ব্রয়লার মুরগির দামে ডাবল সেঞ্চুরি
- আপডেট সময় : ১২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৫৬
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
‘দামে সস্তা’ এবং সাধারণ মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণের একমাত্র সম্বল ব্রয়লার মুরগি। যা ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে। কিন্তু এবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
গতকাল শুক্রবার নেত্রকোনার বড়বাজার, কাঁচাবাজার, রেলগেইট বাজার, ঘুসের বাজারসহ বারহাট্টা, ঠাকুরাকোনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাগেছে, প্রতিটি বাজারেই ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে কেনা যেতো (১৪৫-১৫০) টাকা কেজি দরে। মাত্র তিন সপ্তাহেই ধাপে ধাপে প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
শুক্রবার জেলার বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল (১৯০-২০০) টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে (৩০০ থেকে ৩১০ টাকা) যা, গত সপ্তাহে ছিল (২৯০ থেকে ৩০০ টাকা)। আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০) টাকা দরে। বাজারে অন্যান্য মাংসের তুলনায় অনেকটা কম দামেই পাওয়া যেতো ব্রয়লার মুরগি। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষের মাংসের চাহিদা মেটানোর প্রধান ভরসা ব্রয়লার মুরগি। গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই বাড়তে শুরু করে এই মুরগির দাম।
মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে পৌর শহরের ছোট বাজারের ‘মেসার্স মরিয়ম ব্রয়লার হাউস’ এর ব্যবসায়ী রহিম শেখ বলেন, ‘এখন দাম বাড়তি দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী খামারিদের কাছ থেকে মুরগি পাচ্ছি না। শীতকালে মুরগির রোগবালাই বেশি হয় বলে, মুরগি পালন করেন না অনেক খামারি। এর ফলে এখন বাজারে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। তাই দামও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, পোলট্রি খাদ্য, বাচ্চা, ওষুধসহ সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এর আগে কখনো ২০০ টাকার বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে হয়নি। মূলত বাজারে মুরগির সরবরাহ কমার কারণেই দাম বাড়ছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলেন, দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আসন্ন রমজানে গিয়ে আরো দাম বাড়বে, অন্যান্য মাংস তো দূরের কথা ব্রয়লার মুরগিও তাঁদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ।
তারা আরও বলেন, বাজারে অন্যান্য মাংসের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি অনেকটা কম দামেই পাওয়া যায়। এ জন্য স্বল্প আয়ের মানুষের মাংসের চাহিদা মেটানোর প্রধান ভরসাই ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির দাম লাগামহীন বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বল্প আয়ের লোকজন মাংসের স্বাদই ভুলে যাবে।