১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে সাড়ে ৩শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইয়াছিন আলী ইমন,কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ৩৬৬ টি পদ শূন্য পড়ে আছে। শিক্ষক সংকটের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় , কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬৬টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটে সহকারী শিক্ষকদের তদারকি, শ্রেণি কার্যক্রম, পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়গুলো।প্রধান শিক্ষক নেই কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মুক্তারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গত ২ বছর আগে মারা যাওয়ার পরও ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য রয়েছে। এ বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বও দেওয়া হয়নি কাউকে। সহকারি শিক্ষকদের মধ্য একজন সিনিয়রকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি দায়িত্ব দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক সংকটের কারণে ৯ জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে বিদ্যালয়ে ৫ জন। ২০১৭ সালে ২৩৪টি বিদ্যালয়ে ১জন করে সহকারি শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।
করিমের খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) নুরজাহান বেগম জানান, আমরা প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও আমরা প্রধান শিক্ষকের সরকারি সুযোগ-সুবিধা কিংবা মর্যাদার দিকে থেকেও কোনো সরকারি নির্দেশনা পাইনি। আমরা হতাশার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছি।
সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের মুক্তারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকের পদ পূরণের জন্য বারবার আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। শিক্ষক পরিষদের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রুবেল বলেন, এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে জেলা সদরের চেয়ে আরও নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে চরাঞ্চলসহ দূর্গম এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, দ্রুত প্রধান শিক্ষক সংকটের বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষক সংকটের সমাধান করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এমন প্রত্যাশা শিক্ষক, অভিভাবকসহ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কুড়িগ্রামে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে সাড়ে ৩শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইয়াছিন আলী ইমন,কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ৩৬৬ টি পদ শূন্য পড়ে আছে। শিক্ষক সংকটের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় , কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬৬টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটে সহকারী শিক্ষকদের তদারকি, শ্রেণি কার্যক্রম, পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়গুলো।প্রধান শিক্ষক নেই কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মুক্তারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গত ২ বছর আগে মারা যাওয়ার পরও ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য রয়েছে। এ বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বও দেওয়া হয়নি কাউকে। সহকারি শিক্ষকদের মধ্য একজন সিনিয়রকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি দায়িত্ব দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক সংকটের কারণে ৯ জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে বিদ্যালয়ে ৫ জন। ২০১৭ সালে ২৩৪টি বিদ্যালয়ে ১জন করে সহকারি শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।
করিমের খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) নুরজাহান বেগম জানান, আমরা প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও আমরা প্রধান শিক্ষকের সরকারি সুযোগ-সুবিধা কিংবা মর্যাদার দিকে থেকেও কোনো সরকারি নির্দেশনা পাইনি। আমরা হতাশার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছি।
সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের মুক্তারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকের পদ পূরণের জন্য বারবার আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। শিক্ষক পরিষদের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রুবেল বলেন, এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে জেলা সদরের চেয়ে আরও নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে চরাঞ্চলসহ দূর্গম এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, দ্রুত প্রধান শিক্ষক সংকটের বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষক সংকটের সমাধান করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এমন প্রত্যাশা শিক্ষক, অভিভাবকসহ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন