০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী, মায়ের জেল

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগেরহাট সংবাদদাতা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালী ইউনিয়নে শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলেন ১০’ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। এ ঘটনায় সাজা হয়েছে ঐ ছাত্রীর মায়ের।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, চিংড়ীখালী ইউনিয়নের জিলবুনিয়া গ্রামের ১০’ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মরিয়ম আক্তার নামের এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। কনের বয়স ১৫ বছর ২০ দিন হওয়ায় অভিভাবকদের এ বিয়ে বন্ধ করতে বলার পরেও তারা বিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এসএম তারেক সুলতান অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থলে গেলে বরপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে স্কুলছাত্রীর পিতা ও অন্যান্যরা কনে নিয়ে গাঁঢাকা দেয়। আটক হন কনের মাতা লাবলী বেগম। বাল্যবিবাহ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় কনের মাতাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম তারেক সুলতান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সরকার বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর। এখন সবার মধ্যে সচেতনতা এসেছে, তবে আমরা সবাই যদি সচেতন থাকি, তাহলে কোনো অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হবে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাগেরহাটে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী, মায়ের জেল

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগেরহাট সংবাদদাতা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালী ইউনিয়নে শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলেন ১০’ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। এ ঘটনায় সাজা হয়েছে ঐ ছাত্রীর মায়ের।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, চিংড়ীখালী ইউনিয়নের জিলবুনিয়া গ্রামের ১০’ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মরিয়ম আক্তার নামের এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। কনের বয়স ১৫ বছর ২০ দিন হওয়ায় অভিভাবকদের এ বিয়ে বন্ধ করতে বলার পরেও তারা বিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এসএম তারেক সুলতান অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থলে গেলে বরপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে স্কুলছাত্রীর পিতা ও অন্যান্যরা কনে নিয়ে গাঁঢাকা দেয়। আটক হন কনের মাতা লাবলী বেগম। বাল্যবিবাহ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় কনের মাতাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম তারেক সুলতান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সরকার বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর। এখন সবার মধ্যে সচেতনতা এসেছে, তবে আমরা সবাই যদি সচেতন থাকি, তাহলে কোনো অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হবে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন