লালমনিরহাটে এসিড নিক্ষেপ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৬৩
আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটে এসিড নিক্ষেপ ও নারী নির্যাতন মামলার সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদি। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টায় শহরের আলোরুপা মোড়স্থ সাপ্তাহিক “নতুন বাংলার সংবাদ পত্রিকার” কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জানান, ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর আদিতমারী উপজেলার, বড় কমলাবাড়ী গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন আপন (৩০) এর সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমহর ধার্য্য করে উভয় পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। বছর খানেক পড়ে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন অর্থলোভী আফজাল হোসেন আপন। ভিকটিমের বাবার মৃত্যুর পর তাদের দুই ভাই বোনকে পরের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে লালন পালন করেছেন মা জাহানারা। তার পরেও অতিকষ্টে ধারদেনা করে তার বিধবা মা ৫০ হাজার টাকা সাথে ২ভরি স্বর্ন যৌতুক বুঝিয়ে দেন আফজালকে।
গত ২০১৭ সালের ২ মার্চ দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে শয়ন ঘড়ে গেলে ভুক্তভোগীর সাবেক স্বামী আফজাল হোসেন ওরফে আপন এর সাথে যৌতুকের বাকি টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ৩ দিন ধরে তার পরিবারের লোকজন মিলে ভিকটিমকে ব্যাপক মারধরের পর পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শয়ন ঘড়ে থাকা একটি এসিড ভর্তি বোতলের মুখ খুলে ভিকটিমের গোপনাঙ্গে নিক্ষেপ করে যৌতুক লোভী আফজাল।
পরে তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজে বাদী হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক দপ্তরের সহযোগিতায় আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
৬ বছরের বেশি সময় ধরে চলা মামলায় ১ বারের জন্যেও আদালতে হাজির হয়নি নারী নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি আফজাল হোসেন ওরফে (আপন)। ঘটনার দিন থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। আদিতমারী থানায় ২টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে আসামি আফজাল হোসেন আপনের নামে। মামলায় অভিযুক্ত ২নাম্বার আসামী মুসা মিয়া (৫৫) এর পিতার নাম মামলার চার্জশিটে ভুল দেওয়ায় একজন অপরাধী অপরাধ করে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।
লিখত বক্তব্যে ভুক্তভোগী দাবী করেন, চাইলেই আসামি ধরতে পারে পুলিশ। আসামি একধিকবার মোবাইল ফোনে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছে, যা পুলিশকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ অদৃশ্য কারনে আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো পুলিশের পক্ষ থেকে আসামী ধরিয়ে দিতে বাদির পরিবারকে বলা হচ্ছে। অসহায় বিধবা মা জাহানারা মেয়ের চিকিৎসা ব্যায় ও মামলার খরচ চালিয়ে নিস্ব হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন মামলার বাদি। বর্তমানে পরিবারটি অন্যের বাশ ঝারে পলিথিনে মোড়ানো ছাপরা ঘড়ে মানবেতর জীবন জাপন করছে।
তাই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মামলার বাদি বলেন, আপনারা জাতির দর্পন। আপনাদের লিখনি অসহায়দের সহায় হয়। তাই আপনাদের কাছে বিধবা মায়ের অসহায় মেয়ের আকুতি, আমার মামলার প্রধান আসামী আফজাল হোসেনকে গ্রেফতার পুর্বক বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ প্রতি পালনে আমার মামলার রায় কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, অনেক দিনের ব্যবধান তাই বিষয়টি আমার জানাছিলো না, আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্হা নিচ্ছি।