১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

খুলনায় চাল-ডালে স্বস্তি, সবজিতে অস্বস্তি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

খুলনা সংবাদদাতা:

খুলনায় হঠাৎ বেড়েছে শীতকালীন সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছ। তবে তেল-চাল, ডালের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার, গল্লামারী বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, রূপসা বাজার, চানমারী বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে সবজি বিক্রেতা রাইসুল ইসলাম জানান, শীতের শেষ সময়ে হঠাৎ সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দামও। গত সপ্তাহেও ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও শিম বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে। বেগুন ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ সেই সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশি দরে। তবে কাঁচামরিচের দাম গত ২-৩ সপ্তাহ ধরে বেড়ে চলেছে।
এ বাজারে সবজি কিনতে আসা গৃহিনী মাজেদা বেগম বলেন, এক দিনের ব্যবধানে সব সবজির দাম বেশি চাইছেন বিক্রেতা। কিন্তু বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি দেখছি না। কিন্তু দাম বেড়েছে কেনো তা বলছেন না কেউ।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা মাসুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাজারে আলু এসেছে অনেক। তাই দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। তিন কেজি আলু মিলছে একশত টাকায়। এছাড়া পেঁয়াজ ৩০- ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, পান বরজের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা আর এলসির মরিচ ১০০ টাকায়।
জোড়াকল বাজারের মুরগির বিক্রেতা মনির হোসেন জানান, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা, কক ২০০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা, সোনালী ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের মুদি দোকানি খান হাসানুর রহমান বলেন, বর্তমানে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম। তিন লিটার বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকায়।
এ দোকানি আরও বলেন, বাজারে শুধু চিনির দামটা কমছে না। অন্য সব পণ্যের দাম এখন মোটামুটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক শিকদার শাহিনুল আলম বলেন, নিয়মিত অভিযানের ফলে এখন বাজারে সহজে কেউ নয়-ছয় করতে পারছে না। যেখানে বা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই অভিযান চলছে। তবে সবজির বিষয়টি সহজে অভিযানের আওতায় আনা সম্ভব হয় না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

খুলনায় চাল-ডালে স্বস্তি, সবজিতে অস্বস্তি

আপডেট সময় : ০৯:৩২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

খুলনা সংবাদদাতা:

খুলনায় হঠাৎ বেড়েছে শীতকালীন সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছ। তবে তেল-চাল, ডালের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার, গল্লামারী বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, রূপসা বাজার, চানমারী বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে সবজি বিক্রেতা রাইসুল ইসলাম জানান, শীতের শেষ সময়ে হঠাৎ সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দামও। গত সপ্তাহেও ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও শিম বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে। বেগুন ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ সেই সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশি দরে। তবে কাঁচামরিচের দাম গত ২-৩ সপ্তাহ ধরে বেড়ে চলেছে।
এ বাজারে সবজি কিনতে আসা গৃহিনী মাজেদা বেগম বলেন, এক দিনের ব্যবধানে সব সবজির দাম বেশি চাইছেন বিক্রেতা। কিন্তু বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি দেখছি না। কিন্তু দাম বেড়েছে কেনো তা বলছেন না কেউ।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা মাসুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাজারে আলু এসেছে অনেক। তাই দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। তিন কেজি আলু মিলছে একশত টাকায়। এছাড়া পেঁয়াজ ৩০- ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, পান বরজের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা আর এলসির মরিচ ১০০ টাকায়।
জোড়াকল বাজারের মুরগির বিক্রেতা মনির হোসেন জানান, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা, কক ২০০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা, সোনালী ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের মুদি দোকানি খান হাসানুর রহমান বলেন, বর্তমানে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম। তিন লিটার বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকায়।
এ দোকানি আরও বলেন, বাজারে শুধু চিনির দামটা কমছে না। অন্য সব পণ্যের দাম এখন মোটামুটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক শিকদার শাহিনুল আলম বলেন, নিয়মিত অভিযানের ফলে এখন বাজারে সহজে কেউ নয়-ছয় করতে পারছে না। যেখানে বা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই অভিযান চলছে। তবে সবজির বিষয়টি সহজে অভিযানের আওতায় আনা সম্ভব হয় না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন