০৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে সোহেলের শেল্টারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সোহেলের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। কদমতলীর বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় মাদক কারবারি, ইভটিজিং, মারামারি সহ নানা ধরনের কিশোর অপরাধ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে এই সোহেল বাহিনীর। নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময় থানায় ও আদালতে মামলা, থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী একাধিক রয়েছে সোহেল সহ এই গ্রুপের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে। তাদের এসব অপকর্মের কারণে এলাকায় সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধের দাবি তাদের।

জানা যায়, এই কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান শেল্টার দাতা ঐ এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সোহেল। সে একাধারে ডিশ, ইন্টারনেট ও তেল ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসার সুবাদে তার নেতৃত্বে ঐ এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী। সোহেলের নির্দেশে এবং শেল্টারে এই বাহিনী নানা সময় এলাকায় নানা ধরনের অপকর্ম ও বিশৃঙ্খল ঘটনার সৃষ্টি করে। এ বাহিনীর প্রধান সোহল সহ একাধিক যুবকের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সোহেল সহ তার বাহিনীর একাধিক সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। এই বাহিনী দ্বারা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যাপক হারে নষ্ট হচ্ছে। বাহিনীটির একাধিক সদস্য মাদক সরবরাহ, কারবারি এবং সেবনে জড়িত। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারি বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই ও ভাইয়ের বন্ধুদের উপর হামলা ও মারধর করে সোহেলের এই কিশোর গ্যাংয়ের উশৃঙ্খল সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী কলেজ গেইট এলাকায়। এ ঘটনায় ঘটনার দিন বিকেলে থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তরা হলো- কদমতলী এলাকার বাগু মোল্লার ছেলে আল-আমিন ও ইব্রাহিম, মৃত মাজুর ছেলে শাহ-আলম, বাবুলের ছেলে রাহাত, নাদিমের ভাই সোহেল, বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব এবং জলিলের ছেলে সোহাগ সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন।

শামীম নামে ঐ এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কলেজে আসা এক মেয়েকে উত্তক্ত করায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় বাধা দিলে কদমতলী এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রীকেও মারধর করে কিশোর গ্যাংটির সদস্যরা। পরে নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে একই এলাকার জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যবসায়ীর অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয় সোহেল, মো. মনিরুল ইসলাম রাসেল, সালাউদ্দিন, মো. আল-আমিন, মো. শাহ-আলম ও মো. রাহাতের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ সোহেল ও সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে জামিনে এসে আবারও তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে।

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম মোস্তফা জানান, মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মুলে পুলিশ সবসময় সোচ্চার রয়েছে। একেবারে জিরো টলারেন্স আমরা কাজ করবো। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর অপরাধ ও মাদক সেবন, ব্যবসা, সরবরাহ বন্ধে পুলিশের নিয়মিত টহল রয়েছে। ##


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সিদ্ধিরগঞ্জে সোহেলের শেল্টারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

আপডেট সময় : ০৮:২৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সোহেলের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। কদমতলীর বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় মাদক কারবারি, ইভটিজিং, মারামারি সহ নানা ধরনের কিশোর অপরাধ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে এই সোহেল বাহিনীর। নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময় থানায় ও আদালতে মামলা, থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী একাধিক রয়েছে সোহেল সহ এই গ্রুপের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে। তাদের এসব অপকর্মের কারণে এলাকায় সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধের দাবি তাদের।

জানা যায়, এই কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান শেল্টার দাতা ঐ এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সোহেল। সে একাধারে ডিশ, ইন্টারনেট ও তেল ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসার সুবাদে তার নেতৃত্বে ঐ এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী। সোহেলের নির্দেশে এবং শেল্টারে এই বাহিনী নানা সময় এলাকায় নানা ধরনের অপকর্ম ও বিশৃঙ্খল ঘটনার সৃষ্টি করে। এ বাহিনীর প্রধান সোহল সহ একাধিক যুবকের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সোহেল সহ তার বাহিনীর একাধিক সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। এই বাহিনী দ্বারা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যাপক হারে নষ্ট হচ্ছে। বাহিনীটির একাধিক সদস্য মাদক সরবরাহ, কারবারি এবং সেবনে জড়িত। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারি বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই ও ভাইয়ের বন্ধুদের উপর হামলা ও মারধর করে সোহেলের এই কিশোর গ্যাংয়ের উশৃঙ্খল সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী কলেজ গেইট এলাকায়। এ ঘটনায় ঘটনার দিন বিকেলে থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তরা হলো- কদমতলী এলাকার বাগু মোল্লার ছেলে আল-আমিন ও ইব্রাহিম, মৃত মাজুর ছেলে শাহ-আলম, বাবুলের ছেলে রাহাত, নাদিমের ভাই সোহেল, বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব এবং জলিলের ছেলে সোহাগ সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন।

শামীম নামে ঐ এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কলেজে আসা এক মেয়েকে উত্তক্ত করায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় বাধা দিলে কদমতলী এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রীকেও মারধর করে কিশোর গ্যাংটির সদস্যরা। পরে নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে একই এলাকার জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যবসায়ীর অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয় সোহেল, মো. মনিরুল ইসলাম রাসেল, সালাউদ্দিন, মো. আল-আমিন, মো. শাহ-আলম ও মো. রাহাতের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ সোহেল ও সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে জামিনে এসে আবারও তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে।

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম মোস্তফা জানান, মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মুলে পুলিশ সবসময় সোচ্চার রয়েছে। একেবারে জিরো টলারেন্স আমরা কাজ করবো। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর অপরাধ ও মাদক সেবন, ব্যবসা, সরবরাহ বন্ধে পুলিশের নিয়মিত টহল রয়েছে। ##


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন