১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৭৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষের জীবন। মশা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে জনসাধারণের। কয়েল জ্বালিয়ে বা মশারি টাঙিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। দিবারাত্রি কানের সামনে ভন ভন আওয়াজ শোনা যায়। পর্যাপ্ত ওষুধ না প্রয়োগের ফলে মশার উপদ্রব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছে এখানকার বাসিন্দারা। তবে স্থানীয় কাউন্সিলররা বলছেন, সিটি করপোরেশন ঔষুধ না দেওয়ায় তারা মশার নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ড পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়। দেশের অন্যতম শিল্পনগরীতে পরিণত স্থানটিতে ২ লাখ ৫৬ হাজারের অধিক জনসংখ্যার বসবাস।
জানা যায়, প্রতি ওয়ার্ডে পাঁচজন করে সিটি করপোরেশন লোক নিয়োগ দিয়েছে মশার ঔষধ ছিটানোর জন্য। সে অনুযায়ী ১০টি ওয়ার্ডে ৫০ জন কর্মী থাকা সত্বেও কেন সেবা পাচ্ছে না মানুষ?
শাহআলম নামের সিদ্ধিরগঞ্জের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, নির্বাচন হয়ে গেছে বছর ছুঁইছুঁই। তবে এখন পর্যন্ত মনে হয়না দুইবার মশার ঔষধ দেওয়া হয়েছে । এমন একটা অবস্থায় আমরা রয়েছি যে দিনের বেলাও কয়েল জ্বালিয়ে থাকা লাগে। তাহলে আমরা ভোট দিয়ে কি সেবা পাচ্ছি?
নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড এলাকার আরেক বাসিন্দা আরজু রহমান বলেন, মশা এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। যদিও সঙ্গীরা উপকারে আসেন। মশা করে ক্ষতি। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি কিন্তু এটাতে কারো কোনো মাথা ব্যথা। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করে থাকেন। আর পাশ হয়ে গেলেই দেখা যায় ভিন্ন রুপ। এমন কষ্টের মুহূর্তেও সিটি করপোরেশনকে পাশে পাচ্ছি না।

আদমজী শিমুলপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ বলেন, আমাদের এলাকায় মশার এমন অবস্থা খাবারের সঙ্গেও মাঝে মধ্যে মুখে চলে যায়। অথচ ঔষুধ ছিটানোর নামই নেই সিটি করপোরেশনের। এভাবে চলতে থাকলে ডেঙ্গুতে পরিণত হতে সময় লাগবে বলে মনে হয়না।
মশার ঔষুধ দেওয়ার বিষয়ে নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমরা মশার ঔষধ দিচ্ছি নাকি দিচ্ছি না সেটা আপনি কি করে জানেন? যারা ঔষধ দেয় তাদের জিজ্ঞেস করেন।
মশার ঔষধ দেওয়া হচ্ছে না কেনো জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত সিটি করপোরেশন থেকে ঔষুধ পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আমি কয়েকবার সিটি করপোরেশনে জানিয়েছি। তবে তারা কোনো আপডেট জানায় নি। আমাদেরকে ঔষধ দেওয়া হলে আমরা আবারও দিবো।এ বিষয়ে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষের জীবন। মশা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে জনসাধারণের। কয়েল জ্বালিয়ে বা মশারি টাঙিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। দিবারাত্রি কানের সামনে ভন ভন আওয়াজ শোনা যায়। পর্যাপ্ত ওষুধ না প্রয়োগের ফলে মশার উপদ্রব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছে এখানকার বাসিন্দারা। তবে স্থানীয় কাউন্সিলররা বলছেন, সিটি করপোরেশন ঔষুধ না দেওয়ায় তারা মশার নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ড পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়। দেশের অন্যতম শিল্পনগরীতে পরিণত স্থানটিতে ২ লাখ ৫৬ হাজারের অধিক জনসংখ্যার বসবাস।
জানা যায়, প্রতি ওয়ার্ডে পাঁচজন করে সিটি করপোরেশন লোক নিয়োগ দিয়েছে মশার ঔষধ ছিটানোর জন্য। সে অনুযায়ী ১০টি ওয়ার্ডে ৫০ জন কর্মী থাকা সত্বেও কেন সেবা পাচ্ছে না মানুষ?
শাহআলম নামের সিদ্ধিরগঞ্জের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, নির্বাচন হয়ে গেছে বছর ছুঁইছুঁই। তবে এখন পর্যন্ত মনে হয়না দুইবার মশার ঔষধ দেওয়া হয়েছে । এমন একটা অবস্থায় আমরা রয়েছি যে দিনের বেলাও কয়েল জ্বালিয়ে থাকা লাগে। তাহলে আমরা ভোট দিয়ে কি সেবা পাচ্ছি?
নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড এলাকার আরেক বাসিন্দা আরজু রহমান বলেন, মশা এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। যদিও সঙ্গীরা উপকারে আসেন। মশা করে ক্ষতি। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি কিন্তু এটাতে কারো কোনো মাথা ব্যথা। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করে থাকেন। আর পাশ হয়ে গেলেই দেখা যায় ভিন্ন রুপ। এমন কষ্টের মুহূর্তেও সিটি করপোরেশনকে পাশে পাচ্ছি না।

আদমজী শিমুলপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ বলেন, আমাদের এলাকায় মশার এমন অবস্থা খাবারের সঙ্গেও মাঝে মধ্যে মুখে চলে যায়। অথচ ঔষুধ ছিটানোর নামই নেই সিটি করপোরেশনের। এভাবে চলতে থাকলে ডেঙ্গুতে পরিণত হতে সময় লাগবে বলে মনে হয়না।
মশার ঔষুধ দেওয়ার বিষয়ে নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমরা মশার ঔষধ দিচ্ছি নাকি দিচ্ছি না সেটা আপনি কি করে জানেন? যারা ঔষধ দেয় তাদের জিজ্ঞেস করেন।
মশার ঔষধ দেওয়া হচ্ছে না কেনো জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত সিটি করপোরেশন থেকে ঔষুধ পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আমি কয়েকবার সিটি করপোরেশনে জানিয়েছি। তবে তারা কোনো আপডেট জানায় নি। আমাদেরকে ঔষধ দেওয়া হলে আমরা আবারও দিবো।এ বিষয়ে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন