মোঃ আব্দুস সালাম:
দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার কারণে ক্ষতি হচ্ছে কৃষিকাজের। নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। শীতকালীন সবজির ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগের সংক্রমণ। ঝরে যাচ্ছে সরিষার ফুল। সব মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। আশংকায় দিন কাটছে কৃষকের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো। তবে ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি পড়ছে ঘন কুয়াশা। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ। তীব্র ঠান্ডায় জমিতে কাজ করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল উৎপাদন।
শীতের কারণে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে উত্তরাঞ্চলে। ঘন কুয়াশার কারণে ও রোদ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে সরিষার ফুল ঝরে পড়ছে। কৃষকরা বলছেন, বীজতলায় পলিথিন দিয়ে ঢেকেও মিলছে না সুফল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানালেন, কুয়াশা থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও লালচে আবার কোথাও সাদাটে হয়ে গেছে চারা গাছ। কৃষকরা জানান, অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহ আর কুয়াশায় বোরো ধানের শতকরা ২৫ ভাগ বীজ তলাই নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে আরও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ ছাড়া টানা কুয়াশা ও শীতে শাকসবজি ও ইরি-বোরোর বীজ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আলু, শিম, লালশাকসহ শীতকালিন বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। পাতা সাদা ও হলুদ হয়ে যাচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রোগ। যদিও শীত উপেক্ষা করেই ধান রোপন করছে কৃষকরা।
কৃষকেরা জানালেন, তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে পোকার সংক্রমণ। চাষাবাদ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা।
প্রতিকূল আবহাওয়ার এই সময়ে চাষাবাদে কৃষকদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে কৃষি বিভাগ বলছে, ফসল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য ঢেকে রাখার পাশাপাশি ছত্রাকনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না