০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

হাশিমপুর দরবার শরীফের মাহফিলে লাখো জনতার ঢল

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (উত্তর) সংবাদদাতা

মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী’র ওয়াজ মাহফিলে লাখো জনতার ঢল নামে। তাকে এক নজর দেখতে এবং তার ওয়াজ শুনতে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেন ওয়াজ মাহফিল প্রাঙ্গনে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে তার সফর সঙ্গী নিয়ে তিনি ওয়াজ প্রাঙ্গনে আসেন। এ সময় তাকে দেখতে এবং ছবি তুলতে এখানে আসা মানুষের টেলাটেলি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মতলব উত্তর থানা পুলিশ হিমশিম খায়। ওয়াজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশ আল্লামা তাহেরী’র সঙ্গে থেকে লাখো মানুষের পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা আলোচনা করেন।

জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের হাশিমপুর দরবার শরিফে হাশিমপুর আলিম মাদরাসা মাঠে আল্লামা শায়খ একিউএম আবদুল মাজীদ (রহ.) ৪৬’তম ওয়াজ মাহফিলে আসেন তিনি। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তিনি ওয়াজ পেশ করেন। এসময় পুরো পেন্ডেল লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। উপস্থিত জনতা মনযোগ সহকারে তার ওয়াজ শুনেন।

হাশিমপুর দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ আশফাক আহমাদ আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ীর সভাপতিত্বে ও আহবানে ওযাজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ান রাখেন, নেদায়ে ইসলাম এর চেয়ারম্যান ও ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মোশকাত আহমাদ আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ী।

ওয়াজ মাহফিলে দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম)।

ওয়াজ করেন, আলহাজ্ব হাফেজ আল্লামা ওয়াহীদুদ্দীন মুহাম্মদ ইছাম, শায়েখ মুফতি জহিরুল ইসলাম ফরিদী, পীরজাদা সোহরাব হোসেন জালালী। নেদায়ে ইসলাম এর চেয়ারম্যান ও ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মোশকাত আহমাদ আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ী বলেন, আল্লাহ ও হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতি ভালোবাসা অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নবী প্রেম (এশকে রাসূল) ও আল্লাহ প্রেম (এশকে এলাহি) ছাড়া কোনো মানুষ প্রকৃত মোমিন-মুসলমান হতে পারে না। সহিহ বোখারি শরিফের এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক সাহাবি রাসূলুল্লাহকে (সা.) যখন বললেন, আমি বেশি কিছু আমল করতে পারি না, তবে আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলকে (সা.) ভালোবাসি, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, তুমি তার সঙ্গি হবে, যাকে তুমি ভালোবাস। অর্থাৎ তুমি যেহেতু আল্লাহ ও তার রাসূলের ভালোবাসায় আমল করেছ, সুতরাং তুমি আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে। আল্লাহ তায়ালা তোমাকে জান্নাত দান করবেন। তিরমিজি শরিফের আরেক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসল, সে জান্নাতে আমার সঙ্গে অবস্থান করবে। বর্ণিত হাদিসের আলোকে বলা যায়, এশকে রাসূল ও এশকে এলাহি অর্জন করতে হলে, রাসূলের আনুগত্য করতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কাজে রাসূলের নীতিমালা ও কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হবে। এ ছাড়া রাসূলের এশক ও মহব্বত অর্জিত হতে পারে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

হাশিমপুর দরবার শরীফের মাহফিলে লাখো জনতার ঢল

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (উত্তর) সংবাদদাতা

মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী’র ওয়াজ মাহফিলে লাখো জনতার ঢল নামে। তাকে এক নজর দেখতে এবং তার ওয়াজ শুনতে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেন ওয়াজ মাহফিল প্রাঙ্গনে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে তার সফর সঙ্গী নিয়ে তিনি ওয়াজ প্রাঙ্গনে আসেন। এ সময় তাকে দেখতে এবং ছবি তুলতে এখানে আসা মানুষের টেলাটেলি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মতলব উত্তর থানা পুলিশ হিমশিম খায়। ওয়াজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশ আল্লামা তাহেরী’র সঙ্গে থেকে লাখো মানুষের পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা আলোচনা করেন।

জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের হাশিমপুর দরবার শরিফে হাশিমপুর আলিম মাদরাসা মাঠে আল্লামা শায়খ একিউএম আবদুল মাজীদ (রহ.) ৪৬’তম ওয়াজ মাহফিলে আসেন তিনি। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তিনি ওয়াজ পেশ করেন। এসময় পুরো পেন্ডেল লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। উপস্থিত জনতা মনযোগ সহকারে তার ওয়াজ শুনেন।

হাশিমপুর দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ আশফাক আহমাদ আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ীর সভাপতিত্বে ও আহবানে ওযাজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ান রাখেন, নেদায়ে ইসলাম এর চেয়ারম্যান ও ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মোশকাত আহমাদ আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ী।

ওয়াজ মাহফিলে দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম)।

ওয়াজ করেন, আলহাজ্ব হাফেজ আল্লামা ওয়াহীদুদ্দীন মুহাম্মদ ইছাম, শায়েখ মুফতি জহিরুল ইসলাম ফরিদী, পীরজাদা সোহরাব হোসেন জালালী। নেদায়ে ইসলাম এর চেয়ারম্যান ও ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মোশকাত আহমাদ আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ী বলেন, আল্লাহ ও হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতি ভালোবাসা অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নবী প্রেম (এশকে রাসূল) ও আল্লাহ প্রেম (এশকে এলাহি) ছাড়া কোনো মানুষ প্রকৃত মোমিন-মুসলমান হতে পারে না। সহিহ বোখারি শরিফের এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক সাহাবি রাসূলুল্লাহকে (সা.) যখন বললেন, আমি বেশি কিছু আমল করতে পারি না, তবে আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলকে (সা.) ভালোবাসি, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, তুমি তার সঙ্গি হবে, যাকে তুমি ভালোবাস। অর্থাৎ তুমি যেহেতু আল্লাহ ও তার রাসূলের ভালোবাসায় আমল করেছ, সুতরাং তুমি আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে। আল্লাহ তায়ালা তোমাকে জান্নাত দান করবেন। তিরমিজি শরিফের আরেক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসল, সে জান্নাতে আমার সঙ্গে অবস্থান করবে। বর্ণিত হাদিসের আলোকে বলা যায়, এশকে রাসূল ও এশকে এলাহি অর্জন করতে হলে, রাসূলের আনুগত্য করতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কাজে রাসূলের নীতিমালা ও কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হবে। এ ছাড়া রাসূলের এশক ও মহব্বত অর্জিত হতে পারে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন