০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

দেড় বছরে তারাকান্দার মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন ইউএনও মিজাবে রহমত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৭১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে গত ২৬ শে এপ্রিল ২০২১ সালে যোগদান করেছেন। বিভিন্ন জনকল্যাণমোলক কাজে নিজেকে সক্রিয় রাখার মাধ্যমে সফলতার সাথে দেড় বছর পূর্ণ করে হাসি ফুটিয়েছেন উপজেলাবাসীর মুখে।
বিভিন্ন সফলতার মধ্য দিয়ে তিনি সফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন ও তারাকান্দা উপজেলার সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছেন। জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের সম্পর্কই এখন বন্ধুত্বের মত।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার সরব উপস্থিতি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। রাত জেগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, করোনা মহামারীর সময় অসহায় গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনাকালীন মৃত ব্যক্তিদের সঠিক সময়ে দাফন সম্পন্ন, মৃত ব্যক্তির বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পাঠানো, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান, যেকোনো বিষয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও জাতির জনকের শতবর্ষ পালনসহ ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত দেড় বছর পূর্ণ করেছেন। ৩৩ ব্যাচ (বিসিএস) এর এই কর্মকর্তা ইতিমধ্যে তার সততা ,কর্মদক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে তারাকান্দার মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। করোনা ভাইরাসে দেশ যখন বিপর্যয়ের মুখে তখন মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জনগণের খুব কাছাকাছি যাওয়ায় জনগণের মধ্যে ইউএনওদের প্রভাব, গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তার এক নতুন মাত্রা দেখেছে তারাকান্দার সচেতন মহল।
তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মাত্র দেড় বছর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সরকারি রুটিন দায়িত্বের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যে কোনো অনুষ্ঠানে মিজাবে রহমতের উৎসাহপূর্ণ উপস্থিতিই প্রমাণ করে তিনি কতটা উদার ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ। কথাবার্তায় মার্জিত ও আচরণে অত্যন্ত ভদ্র এই মানুষটি মাত্র ১ বছর ৭ মাস সময়ে তারাকান্দাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ইউএনও মিজাবে রহমত।
উপজেলার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, একসময় উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও অফিসে সাধারণ মানুষের প্রবেশে কড়াকড়ি থাকায় প্রশাসনের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজসাধ্য ছিল না। যে কোনো প্রয়োজনে সরকারি সাহায্য পেতে হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিই ছিলেন একমাত্র ভরসা। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের এই দূরত্বের অন্যতম কারণ ছিল অজানা ভয়। কর্মকর্তারাও তাদের অফিস ছাড়া অন্য যে কোনো সম্পর্ক ও যোগাযোগের প্রতি অনীহা থাকায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তারাকান্দায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মিজাবে রহমত যোগদানের পর থেকে মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের সেই চিত্র এখন আর নেই। উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এখন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের গড়ে ওঠা এ সম্পর্কই এখন তারাকান্দার বাস্তব চিত্র।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

দেড় বছরে তারাকান্দার মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন ইউএনও মিজাবে রহমত

আপডেট সময় : ০৭:২১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে গত ২৬ শে এপ্রিল ২০২১ সালে যোগদান করেছেন। বিভিন্ন জনকল্যাণমোলক কাজে নিজেকে সক্রিয় রাখার মাধ্যমে সফলতার সাথে দেড় বছর পূর্ণ করে হাসি ফুটিয়েছেন উপজেলাবাসীর মুখে।
বিভিন্ন সফলতার মধ্য দিয়ে তিনি সফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন ও তারাকান্দা উপজেলার সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছেন। জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের সম্পর্কই এখন বন্ধুত্বের মত।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার সরব উপস্থিতি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। রাত জেগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, করোনা মহামারীর সময় অসহায় গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনাকালীন মৃত ব্যক্তিদের সঠিক সময়ে দাফন সম্পন্ন, মৃত ব্যক্তির বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পাঠানো, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান, যেকোনো বিষয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও জাতির জনকের শতবর্ষ পালনসহ ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত দেড় বছর পূর্ণ করেছেন। ৩৩ ব্যাচ (বিসিএস) এর এই কর্মকর্তা ইতিমধ্যে তার সততা ,কর্মদক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে তারাকান্দার মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। করোনা ভাইরাসে দেশ যখন বিপর্যয়ের মুখে তখন মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জনগণের খুব কাছাকাছি যাওয়ায় জনগণের মধ্যে ইউএনওদের প্রভাব, গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তার এক নতুন মাত্রা দেখেছে তারাকান্দার সচেতন মহল।
তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মাত্র দেড় বছর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সরকারি রুটিন দায়িত্বের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যে কোনো অনুষ্ঠানে মিজাবে রহমতের উৎসাহপূর্ণ উপস্থিতিই প্রমাণ করে তিনি কতটা উদার ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ। কথাবার্তায় মার্জিত ও আচরণে অত্যন্ত ভদ্র এই মানুষটি মাত্র ১ বছর ৭ মাস সময়ে তারাকান্দাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ইউএনও মিজাবে রহমত।
উপজেলার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, একসময় উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও অফিসে সাধারণ মানুষের প্রবেশে কড়াকড়ি থাকায় প্রশাসনের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজসাধ্য ছিল না। যে কোনো প্রয়োজনে সরকারি সাহায্য পেতে হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিই ছিলেন একমাত্র ভরসা। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের এই দূরত্বের অন্যতম কারণ ছিল অজানা ভয়। কর্মকর্তারাও তাদের অফিস ছাড়া অন্য যে কোনো সম্পর্ক ও যোগাযোগের প্রতি অনীহা থাকায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তারাকান্দায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মিজাবে রহমত যোগদানের পর থেকে মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের সেই চিত্র এখন আর নেই। উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এখন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের গড়ে ওঠা এ সম্পর্কই এখন তারাকান্দার বাস্তব চিত্র।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন