নাইক্ষ্যংছড়িতে সরিষা ও সূর্যমুখী ফুলের চাষ
- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৬০
কাজল কান্তি দে, কক্সবাজার
নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতিদিন সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক দর্শনার্থী ভিড় করছেন এখানে। বসন্তের হাওয়া বইছে চারপাশে। সূর্যমুখী ফুল সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। সকাল বেলা পূর্ব দিকে তাকিয়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের সাথে ঘুরতে থাকে।
নাইক্ষ্যংছড়িতে ক্ষতিকর তামাকের চাষ যখন সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে তখন কিছু কৃষক তামাক থেকে মুখ ফিরিয়ে তৈল জাতীয় শস্য সরিষা ও সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছে। জানা যায়, ৯০-৯১ সালের দিকেও এই এলাকায় সরিষা চাষ করা হত। কিন্তু হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের জেরে এই সরিষা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে বতর্মানে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি নির্ভর না হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য আবারও চাষীদের তৈল জাতীয় ফসল চাষের জন্য প্রান্তিক চাষীদের উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের বীজ, সার, কীটনাশক এবং বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে যাতে কৃষক এসব চাষে আগ্রহী হয় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্বাবলম্বী হতে পারে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চাষী ফজল করিম সরিষা চাষ করে এবং ২নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, উভয় চাষ এলাকায় প্রভাব ফেলবে এবং পরবর্তীতে আরও কৃষক এসব চাষে আগ্রহী হবে। তবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ নাইক্ষ্যংছড়িতে তৈল জাতীয় শস্যের মধ্যে প্রথম চাষ করা হয়েছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষী এই বিষয়ে খুবই খুশি এবং ফসলে অনেক লাভবান হবে বলে তাঁদের আশা। চাষীরা ফুরফুরে মেজাজে অকপটে বলে যায়, তারা এই ফুলের চাষ করে আনন্দিত এবং পরবর্তীতে আরও বেশি জায়গায় এই চাষ করবে।
উভয় চাষীরা একটু সমস্যার কথা তুলে ধরেন এই প্রতিবেদকের কাছে। তাঁদের একমাত্র সমস্যা কৃষি ক্ষেতে পানি দেওয়া। তারা জমিতে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারলে এই উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ এই চাষের প্রতি আরও আগ্রহী হবে বলে জানান এই চাষিরা।