নাজিম উদ্দিন রানা:
লক্ষ্মীপুরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্থানীয় সিক্স ফার্মারস এগ্রো ফার্ম লিমিটেড নামীয় একটি খামারে হানা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় মালিককে না পেয়ে ওই খামারে কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন দেয়া হয়েছে বলে সদর থানায় অভিযোগ করা হয়। জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার নুরনবী ও তার ছেলে মামুনসহ ৮-১০ জনের একটি দলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ওই ফার্মের ম্যানেজার সহ ভুক্তভোগী। শুক্রবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলেও তার আরো পাঁচ বন্ধুর মালিকানাধীন ওই ফার্মে কামান্ডো ইস্টাইলে সন্ত্রাসী কায়দায় হানা দেয়া,ভয়ভীতি প্রদর্শন গরু-ছাগল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে অভিযুক্ত নুরনবীর। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাৎ করে বিকেল বেলায় নুরনবী ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নামধারী মামুনসহ ০৮-১০ জন দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই খামারে ঢুকে পড়ে। এসময় খামারে কর্মরত শ্রমিকদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও গরু-ছাগলের গলার রশি কেটে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা।
এ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সরবরাহ করের খামার সংশ্লিষ্টরা। এতে দেখা যায়, একজন দুই হাতে দুটি ছুরি নিয়ে গরু-ছাগলের গলার রশি কেটে ভাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে ছুরি তাক করে খামারের শ্রমিকদের দ্রুত এলাকা ছাড়া ও হুমকি দেয় তারা। পরে খামার থেকে ফিরে স্থানীয় সাহেব বাজারে (হাজিল্লার বাপের গোজা) এসে খামারের মালিকপক্ষের একজন রাজীবের মামার খোঁজ করে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয় একই লোকজন। এতে করে এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খামারের কর্মী মেহেদি হাসান সোয়েব ও মো. মোকাররম জানায়, খামারে কাজ করছিল তারা। হঠাৎ ৮-১০জন লোক খামারে ঢুকে পড়ে খামার মালিককে খুঁজতে থাকে, তাকে না পেয়ে একপর্যায়ে অস্ত্র (ছুরি) ঠেকিয়ে আমাদেরকে খামার ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এসময় খামার জ¦ালিয়ে পুড়িয়ে দেয়াসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আবার আসবে বলে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় তারা।
সাহেব বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সায়েম বলেন, রড নুরনবী একদল লোক নিয়ে এসে বাজার বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে গেছে। এসময় তারা বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে অভিযুক্ত নুরনবীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজীবের কাছে আমি ১২ কোটি টাকা পাবো। শুনেছি সে খামারে এসেছে। এজন্য তাকে তুলে আনতে গেছি, কিন্তু পাইনি। আবারো যাবো, এবার সবার আগে সিসি ক্যামেরা খাবো। মামলা করে কোন লাভ হবে না।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খামারে হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না