আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:
জেলার আদিতমারী উপজেলায় ৬৭ জন গ্রাম পুলিশ দীর্ঘ ৪ বছর ধরে পাচ্ছেন না তাদের যাতায়াত ভাতা। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেখার কেউ নেই। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, জেলার আদিতমারী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে মোট ৮১ জন গ্রাম পুলিশ বর্তমানে কর্মরত আছে। তাদের মধ্যে ৬৭ জনের গত ৪ বছর ধরে যাতায়াত ভাতা বন্ধ রেখেছে আদিতমারী উপজেলা প্রশাসন। একজন গ্রাম পুলিশ প্রতি মাসে রাজস্ব খাত থেকে ৩২৫০ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩২৫০ টাকা মোট ৬ হাজর ৫ শত টাকা বেতন পান। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই অল্প বেতনে সংসার পরিচালনা করতে গিয়ে বাড়তি ঋনের বোঝা মাথায় নিতে হচ্ছে ওই গ্রাম পুলিশ সদস্যদের।
প্রতি মাসে গ্রাম পুলিশের যাতায়াত ভাতা ১ হাজার ২ শত টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও কি কারণে তা পাচ্ছে না তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে যাতায়াত ভাতা বন্ধ থাকায় জন প্রতি দাড়িয়েছে ৬১ হাজার টাকা। ভাতা বন্ধ থাকায় গ্রাম পুলিশরা সঠিক ভাবে জনগনের সেবা দিতে পারছেনা। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে দাড়স্ত হচ্ছেন ঋন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন এনজিও।
গ্রাম পুলিশ মশিউর-জামাল উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, আমরা যা বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার চলে না। নিত্য-প্রয়োজীয় দ্রব্যের দামে ৬ হাজার ৫শত টাকায় কি ভাবে একটা সংসার চলে। তার ওপর প্রতি মাসে ৪ বার হাজিরা দেয়ার জন্য উপজেলায় যেতে হয়। বাধ্য হয়ে সংসার চালাতে গিয়ে, বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতে গিয়ে, বিভিন্ন ভাবে ঋনগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। যাতাযাত ভাতা বন্ধ হওয়ায় আমাদের বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার এ বিষয়ে বলেন, গ্রাম পুলিশের যাতায়াত ভাতার জন্য উপরে চিঠি পাঠিয়েছি, অনুমোদন আসলে দিতে পারবো।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না