জনগনের দোড়গোড়ায় পুলিশী সেবা পৌছে দেয়াই বিট পুলিশিং
- আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৫৪
ময়মনসিংহ সংবাদদাতা
বাংলাদেশ পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেছেন, জনগনের দোড়গোড়ায় পুলিশী সেবা পৌছে দেয়াই হলো বিট পুলিশিং। ছোটখাট সমস্যা সমাধানের জন্য থানায় আসার প্রয়োজন নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিট অফিসারের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করা সম্ভব। এতে সময় ও অর্থ দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্থরা রক্ষা পাবেন। পুলিশের কোন নম্বর না থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ আপনার পাশে এসে হাজির হবে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা (পিপিএম সেবা) এর সভাপতিত্বে রবিবার (১৫ জানুয়ারী) বিকাল ৩টায় ময়মনসিংহ নগরীর ২৬নং বিট শিকারীকান্দা মহাসড়ক সংলগ্ন (মাল্টি পারপাস আবাসিক) এর পাশে ‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আয়োজিত বিট পুলিশিং সমাবেশ এবং গ্রাম পুলিশের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুল ইসলাম ফকিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত দেশ গড়তে চেষ্টা করছেন। উন্নত দেশ গড়তে হলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। বাংলাদেশ পুলিশ সমাজে শান্তিপির্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছে। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, সদর উপজেলা ভাইস পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা শংকর সাহা, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, ডঃ ইদ্রিছ আলী খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ ও ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কোতোয়ালি মডেল থানায় থানায় জিডি কিংবা মামলা করতে কোন টাকা লাগে না। কোন পুলিশ যদি সেবার নামে কাউকে হয়রানী বা কারো কাছ থেকে টাকা দাবি বা আদায় করে, তাহলে তার চাকুরী থাকবে না। সেই উদ্যোগ নেয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, এক সময় এসপির চেয়ারে বসতেন ব্রিটিশ আর পরবর্তীতে পাকিস্তানিরা। জাতির জনকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা বসছি। বিট পুলিশিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় বলেন, হয়রানী ও দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ গঠনে কাজ করছি। আগামী দুইমাসের মধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় পুরো নগরীকে আনা হবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে পুলিশ কঠোর অবস্থানে। মাদকের সাথে পুলিশ জড়িত হলে তাকেও ছাড় দেয়া হবেনা।
এছাড়া সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে উত্তম ও ভাল কাজ করার জন্য তিনজন গ্রাম পুলিশকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা দেয়া হয়েছে। পরে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।