০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম:
সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারী জায়গা দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকানপাট
রিপোর্টার
- আপডেট সময় : ০৫:০৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
- / ৬৬
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
সিদ্ধিরগঞ্জের আইটি স্কুল সংলগ্ন সড়কের পাশে সরকারী জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক দোকান-পাট। ক্ষমতসীন দলের নাম ভাঙিয়ে মো. ইছহাক আলী নামে এক ব্যক্তি ঐ এলাকার রেললাইন চৌরাস্তার মোড়ে পূব ও পশ্চিম পাশে দোকান-পাটের উদ্দেশ্যে নির্মাণ করছেন একাধিক ভাসমান স্থাপনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আইটি স্কুল এলাকায় নির্মিত নতুন সড়ক ও আদমজী-চাষাঢ়া সড়কের সংযোগস্থল চৌরাস্তার পূর্ব পাশে পরিত্যাক্ত একটি জলাশয়ের উপর স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থাপনার পাশে তিনটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। সেই সাইনবোর্ডে উল্লেখ রয়েছে, মোকাম নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম জেলাজজ ১ম আদালত. দেঃ মামলা ১৪২/২০১৬। অর্থাৎ উক্ত স্থানে দুই দাগে ২৬ শতাংশ জমিতে দেওয়ানী মামলা রয়েছে, যা চলমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার মো. শওকত আলী, মো. আবু তাহের বাবুল, দেলোয়ার হোসেন দুলাল, মো. হুমায়ুন কবির, খোরশেদ আলম, সামিয়া খাতুন, আলী হোসেন, মো. ইছহাক আলী, আনোয়ার হোসেন, মজিবুর রহমান, মো. সিরাজ মিয়া, সাহাদাত হোসেন, মো. শহিদ উল্লাহ, দোলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, রশিদা বেগম ও আবুল সুবহান সহ মোট ১৭ জন বিজ্ঞ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা (যার নং-১৪২/২০১৬) দায়ের করেন। চলমান এই মামলায় মূল বিবাদী করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জরিপ বিভাগের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সিদ্ধিরগঞ্জের (রাজস্ব) সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং গোদনাইল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে। এছাড়া মোকাবিলা বিবাদী করা হয় পাঠানটুলী এলাকার আরো ১৪ জনকে।
এ বিষয়ে নাসিক ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. অহিদুল ইসলাম ছক্কু বলেন, যেখানে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা। এর পাশেই সিটি কর্পোরেশনের একোয়ারকৃত জায়গা রয়েছে। যা বিজ্ঞ আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ অবস্থায় উক্ত স্থানে কোন ধরনের নির্মাণ করা যাবে না।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহানা ফেরদৌস জানান, সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে, আমরা প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে অভিযুক্ত মো. ইছহাক আলী বলেন, এটা সড়ক ও জনপথের জাগয়া। আমরা মামলা করেছি, মামলা চলমান আছে। এখানে রেলওয়ের যতটুকু জায়গা ছিল, তা রাস্তায় চলে গেছে। যেহেতু আমাদের কাছ থেকে সড়ক বিভাগ জায়গা নিয়েছে এবং এখন জায়গা খালি আছে, সেহেতু আমরা এটা ভোগ করতে পারবো। সরকারের প্রয়োজন হলে আবার ছেড়ে দিতে বাধ্য থাকবো। তাছাড়া আমি রোডস এন্ড হাইওয়েকে মানিনা, তারা আমার কাছ থেকে জায়গা লেখে নেয়নি, আমরা তাদের জায়গা লেখে দেইনি। এখন আমি যে কাজ করছি, তা আমার জন্য বৈধ।