেনটি যাত্রার পর ভারতের গেদে স্টেশনের বিপরীতে বাংলাদেশ সীমান্তের দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করেন। এরপর ওরসগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাষ্টমস সহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে ওরশের উদ্দ্যেশে বুধবার সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করে। মেদিনীপুরে যাওয়ার জন্য আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বরাবর আবেদনের পর লটারির মাধ্যমে দুই হাজার ১৬৩ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রতি বছর রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওরশ যাত্রীরা মেদিনীপুরে যায়। রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভালোভাবে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টা ১১ মিনিটে রাজবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন হতে মেদেনীপুরের উদ্দ্যেশে স্পেশাল ট্রেনটি যাত্রা করে। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজবাড়ী থেকে দর্শনা পর্যন্ত জিআরপি পুলিশ টিম স্পেশাল গার্ডে নিয়োজিত ছিল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনার কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি।