১২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার-টেকনাফ দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ পর্যটকের বাড়তি আকর্ষণ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের বাড়তি আকর্ষণ কক্সবাজার-টেকনাফ দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। এই সড়ক দিয়ে যেতেই সাগরের বিশাল ঢেউ পাহাড়ের শব্দ ও প্রকৃতির শিল্পে আকাঁ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে বিমোহিত হন যে কেউ। কক্সবাজারে বেড়াতে আসলে কিছু সময় নিয়ে ঘুরতে যায় মেরিন ড্রাইভে। হিমছড়ি, দরিয়া নগর, ইনানী ও পাটোয়ার টেকসহ নামকরা এসব স্পটে যেতেই ব্যবহার হয় এই সড়ক। কিন্তু এই সড়ক এখন চলে গেছে থ্রি হুইলারের দখলে। গত এক মাস ধরে চান্দের গাড়ি (জীপ) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এদের দৌরাত্ম আরও বেড়েছে বহুগুণ। পর্যটকের নিরাপদ যাদের হাতে তাঁরাই অল্প বয়সী চালক। এদের কারোরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। কয়েকজনের থাকলেও তা নবায়ন হয়নি। এদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা। যাদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। সড়ক এক প্রকার প্রতিযোগিতায় মেতে অনেকক্ষেত্রে।
জেলা জীপ কার মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটকের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। এই সড়ক এখন টমটম, ব্যাটারী চালিত রিকশার দখলে। সড়কে মাঝপথে যানজট লেগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। চান্দের গাড়ি পর্যটকের জন্য অনেকটা নিরাপদ ছিলো। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে এই গাড়ি বুকিং দিতো।
কক্সবাজার টুরিস্ট জীপ মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোঃ জামাল বলেন, দেশের যেকোনো পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের চাহিদা চান্দের গাড়ি। তারা হৈ-হুল্লোড় করে গান গেয়ে প্রকৃতির দৃশ্য দেখে দেখে গন্তব্য যায়। বন্ধু-বান্ধব একসাথে মজা করতে পারে। একারণে মেরিন ড্রাইভের পর্যটন স্পটগুলোতে কমে যাচ্ছে পর্যটকের আনাগোনা।
কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকার জাফর আলম বলেন, আমার নিজেরও গাড়ি আছে। ভ্রমন পিপাসুরা এসব গাড়ি পছন্দ করে। নিরাপদে তারা ঘুরাঘুরি করতে পারে। চান্দের গাড়ি বন্ধ হওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে ভাড়ায় চালিত গাড়িগুলো পর্যটকদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।

দিনাজপুর থেকে আসা এক পর্যটক জানান, ছোট গাড়ি নিয়ে দূরের গন্তব্য খুবই ঝুকিপূর্ণ। এছাড়া পর্যটকদের কাছ থেকে সিএনজি ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে। এই অচলাবস্থা চলতে থাকায় বেড়েছে পর্যটক হয়রাণি, ভোগান্তি।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়- এই সড়কে চলাচলকারী ইঞ্জিনচালিত কোনো গাড়িরই রুটপারমিট নেই। কিন্তু পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রী সাধারণের চাহিদা-আকাঙ্খার কারণে মেরিন ড্রাইভ সৃষ্টির আগে থেকে চান্দের গাড়ি গুলোর যাত্রা শুরু হয় পর্যটক সেবায়।
শেরপুর থেকে আসা আরেক পর্যটক ফারুক আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে প্রায় আসা হয়। মেরিন ড্রাইভ সুন্দরের কথা অনেকের কাছ থেকে শুনেছি। কিন্তু এই সড়কে ভ্রমণ করার মতো নিরাপদ কোনো যানবাহন না থাকায় মেরিনড্রাইভ সড়কে সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারিনি। সিএনজি বা অটোরিক্সায় করে ভ্রমণ করা এই সড়কের জন্য অনিরাপদ। পরিবার নিয়ে যতোবারই এসেছি জীপ নিয়ে ঘুরে আসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কক্সবাজার-টেকনাফ দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ পর্যটকের বাড়তি আকর্ষণ

আপডেট সময় : ০৭:১২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের বাড়তি আকর্ষণ কক্সবাজার-টেকনাফ দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। এই সড়ক দিয়ে যেতেই সাগরের বিশাল ঢেউ পাহাড়ের শব্দ ও প্রকৃতির শিল্পে আকাঁ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে বিমোহিত হন যে কেউ। কক্সবাজারে বেড়াতে আসলে কিছু সময় নিয়ে ঘুরতে যায় মেরিন ড্রাইভে। হিমছড়ি, দরিয়া নগর, ইনানী ও পাটোয়ার টেকসহ নামকরা এসব স্পটে যেতেই ব্যবহার হয় এই সড়ক। কিন্তু এই সড়ক এখন চলে গেছে থ্রি হুইলারের দখলে। গত এক মাস ধরে চান্দের গাড়ি (জীপ) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এদের দৌরাত্ম আরও বেড়েছে বহুগুণ। পর্যটকের নিরাপদ যাদের হাতে তাঁরাই অল্প বয়সী চালক। এদের কারোরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। কয়েকজনের থাকলেও তা নবায়ন হয়নি। এদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা। যাদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। সড়ক এক প্রকার প্রতিযোগিতায় মেতে অনেকক্ষেত্রে।
জেলা জীপ কার মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটকের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। এই সড়ক এখন টমটম, ব্যাটারী চালিত রিকশার দখলে। সড়কে মাঝপথে যানজট লেগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। চান্দের গাড়ি পর্যটকের জন্য অনেকটা নিরাপদ ছিলো। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে এই গাড়ি বুকিং দিতো।
কক্সবাজার টুরিস্ট জীপ মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোঃ জামাল বলেন, দেশের যেকোনো পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের চাহিদা চান্দের গাড়ি। তারা হৈ-হুল্লোড় করে গান গেয়ে প্রকৃতির দৃশ্য দেখে দেখে গন্তব্য যায়। বন্ধু-বান্ধব একসাথে মজা করতে পারে। একারণে মেরিন ড্রাইভের পর্যটন স্পটগুলোতে কমে যাচ্ছে পর্যটকের আনাগোনা।
কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকার জাফর আলম বলেন, আমার নিজেরও গাড়ি আছে। ভ্রমন পিপাসুরা এসব গাড়ি পছন্দ করে। নিরাপদে তারা ঘুরাঘুরি করতে পারে। চান্দের গাড়ি বন্ধ হওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে ভাড়ায় চালিত গাড়িগুলো পর্যটকদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।

দিনাজপুর থেকে আসা এক পর্যটক জানান, ছোট গাড়ি নিয়ে দূরের গন্তব্য খুবই ঝুকিপূর্ণ। এছাড়া পর্যটকদের কাছ থেকে সিএনজি ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে। এই অচলাবস্থা চলতে থাকায় বেড়েছে পর্যটক হয়রাণি, ভোগান্তি।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়- এই সড়কে চলাচলকারী ইঞ্জিনচালিত কোনো গাড়িরই রুটপারমিট নেই। কিন্তু পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রী সাধারণের চাহিদা-আকাঙ্খার কারণে মেরিন ড্রাইভ সৃষ্টির আগে থেকে চান্দের গাড়ি গুলোর যাত্রা শুরু হয় পর্যটক সেবায়।
শেরপুর থেকে আসা আরেক পর্যটক ফারুক আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে প্রায় আসা হয়। মেরিন ড্রাইভ সুন্দরের কথা অনেকের কাছ থেকে শুনেছি। কিন্তু এই সড়কে ভ্রমণ করার মতো নিরাপদ কোনো যানবাহন না থাকায় মেরিনড্রাইভ সড়কে সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারিনি। সিএনজি বা অটোরিক্সায় করে ভ্রমণ করা এই সড়কের জন্য অনিরাপদ। পরিবার নিয়ে যতোবারই এসেছি জীপ নিয়ে ঘুরে আসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন